আজ মঙ্গলবার | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ | ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | দুপুর ২:৩১

মদনপুরে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে

ডান্ডিবার্তা | ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের উত্তরাঞ্চল এখনো সন্ত্রাসের জনপদ নামে পরিচিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পরিবহন সেক্টর, জমি দখলসহ মাদক ব্যবসা জমজমাট। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নানা কৌশলে আবারো এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে তখনকার আমলের নিয়ন্ত্রক সন্ত্রাসীরা। এক সময়ে এ জনপদ কামু-সুরত আলী বাহিনীর অবসান হলেও নব্যগডফাদার রূপে নিজেকে জাহির করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আমির হোসেন মদনপুর এলাকার ভয়ঙ্কর শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কামরুজামান কামু ও সুরুত আলী মারা যাওয়ার পর ৫-৭ বছর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা- স্তিমিত হয়ে আসে। কামুর স্বাভাবিক মৃত্যু ও সুরুত আলী নিহত হওয়ার পর মদনপুরের নেতৃত্ব চলে আসে আমির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে। আমির হোসেন মদনপুরের পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে থাকলেও খলিল মেম্বার চাঁদাবাজির ভাগ বসাতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ আমলে পুরোটা নিয়ন্ত্রন ছিল আমির হোসেনের। তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের ছেলেও নিয়মিত আসতো আমিরের এখানে। এক পর্যায়ে সে আজমেরী ওসমানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে। এসব কারণে একচ্ছত্র প্রভাব খাটায় তিনি। ২০২৪ এর ৫ আগস্টের পর আমির এলাকা ছাড়েন। কিন্তু সম্প্রতি আবারো তিনি ফিরে এসে মাদক কারবার সহ প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। এরই মধ্যে একজনকে তিনি মারধরও করেন। স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে আজমেরী ওসমান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের উপর ভর করে মদনপুর, চানপুর স্ট্যান্ডে প্রভাব বিস্তার করেন আমির। ৫০০ সিএনজি থেকে সে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে, ৬০০ আটো থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এভাবেই প্রতিদিন ৪০০ হকার থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। এছাড়াও নাফ গাড়ি থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা, শ্রাবণ বাস থেকে ১০০ টাকা, হিমালয় বাস থেকে ১২০ টাকা, দোয়েল বাস থেকে মাসে দেড় লাখ টাকা এবং স্বদেশ বাস থেকে মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। ২০১৬ সালে মদনপুরে আজমীর ওসমানকে এনে মানুষের উপর সে জোর জুলুম ও অন্যায় অত্যাচার চালায়। এমনইভাবে মদনপুরের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার খলিলকে দিনে দুপুরে আমির প্রকাশ্যে ওর লোক দিয়ে আক্রমণ করে তার মাথায় ও ঘাড়ে চাইনিজ কুড়াল সাথে দেশীয় অস্ত্র ধারা গুরুতর ভাবে যখম করে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। এবং পুলিশের সাথে গোলাগুলি করে একজন মারা যায়। এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও পুলিশের দুটি সর্টগান সাথে ওয়্যারলেস ছিনিয়ে নেয় আমির ও তার বাহিনী। আমির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে ইটের ভাটায় বিক্রি করে দেয়। তার প্রতিবাদ করায় জমির মালিক মফিজুল মসজিদ থেকে নামাজ পরে বের হওয়ার পর বাড়ির সমনে থেকে অস্ত্রের মুখে প্রকাশ্যে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আমির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে পাসের ইটের খোলায় নিয়ে যায় পরে তাকে মারধর করে গুরুতর ভাবে যখম করে। সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের এর ওলিপুরা বাজারের পাশে মারব্দি ও কান্দাপাড়া গ্রামে আমিরের একটি বাংলো বাড়িতে ইতোমধ্যে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র বানানোর অনেক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা