আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৫৩

নাসিকের অবহেলায় শহরে অটো রিকশার দাপট

ডান্ডিবার্তা | ১৩ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের যানজটের অন্যতম কারণ হিসাবে নগরবাসী উল্লেখ করেছেন অবৈধ অটো রিকশার কারণে। শহরে অটো রিকশাগুলি বেপরোয়া ভাবে চলাচলের কারণে প্রতিদিন নগরবাসীকে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির শিকার হন অফিসগামী ও স্কুল কলেজে পড়ুয়ারা। শহরে ঘুরে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের দায়ত্ব অবহেলার কারণে শহরে যানজট নিরসন হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন কিছু অটোকে অনুমতি দেয় শহরে চলাচলের জন্য। আর সেগুলি রং হবে হলুদ। কিন্তু এখন শহর জুড়েই হলুদ অটোর ছড়াছড়ি। অটো মালিকরা তাদের অটো রিকশাগুলি হলুদ রংয়ে আবৃত করে ফেলে। বেশীভাগ অটো রিকশার পিছনে সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স প্লেট নেই। তবে ঞলুদ রং ছাড়াও ভিবিন্ন রয়ের অটো রিকশা শহর দাবড়িয়ে বেড়ায়। গোপন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অনুমোদন বিহীন অটো রিকশাগুলিকে শহরে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে মাসোহারার বিনিময়ে। যা নিয়ে শহরে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। তবু টনক নড়ছেনা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের। গরবাসী জানান, আমারা সিটি করপোরেশনকে টেক্স দেই শহরে নিরাপদে চলাচলের জন্য। কিন্তু আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। দেখা যায়, সকাল হওয়ার আগেই নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার অটো রিকশার। এরপর দুপুর পেরিয়ে বিকেল এবং গভীর রাত পর্যন্ত শহরের আনাচে কানাচে তিন চাকায় দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিক্সা। তবে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি গাড়ি প্রতিদিন শহরে প্রবেশ করায় এখন এর চাপ আর সহ্য করা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত যানজট আর ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। কিন্তু অটো রিক্সার আধিপত্যের লাগাম কে টানবে সেই প্রশ্ন সবার মাঝে। নগরীর উকিলপাড়া এলাকায় এক ব্যবসায়ী বলেন, অটোর কারণে একটা গাড়িও চলেনা। সামনের দিকে যেতেই পারেনা, এক জায়গাতেই বসে থাকে। এতো অটো ছোট একটি শহরে ঢুকলে শহর ঠিক থাকে কেমনে। চাষাঢ়া থেকে দুই নম্বর গেট পর্যন্তই আসা যায়না। অ্যাম্বুলেন্সও চলেনা। অটো রিকশা যদি একটা নিয়মে না আনা যায় তাহলে কিছুই হবেনা। চাষাঢ়ার শহীদ মিনারের সামনে যানজটে আটকা পড়া এক নারী বলেন, মডার্ন থেকে বাচ্চারে ডাক্তার দেখিয়ে বের হইসি সন্ধ্যা ৭ টায়। রিকশায় যখন উঠি তখন বুঝতে পারিনি যে যানজটে এতো সমস্যা হবে। আধাঘণ্টার বেশি সময় হয়ে যাচ্ছে আমরা চাষাড়া অতিক্রম করতে পারছিনা। বাচ্চাটা হর্নের কারণে অস্বস্তিবোধ করছে কিন্তু কি করবো? রিকশা চালকে যে কিছু বলবো তাও পারছি না কারণ সেও আমাদের সাথেই তো জ্যামে আটকা পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর চাষাড়া এলাকায় দায়িত্বে থাকা এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশের জনবল কম। তবে আমাদের সাথে থানার পুলিশও সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও কাজ করছে। কিন্তু কোনো ভাবেই যানজট বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এই শহরে অটো, সিএনজি ও বাস চালকরা রাস্তার মধ্যেই স্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে। এদের যদি আলাদা জায়গা করে দেয়া যেতো গাড়ি রাখার জন্য তাহলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। এর পাশাপাশি অটো রিকশাগুলোকে একটি শৃঙ্খলায় আনতে হবে। জানতে চাইলে আরো এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, শহরের সড়কগুলো তুলনামূলক ছোট। তারপরও ড্রাইভাররা উল্টো পথে গাড়ি চালায়। তারা কোনো ভাবেই ট্রাফিক আইন মানতে চায়না। থানার পুলিশও এখন আমাদের সাথে কাজ করছে কিন্তু বিশৃঙ্খলা এতো বেশি যে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা