আজ শনিবার | ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ৩০ মহর্‌রম ১৪৪৭ | দুপুর ১২:৩৩
শিরোনাম:
একই আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যে বার্তা বিএনপির    ♦     ক্লিন ইমেজধারীরা ধানের শীষ পাচ্ছেন    ♦     মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে হতাহতদের স্মরণে মহিলা পরিষদের মৌন মিছিল    ♦     শ্রমিকলীগ ক্যাডার ডাকাত জাকির বিএনপি নেতাদের আশ্রয়ে    ♦     ভারতে মঞ্জুনাথের মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে রাজ্য জোড়ে তোলপাড়    ♦     এস আইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগ    ♦     মাকসুদ মুছাপুরে ৩২টা বাড়িতে আগুন দেয়ার এত সাহস কোথায় পায়    ♦     বন্দরে বিএনপি’র সদস্যপদ নবায়ণ কার্যক্রমে নজরুলের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে যোগদান    ♦     রাজনৈতিক সংকটের জন্য খায়রুল হক দায়ী    ♦     গণসংহতি’র উদ্যোগে ৫৪ শহীদের নামে বৃক্ষরোপণ    ♦    

শেখ হাসিনার নির্দেশেই জুলাই আন্দোলনে গণহত্যা

ডান্ডিবার্তা | ২৫ জুলাই, ২০২৫ | ৩:০৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
চব্বিশের জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন এক সময় রূপ নেয় হাসিনার পদত্যাগের আন্দোলনে। তখন সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিনগুলো কেমন কাটছিল তা উঠে এসেছে আলজাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রায় ৫০ মিনিটের এই প্রতিবেদনে তার দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে তার ফোনালাপে তিনি জানান, দুদিন ধরে রাতে ঘুমাতে পারছেন না তিনি। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঙ্গে তার কথোপকথন ফাঁস হয়। সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও হলত্যাগের ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনের খোঁজ নিতে এই নেতাকে ফোন করেছিলেন তিনি। ইনান বলেন, ক্যাম্পাস প্রায় খালি হয়ে গেছে। ছেলেদের হলগুলো থেকে সব ছাত্র বের হয়ে গেছে। আমাদের সিনিয়র অনেক নেতারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাই বারবার আপনাকে কল করেছিলাম। আপনি কিছু মনে করবেন না। জুলাইয়ের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিট তাদের হাতে আসা গোপন ফোন কলের রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ এর ১৮ জুলাই রেকর্ড করা এক ফোন কলে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, আমার নির্দেশ এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আমি পুরোপুরি খোলা নির্দেশ দিয়েছি। এখন তারা মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করবে, যেখানেই পাবে, গুলি করবে। পরে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র এবং হাসিনার আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলেন। তাকে বলতে শোনা যায়, যেখানেই তারা কোনো সমাবেশ দেখতে পায়, তা উপর থেকে – এখন এটি উপর থেকে করা হচ্ছে – এটি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় শুরু হয়েছে। এটি শুরু হয়েছে। কিছু (প্রতিবাদকারী) সরে গেছে। সেই সময় বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর আকাশ থেকে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্ঘটনা ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাবির শরীফ আল-জাজিরার আই-ইউনিটকে বলেন, আমাদের হাসপাতালের প্রবেশপথ লক্ষ্য করে একটি হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর শরীরে অস্বাভাবিক ধরনের গুলি বিদ্ধের চিহ্ন পাওয়া যায়। হাসিনার নজরদারি নেটওয়ার্ক এনটিএমসি এই কথোপকথনগুলো রেকর্ড করেছে। এনটিএমসি’র বিরুদ্ধে পূর্বে কেবল বিরোধী দলের ব্যক্তিত্বদের ওপরই নয়, এমনকি হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রদের ওপরও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাসিনা কখনো ‘মারাত্মক অস্ত্র’ শব্দটি ব্যবহার করেননি এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে অনুমোদন দেননি। তিনি বলেন, এই (হাসিনার ফোনের) রেকর্ডিংটি কোনো নির্দিষ্ট অংশ বেছে নেওয়া, বিকৃত বা উভয়ই। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। হাইকোর্ট পুরোনো কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেই সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই কোটা ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের প্রতি পক্ষপাতমূলক এবং যোগ্যতার চেয়ে পারিবারিক পরিচয়ই চাকরির ভিত্তি হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন। গত বছরের ১৬ জুলাই দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর রংপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। জুলাই অভ্যুত্থানে তার মৃত্যুই আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসটি) জানায়, শেখ হাসিনার সরকারের দমন-পীড়নে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ নিহত এবং ২০ হাজার আহত হয়েছেন।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা