
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের উত্তরাঞ্চল এখনো সন্ত্রাসের জনপদ নামে পরিচিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পরিবহন সেক্টর, জমি দখলসহ মাদক ব্যবসা জমজমাট। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নানা কৌশলে আবারো এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে তখনকার আমলের নিয়ন্ত্রক সন্ত্রাসীরা। এক সময়ে এ জনপদ কামু-সুরত আলী বাহিনীর অবসান হলেও নব্যগডফাদার রূপে নিজেকে জাহির করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আমির হোসেন মদনপুর এলাকার ভয়ঙ্কর শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কামরুজামান কামু ও সুরুত আলী মারা যাওয়ার পর ৫-৭ বছর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- স্তিমিত হয়ে আসে। কামুর স্বাভাবিক মৃত্যু ও সুরুত আলী নিহত হওয়ার পর মদনপুরের নেতৃত্ব চলে আসে আমির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে। আমির হোসেন মদনপুরের পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে থাকলেও খলিল মেম্বার চাঁদাবাজির ভাগ বসাতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ আমলে পুরোটা নিয়ন্ত্রন ছিল আমির হোসেনের। তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের ছেলেও নিয়মিত আসতো আমিরের এখানে। এক পর্যায়ে সে আজমেরী ওসমানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে। এসব কারণে একচ্ছত্র প্রভাব খাটায় তিনি। ২০২৪ এর ৫ আগস্টের পর আমির এলাকা ছাড়েন। কিন্তু সম্প্রতি আবারো তিনি ফিরে এসে মাদক কারবার সহ প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। এরই মধ্যে একজনকে তিনি মারধরও করেন। স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে আজমেরী ওসমান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের উপর ভর করে মদনপুর, চানপুর স্ট্যান্ডে প্রভাব বিস্তার করেন আমির। ৫০০ সিএনজি থেকে সে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে, ৬০০ আটো থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এভাবেই প্রতিদিন ৪০০ হকার থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। এছাড়াও নাফ গাড়ি থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা, শ্রাবণ বাস থেকে ১০০ টাকা, হিমালয় বাস থেকে ১২০ টাকা, দোয়েল বাস থেকে মাসে দেড় লাখ টাকা এবং স্বদেশ বাস থেকে মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। ২০১৬ সালে মদনপুরে আজমীর ওসমানকে এনে মানুষের উপর সে জোর জুলুম ও অন্যায় অত্যাচার চালায়। এমনইভাবে মদনপুরের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার খলিলকে দিনে দুপুরে আমির প্রকাশ্যে ওর লোক দিয়ে আক্রমণ করে তার মাথায় ও ঘাড়ে চাইনিজ কুড়াল সাথে দেশীয় অস্ত্র ধারা গুরুতর ভাবে যখম করে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। এবং পুলিশের সাথে গোলাগুলি করে একজন মারা যায়। এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও পুলিশের দুটি সর্টগান সাথে ওয়্যারলেস ছিনিয়ে নেয় আমির ও তার বাহিনী। আমির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে ইটের ভাটায় বিক্রি করে দেয়। তার প্রতিবাদ করায় জমির মালিক মফিজুল মসজিদ থেকে নামাজ পরে বের হওয়ার পর বাড়ির সমনে থেকে অস্ত্রের মুখে প্রকাশ্যে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আমির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে পাসের ইটের খোলায় নিয়ে যায় পরে তাকে মারধর করে গুরুতর ভাবে যখম করে। সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের এর ওলিপুরা বাজারের পাশে মারব্দি ও কান্দাপাড়া গ্রামে আমিরের একটি বাংলো বাড়িতে ইতোমধ্যে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র বানানোর অনেক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের গনমাধ্যম এখন স্বাধীন হলেও জুলাই বিপ্লবের পর অনেক মিডিয়া হাউজের মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষায় পেশাদার সাংবাদিকদের নানা কায়দায় যন্ত্রনা দিয়ে চলেছে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মিডিয়া হাউজগুলির মালিকরা দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন অজুহাতে পেশাদার সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুত আবার কাউকে কাউকে অবসরে যেতে বাধ্য করছে। অতীতে যেসক পেশাদার সাংবাদিক পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বছরের পর […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯