আজ শুক্রবার | ৩ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ | ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭ | রাত ৪:০৮

বক্তাবলীবাসীর দূর্ভোগের কারিগর যারা

ডান্ডিবার্তা | ০২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারিগর হয়ে দাঁড়িয়েছে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম আজাদ ছাড়াও কতিপয় কয়েকজন তাদের সহযোগী। বক্তাবলীর যেকোনো ঘটনায় এ সকল বিএনপির নেতারা অতি আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় সমাধানের পরিবর্তে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা কর্মীসহ সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আহমেদের অনুসারিরা। জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মামলা থাকার কারণে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আব্দুর রশিদ আহমেদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। নিয়ম মোতাবেক দুই নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কিন্তু তা না করে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান বিভিন্ন মেম্বারদের ফোন করে পরিষদে আসতে বলেন।( অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে) মেম্বাররা ভয়ে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিষদে এসে বৈঠক করেন। যা ছিল একেবারে অনিয়ম ও পরিষদের গঠনতন্ত্র বিরোধী। আইন মোতাবেক আলমগীর হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব না দিয়ে নজরুল ইসলাম প্রধান, মতিউর রহমান ফকির সহ কয়েকজন বিএনপি নেতা দুপুরের পরে উল্লেখিত মেম্বারদের নিয়ে উপজেলা পরিষদে যায়। সেখান থেকে তারা আওয়ামী লীগ নেতা ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আকিলউদ্দিনকে পুলিশের কাছে তুলে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আকিল মেম্বারকে পুলিশ আটক করছে দেখে ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন ভূঁইয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও পুলিশের গ্রেফতার হতে নিজেকে রক্ষা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি নেতা কর্মীরা জানান, নজরুল ইসলাম প্রধান, মতিউর রহমান ফকির, রাসেল প্রধান, হালিম আজাদ বক্তাবলীর যেকোনো ঘটনা ঘটলেই নিজেরা আগ বাড়িয়ে এগিয়ে গিয়ে সুবিধে আদায় করে থাকেন। এতে করে বক্তাবলীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এ সকল নেতাদের ওপর বক্তাবলীর বিএনপি নেতা সহ সাধারণ  মানুষ ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট। কারণ আলমগীর হোসেন আইন মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও এদের কারনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী ইয়াসিন আরাফাত কে প্রশাসক নিয়োগ দেন। তিনি প্রতিদিন যেতে তো পারবেন এই না বরং সপ্তাহে এক দুই দিন যেতে পারেন পরিষদে। এতে করে নাগরিক সেবা চরমভাবে বিঘœ ঘটবে। রশিদ আহমেদ মেম্বার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রতিদিন পরিষদে গিয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে নাগরিক সেবা প্রদান করতেন। এমনকি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদ প্রতিদিনের টা প্রতিদিন নাগরিক সেবা প্রাপ্তদের হাতে তুলে দিতেন। বিএনপি নেতাদের কারণে এখন প্রায় পাঁচ চল্লিশ হাজার জনগোষ্ঠীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এ ব্যাপারে বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম প্রধান মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মতিউর রহমান ফকির বলেন,আমরা চাই বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা ঠিক মতো চলুক। রশিদ মেম্বারের মামলা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে চলুক। রাসেল প্রধান বলেন,আমরা পরিষদে গেছি। সেখানে মেম্বাররা উপস্থিত ছিলো। তারা বললো আমাদের সাথে কথা আছে। আমরা বসে বলছি পরিষদের কাজ যেন ঠিক মতো চলে। আইন মোতাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান -২ দায়িত্ব পালন করবে। রশিদ মেম্বারকে কেউ ধরিয়ে দেয় নাই। বৈষম্য বিরোধী মামলা থাকায় তাকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে হালিম আজাদ বলেন,আমরা চাই পরিষদের কাজ সুষ্ঠু ভাবে চলুক। আলমগীর দায়িত্ব পালন করুক। কাউকে কেন ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা বেগম মুঠোফোনে জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪. কমকে বলেন, আদালতে ৬ মাসের রিট রয়েছে। এজন্য প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা