আজ শনিবার | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৫ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ৯:৩৪

মাজারবিরোধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি

ডান্ডিবার্তা | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ওলি-আউলিয়ারা বাংলাদেশে ইসলামের ভিত্তি স্থাপন করেছেন এবং তা বিস্তারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন, এটি অনস্বীকার্য। কিন্তু ওলি-আউলিয়া, পীর-মাশায়েখ, দ্বীনের কাজে নিয়োজিত থেকে জীবন বিলিয়ে দেওয়া ফকির-দরবেশদের মাজারের ওপর এক শ্রেণির শকুনের দৃষ্টি পড়েছে। এসব মাজারবিরোধী তথা ওলি-আউলিয়া, পীর-মাশায়েখ বিরোধী চক্ররা ইতিপূর্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার, খানকা শরীফে সহিংসতা চালিয়েছে, ভাঙচুর-লুটপাট করেছে। এ ধরনের সহিংসতা দেশের ত্বরিকতপন্থীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। কুমিল্লার হোমনায় চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত মাজারবিরোধী চরমপন্থীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি তুলছেন দেশের ত্বরিকতপন্থী নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও কুমিল্লার নাগরিক সমাজ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবারের মাজারে ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ও উসকানিদাতাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের অন্তত দুই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। এর আগে গ্রেফতার মহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী রবি/সোমবার রিমান্ডে শুনানি হতে পারে। ঘটনার পর থেকে আসাদপুর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর গ্রামে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ও ত্বরিকতের প্রচারে ভূমিকা রাখা সুফি সাধকদের মধ্যে হোমনার আসাদপুরে যে কয়েকটি মাজার শরীফ রয়েছে, এটির কোনোটি সময়কাল অর্ধশত বছরেরও বেশি। হোমনা বা আশপাশের উপজেলা এমনকি দূরদূরান্ত জেলা থেকেও ভক্ত, আশেকানরা আসাদপুর গ্রামে মাজার দর্শনে আসতেন। মাজারগুলোর প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময়েও কেউ কখনো মাজারের কর্মকাÐ নিয়ে বিরোধিতা করেনি। বরং ত্বরিকতের কাজে এলাকার মানুষ সবসময় ছিলেন আন্তরিক। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাজারগুলোতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিস্মিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাদের দৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার সকালে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন মুহূর্তের মধ্যে জড়ো করে এত বড় ঘটনা সংঘটিত করার নেপথ্যে মাজারবিরোধী কোনো গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে, যারা হোমনার এই গ্রামের স্থানীয় নয়। এই হামলা পরিকল্পিত এবং বুধবার রাতেই ছক করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, হামলায় অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই বাইরের লোক। হামলার শিকার মাজার সংশ্লিষ্ট লোকজন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। গত বুধবার ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের ছেলে মহসিন মহানবি হযরত মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেয়। এতে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসিনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মহসিনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হোমনা থানায় মামলা করেন। পরের দিন গত বৃহস্পতিবার সকালে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে উত্তেজিত করে মাজার ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তারা প্রথমে মহসিনের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। পরে সেখানে থাকা কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর হামলাকারীরা মিছিল নিয়ে আসাদপুর গোমের আবদু শাহর মাজার, কালাই শাহের মাজার এবং হাওয়ালি শাহর মাজারে ভাঙচুর করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা