
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এবার কপাল খুলছে বিএনপির ক্লিন ইমেজধারীদের। আগামী নির্বাচনে ক্লিন ইমেজধারীরা ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর এর সূত্র ধরে বিএনপির প্রবীন নেতারা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। এদিকে বিএনপির ক্লিন ইমেজের শতাধিক নেতাকে নির্বাচনি প্রস্তুতির জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভিডিও কলে অংশ নিয়ে যার যার এলাকায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন বলেও জানা গেছে। চূড়ান্ত যাচাইবাছাই শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ৩০০ প্রার্থীকেই এ সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। এমন এক সংবাদ প্রচারের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেল্কিবাজি শুরু করেছেন। অনেক প্রার্থীদের চ্যালারা নিজ নিজ বলয়ের প্রার্থীদের নাম ও আসন লিখে সাথে লিখছেন “আলহামদুলিল্লাহ” যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের মাঝে। বর্তমানে অনেকেই বলছে কার মনোনয়ন ফাইনাল হলো কে কার পিছনে যাবে তানিয়ে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। একই সাথে বলয়ে বলয়ে নয়া মেরুকরণ সৃষ্টির আভাস ও পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসন জুড়ে একাধিক প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলে ও দিন শেষে যোগ্যরাই মূল্যায়িত হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তা ছাড়া বর্তমানে যোগ্য প্রার্থীদের মনোবল নষ্ট করতেই সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেল্কিবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন নানা চক্র। সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রæয়ারি মাস টার্গেট করে নির্বাচনি প্রস্তুতি পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। ইতোমধ্যে নির্বাচনি চূড়ান্ত কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের আমলনামাও পৌঁছে গেছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। প্রাথমিক যাচাইবাছাইয়ের পর তিনি ডিটেইলস তথ্য নিচ্ছেন তাঁদের সম্পর্কে এবং যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের নেতাদের গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া শুরু করেছেন। দলের হাইকমান্ড অত্যন্ত গোপনে তিন স্তরে যাচাইবাছাই কার্যক্রম চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ও তত্ত¡াবধানে তিনটি টিম কাজ করেছে বলে জানা গেছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের স্ব স্ব এলাকায় কার জনপ্রিয়তা কতটুকু তা জানতে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রার্থীসহ আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ধরে এ জরিপ চালানো হয়। এজন্য প্রার্থীদের অজান্তে অত্যন্ত গোপনে সরেজমিন জরিপ চালান একাধিক জরিপ সংস্থার সদস্যরা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের জন্য যাদের প্রস্তুতি ছিল কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে অংশ নেননি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাঁদেরও এ জরিপের অংশ করা হয়। তবে যাদের এলাকা ও এলাকার মানুষের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক আছে এবং শিক্ষিত, এনারজেটিক, যোগ্য, ত্যাগী ও দলের জন্য ডেডিকেটেড, বিশেষ করে দেশব্যাপী নতুন ভোটাররা যে প্রার্থীকে বেশি পছন্দ করেন এমন ব্যক্তিদেরই এবারের মনোনয়নে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারক মহল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরো বলছে, মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যাকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ ভোটাররা খুশি হবেন, এমন প্রার্থীর হাতেই এবার নির্বাচনের চূড়ান্ত টিকিট তুলে দেবে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে কতিপয় মৌলিক নীতি অনুসরণ করা হবে। এজন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হিসেবে তিনটি যোগ্যতা অন্যতম মানদ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। সেগুলো যথাক্রমে ১. গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ২. যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার মানুষের কাছে একজন ভালোমানুষ হিসেবে সুপরিচিত। এবং ৩. ভোটের রাজনীতিতে যিনি তাঁর এলাকায় বেশি জনপ্রিয়। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এমন মাপকাঠির কথা নিশ্চিত করেছেন। এই যোগ্যতা সম্পূর্নতায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হিসেবে চিহ্নিত যারা আলোচনায় সদর-বন্দর আসনে আলোচিতদের মধ্যে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক মাসুকুল রাজীব, সাবেক সাংসদ আবুল কালাম, শিল্পপতি প্রাইম বাবুল এই নামগুলো বর্তমানে আলোচনা উঠছে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে রয়েছে, সাবেক সাংসদ আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ¦ শাহ-আলম, জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আলোচনা রয়েছে। রূপগঞ্জ আসনে ব্যাপক আলোচনায় মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান আলোচনায়, আড়াইহাজার আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। সোনারগাঁ আসনে ইতিমধ্যে জনপ্রিয় মুখে সেই আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন যদি তিনি এই আসনে নির্বাচনে অংশ না নেয় তা হলে রেজাউল করিম ও আজহারুল ইসলাম মান্নান, ইমতিয়াজ বকুল, আপেলের মতো প্রার্থীরা মনোনয়ন যুদ্ধে পা দিবেন। এর বাহিরে যারা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হবেন সকলেই ৫ আগষ্টের পরবর্তী সময়ে লুটপাট ও দখলদারিত্বের টাকার ভার সইতে না পেরে প্রার্থী হয়ে টাকা খরচ করতে আসতে চাইছেন আর কিছুই নয়। সামাজিক ফেসবুক জুড়ে গ্রিন সিগন্যাল নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভেল্কিবাজি করে “আলহামদুলিল্লাহ” নিয়ে উঠছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯