আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৪০
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

বিলুপ্ত হতে পারে ফতুল্লা বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ০৯ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ভাঙ্গনের কবলে ফতুল্লা বিএনপি। নেতারা ছুটছের দিকবেদিক। যাতে করে ফতুল্লা বিএনপির চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। ইতিমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বেশ কয়েকজনকে কারন দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। যার কারণে ফতুল্লা বিএনপির অবস্থা নাজুক। যে কোন সময় বিলুপ্ত হতে পারে ফতুল্লা বিএনপির কমিটি। বিএনপির ফতুল্লা থানা শাখা থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে  ফতুল্লা থানাধীন ইউনিয়ন গুলোর একের পর এক শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট একটি চিঠির মাধ্যমে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও  সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান সুমন ও কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মইনুল ইসলাম রতনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ৭ জুন ২০২৩ থেকে সাংগঠনিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সত্ত্বেও মাহবুবুর রহমান সুমন ও মইনুল ইসলাম রতন দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও বিএনপি’র সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে  বরং নিষ্ক্রিয় থেকেছেন, যা দলের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব এবং দায়িত্ব শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, দলীয় শৃঙ্খলা এবং স্বার্থ বিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগও তার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে। তার এসব কর্মকা- দলের সুসংগঠিত প্রচেষ্টার অন্তরায় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। নোটিশে (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এর আগে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি বিল্লাল হোসেনকে একই নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, ইতোমধ্যে এনায়েতনগরসহ তিনটি ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কারণ দর্শানোর চিঠি জারি করা হয়েছে। তাদের চিঠির জবাব পাওয়ার পর ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে  একই নোটিশ দেওয়া হবে। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজনে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিগুলো ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করা হবে। এই বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া জানান, তাদেরকে কারণ দর্শানো কিংবা বহিষ্কার করা কিংবা নতুন কমিটি করা এই ধরনের কোন অভিলাস কিংবা চিন্তা আমাদের নেই। কিন্তু দলীয় হাই কমান্ড বারবার নির্দেশনা দিচ্ছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার। এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো এরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম করে। তারা যদি দলীয় নির্দেশনা মেনে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করতে পারে তাহলে তাদের দরজা খোলা আছে। তাদের যথাযথ মর্যাদায় আমাদের সাথে রাখা হবে। কিন্তু তারা যদি দলের চেইন অফ কমান্ড না মেনে আলাদাভাবে এভাবে প্রোগ্রাম করে তাহলে দলীয় হাই কমান্ড তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতন বলেন, আমি সভাপতি হিসেবে বিএনপির প্রতিটি প্রোগ্রাম আয়োজন করে থাকি যা সকল সাংবাদিকগন সাক্ষী। আন্দোলন সংগ্রামেও আমার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল সব সময়। যেদিন তারা সদস্য সংগ্রহ সংগ্রহ ও নবায়ন করতে এসেছিলেন সেদিন আমার মা মারা গিয়েছিল। জেলা বিএনপির ও থানা বিএনপির নেতারা আমার মায়ের জানাজায়ও ছিলেন। তাদের এই চিঠি অযৌক্তিক তাই আমি তা গ্রহণই করিনি। এ প্রসঙ্গে এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুমন বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়েছে। তাদের চিঠির জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে। তবে থানা বিএনপির এ পদক্ষেপ ঘিরে  স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ ধারণা করছে, আগামী জাতীয় রাজনীতিকে সামনে রেখে ফতুল্লা থানা বিএনপি তাদের সাংগঠনিক কাঠামোকে শৃঙ্খলিত করতে এবং নিষ্ক্রিয় নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে তৎপর ভূমিকা নিচ্ছে। আবার আরেকটি অংশ বলছে জেলার প্রতিটি আসনেই একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করার নজির রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে প্রতিটি বলয় নিজ শক্তিমত্তা প্রদর্শনে এ কৌশল নিয়ে থাকে।তাই বলে ইউনিয়ন বিএনপিরা শীর্ষ নেতৃত্বকে এভাবে শোকজ নোটিশ দেওয়া কিংবা কমিটিগুলো ভেঙ্গে দেওয়ার যে একটা পায়তারা তা একেবারেই নতুন ও কৌশল গঠিত। বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিও সার্বিক পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা