আজ বৃহস্পতিবার | ৩১ জুলাই ২০২৫ | ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:২৬

শাহ আলমের ঘরে গুপ্তচর!

ডান্ডিবার্তা | ৩০ জুলাই, ২০২৫ | ১২:১৯ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তার দাবি নির্বাচনে জয়লাভ করলেও তৎকালীন সরকারের ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। নির্বাচনের পর ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মনে করেছিল ব্যবসায়ী শাহ আলম এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচন করেছেন। নির্বাচন শেষ তিনি তার ব্যবসায় ফিরে যাবেন। নেতাকর্মীদের সে ধারনা বুমেরাং করে দিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব নেন। আর সাধারণ সম্পাদক করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আজাদ বিশ্বাসকে। এখানেই বাঁধে বিপত্তি ফতুল্লা থানা বিএনপির আগের কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খোন্দকার মনিরুল ইসলামকে রাখা হয় ১নং সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম সেন্টকে করা হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আর তারা এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। এই দুই নেতা তাদের কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ঘোষনা করেছিলেন পাল্টা কমিটি। তৎকালীন সময়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয় ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি। দুই গ্রুপ পৃথক ভাবে পালন করেন দলীয় কর্মসূচি। সে সময় শাহ আলম দলের মুল¯্রােতে শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও কুতুবপুরের মত বিশাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিগত দিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষনে মনিরুল আলম সেন্টুর অবস্থানও ছিল সুসংহত। কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে মনিরুল আলম সেন্টুর আস্থাভাজন লুৎফর রহমান খোকা শাহ আলম সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লাকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল। কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হওয়ার কিছুদিন পরেই সুচতুর লুৎফর রহমান খোকা উচ্চ পদ পদবীর আলাঙ্খায় ভোলপাল্টে কৌশলে অবলম্বনের মাধ্যমে সহজেই শাহ আলম শিবিরে ভিড়ে যায়। রাজনৈতিক ভোল পাল্ট সফলও হন তিনি। শাহ আলমের আর্শীবাদে ইউনিয়নের সভাপতি থেকে হয়ে যান জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক। লুৎফর রহমান খোকা বিভিন্ন সভা সমাবেশে শাহ আলমের গুনগান গেয়ে মুখে ফেনা তুললেও শাহ আলমের ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা তাকে সব সময় সন্দেহের সৃষ্টিতেই দেখতেন। কারন চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর বিশেষ সুবিধা ভোগী হিসেবে ফতুল্লার সর্বজন মানুষের কাছে সুপরিচিতি ছিলেন লুৎফর রহমান খোকা। শাহ আলমের প্রকৃত অনুসারীদের সন্দেহের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন বিএনপির সদস্য ফরম সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি উপলক্ষে স¤প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম সমর্থকদের আয়োজনে ফতুল্লার ভুইগড় সোনালী সংসদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশাল জনসভা। সে জনসভায় সভাপতিত্বে করেছিলেন লুৎফর রহমান খোকার, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। সভায় সভাপতির বক্তব্যে লুৎফর রহমান খোকা বলেছেন, আগামী নিরবাচনে শাহ আলমকে মনোনয়ন না দিলে, বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি ঘেরাও করবেন। তার এই বক্তব্যে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় যে শাহ আলমের ঘরে বসবাস করছেন সেন্টুর গুপ্তচর। তার এ বক্তব্যের জন্য বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়াকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন সুচতুর এই লুৎফর রহমান খোকা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা