আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৫৬

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিভক্তি

ডান্ডিবার্তা | ১৩ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এবার নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মাঠে নেমেছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিভক্তি এখন প্রকাশ্যে। তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আলাদা আরাদা প্যানেল ঘোষনা করেছেন। এবার সাখাওয়াতের ঘোষণা করা প্যানেলের বিপক্ষে গিয়ে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা এবং অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব আলাদা প্যানেল করেছেন। যা নিয়ে আদালতপাড়া সরগম। দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মনোনীত প্যানেলের বাইরে গিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আরেকটি প্যানেল হচ্ছে। যে আইনজীবী ফোরামের প্যানেল চূড়ান্তকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন আদালতপাড়ার প্রভাবশালী আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। আর তার বাইরে গিয়ে প্যানেল চূড়ান্ত করেছেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা এবং অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব। ইতোমধ্যে গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে প্রায় ১২ টি পদে প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্যানেলের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা, সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কামরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মোমেন, আপ্যায়ন শাহ আলম শামীম, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলী আজম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি অ্যাডভোকেট নার্গিস পারভীন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শেখ মোহাম্মদ গোলাম রসূল খসরু, আইন ও মানবাধিকার অ্যাডভোকেট মো. হাবিবুর রহমান মাসুম। সেই সাথে একদিনের মধ্যেই সদস্য পদে চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র বলছে, আগামী ২৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আলাদা প্যানেল ঘোষণা করার ব্যাপারে আলোচনা সরগরম ছিলো। বিএনপির প্রভাবশালী নেতারাও তাদেরকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই তারিখ ঘোষণার পর থেকেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মনোনীত প্যানেলের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে প্যানেল ঘোষণা করার জন্য তৎপরতা চলমান রয়েছে। আর এতে সমর্থন যোগিয়ে যাচ্ছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা। প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, আমাদের প্যানেল চূড়ান্ত। আমরা গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে আলাদা প্যানেল ঘোষণা দিচ্ছি। প্যানেল ঘোষণা থেকে আমাদের কেউ বিরত রাখতে পারবে না। আমাদের প্রতি জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র পর্যায়ের নেতাদের সমর্থন রয়েছে। প্যানেল ঘোষণার দেয়ার পরপরই তাদের সমর্থন প্রকাশ পাবে। এর আগে গত ৭ আগস্ট আইনজীবী সমিতির সার্বিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান রেজা ও অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব সহ অন্যান্য আইনজীবীরা। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, সাখাওয়াত হোসেন খান আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে সে নির্বাচন করেছে। যেহেতু দল করি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অনেক কিছু বলতে পারি না। কিন্তু বলতে হয় বলতে দেয়া উচিত। আমি গালিব যদি অন্যায় করি সকলের কাছে আহবান আমার অন্যায় ধরিয়ে দিবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল দাবী হচ্ছে গতবারের আউয়াল মার্কা নির্বাচন কমিশনের ৫ জনকেই বাদ দিতে হবে। আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে তারা চারজনকে বাদ দিয়েছে। কিন্তু আজিজুর রহমান মোল্লাকে বাদ দেয়া হয়নি। অবিলম্বে সাখাওয়াত হোসেন খানের কাছে দাবী থাকবে আজিজুর রহমান মোল্লাকে বাদ দিতে হবে। গত নির্বাচনে আমরা প্রতিবাদ করাতে আমাদের লাঞ্ছিত করে বারের ২য় তলায় জিম্মী করে রাখা হয়েছিলো। আমাদের একজন ভাইকে রক্তাক্ত জখম করেছিলো। এই কষ্ট ভুলা যায় না। সাখাওয়াতের নেতৃত্বে আনোয়ার প্রধান সহ অনেকেই ছিলো। মূল নেতৃত্বে ছিলো সাখাওয়াত হোসেন খান। গালিব বলেন, গত নির্বাচনে অনেক টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। একটা মনোনয়ন ফরমের দাম ১ টাকা। আমরাই এই ফরম ফটোকপি করে নিয়ে এসেছি। কি পরিমাণ বাণিজ্য হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ বারের ইতিহাসে এই নোংরামি কখনও হয়নি। আমরা লজ্জিত এবং মর্মাহত। যে কর্মকান্ড বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বারে চলতেছে বিএনপির ইমেজ ধূরিস্যাত হয়ে গেছে। বিএনপির ইমেজ সাখাওয়াত হোসেন খান ধূলিস্যাত করে দিয়েছে। আমি সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবান প্রকাশ্যে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সাখাওয়াত হোসেন খান ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাহবুবুর রহমান মাসুম আইনজীবী সমিতিতে কয়েকবার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে। আমরা আহবান করেছি মাহবুবুর রহমান মাসুমকে নির্বাচন কমিশন হিসেবে রাখার জন্য। কিন্তু সেটা তারা মানে না। সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী কায়দায় সাখাওয়াত হোসেন খান বারকে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। এটা মেনে নেয়া যায় না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা