
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা বিএনপি নেতারা জনগণের পশে নেই। ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আর এই জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএনপি নেতাদের প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। তাদের জলাবদ্ধ এলাকায় সাধারণ মানুষজনের পাশে দেখা মিলছে না। তারা শুধু চিঠি চালাচালিতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েকদিন পরপরই বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক চিঠি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এলাকায় গিয়ে জনসাধারণের সাথে কথা বলা, সরেজমিনে গিয়ে কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় সে বিষয়ে কথাবার্তা বলা সে বিষয়ে তাদের কোনো উদ্যোগ নেই। তারা যেন জলাবদ্ধতায় গিয়ে নিজেদের পা ভিজাতে রাজী নয়। ভোগান্তির শিকার হওয়া জনসাধারণের ভোগান্তি দেখতে রাজী নয় তারা। বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েই তাদের নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান। তবে ৫ আগস্ট ফতুল্লার বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব। এসময় পানিবন্দি মানুষের সাথে কথা বলেন রাজীব। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার এই সমস্যা দল-মত নির্বিশেষে মানবিক একটি বিষয়। আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে একটি জরুরি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবো। নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকা এখন উন্নয়নের নামে ভোগান্তির ‘মডেল’। কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও বাস্তব চিত্র ভয়াবহ। বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ডুবে যায়। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না। দোকানপাট, স্কুল, মাদ্রাসা সবই স্থবির হয়ে পড়ে। প্রশাসন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দায় এড়াতে পারেন না। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ফতুল্লা এলাকার রাস্তাঘাট প্রায় সারাবছরই পানিতে তলিয়ে থাকে। আর বৃষ্টি আসলে কোনো বলারই অপেক্ষা থাকে না। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা। বাসা-বাড়িতে গিয়েও এ পানি উঠে। প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফতুল্লা এলাকার রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। ফতুল্লা লালপুর, পৌষা পুকুর পাড়, আল- আমিন বাগ, সস্তাপুর, লালখা, দাপা, কুতুবপুর ও নন্দলালপুর কোখাও হাঁটু পর্যন্ত আবার কোথাও বুক পর্যন্ত ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে উঠেছে। বৃষ্টি না থাকলে পানি কমতে শুরু করে। আবার অনেক সময় পানি সহজে নামে না। সেই সাথে কিছু কিছু রাস্তায় সারাবছরজুড়েই ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকে। যা এলাকাবাসীর জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। সেই সাথে এই এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের পায়ে হেঁটে যাতায়াতের কোনো উপায় নেই। ফলে তাদের যানবহনে পরিণত হয়েছে নৌকা আর ভ্যানগাড়ি। সেই সাথে এসকল এলাকায় যারা ভাড়া থাকেন তারা আরও আগে থেকেই ভাড়া ছেড়ে দিয়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। আর যারা স্থায়ীভাবে এই এলাকার বাসিন্দা তাদের ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে। না পারছেন এলাকা ছেড়ে চলে যেতে না পারছেন এলাকায় থাকতে। এ অবস্থায় তারা কোনো স্থায়ী সমাধানে যেতে পারছেন না। সেই সাথে এই অবস্থায় তারা জনপ্রতিনিধির সহযোগিতাও পাচ্ছেন না। শুধুমাত্র একের পর এক আশ্বাসের বাণী শোনেই যাচ্ছেন। কিন্তু সমাধান আর হচ্ছে না। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছিলো না। ওই এলাকার যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চান তাদেরও কোনো তৎপরতা ছিলো না। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ফলে বিএনপির নেতাদের ঘুম ভাঙ্গে; সেই সাথে তারা তৎপর। কিন্তু সেই তৎপরতা শুধুমাত্র অফিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ফতুল্লা ইউনিয়নের লালপুর ও পৌষার পুকুরপাড়সহ জলাবদ্ধতা আক্রান্ত এলাকাগুলোর স্থায়ী সমাধানের দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। একইসাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবরও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গত ৩ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ফতুল্লা ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধূরী, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান ও ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ৩ আগস্ট বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশে দুই দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এরা সরকারি দপ্তর পর্যন্ত অন্যান্য নেতারা একেবারেই নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তারা এলাকাতেও যাচ্ছেন না সেই সাথে সমস্যা সমাধানে দপ্তরেও যাচ্ছেন না। শুধুমাত্র বক্তব্যের মধ্যেই নিজেদের নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এলাকাবাসীর কাছে না এসেই সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য দূর থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯