আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৪৭

বন্দরে ধরা ছোয়ার বাইরে প্রকৃত আওয়ামী দোসররা

ডান্ডিবার্তা | ০৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর ১৩ মাস পার হলেও এখনো প্রকৃত আওয়ামী লীগের দোসররা ধরা ছোয়ার বাইরে আছেন, এমনকি অনেকের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা থাকার পরেও অনেকে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন, নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন ও বিভিন্ন অনুুষ্ঠানে দিব্যি অংশ নিচ্ছেন। সূত্র মতে, বন্দর থানার মধ্যে সবচেয়ে বেশী মামলা বাণিজ্য হচ্ছে মুছাপুর ইউনিয়নে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সচেতন ব্যক্তি সাংবাদিকদেরকে জানান, ৫ আগস্টের পর মুছাপুর ইউনিয়ন শান্ত থাকলেও এখন আর শান্ত নেই। কিছু বিএনপি নেতা পুলিশের সাথে মিলে মিশে এই মামলা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্রকৃত আওয়ামী দোসররা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন কিন্তু গ্রেফতার হচ্ছেন নিরিহ সাধারণ জনগণ। মামলা ও গ্রেফতারি আতংক এড়াতে অনেকেই এলাকার বাইরে চলে গিয়ে পলাতক জীবন বরণ করে নিয়েছেন, অনেকে আবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নিজ বাড়ির পরিবর্তে অন্যত্র অবস্থান করছেন। সচেতন মহল আরো জানান, ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সবজায়গায় আসামী ও আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেফতার হলেও মুছাপুরে তার ব্যতিক্রম। এখানে সিনিয়র কোন আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী দোসর গ্রেফতার হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে তাদেরকে এই ছাড় দেয়া হচ্ছে এবং এলাকায় থাকা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের কর্মী যারা দলের নাম ব্যবহার করে কোন সুবিধা নেয়নি, তাদেরকেই বেশী হয়রানী করা হচ্ছে। মামলা বাণিজ্য করা একটি চক্র কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করে মামলার ভয় দেখায় ও অর্থ দাবী করে। চাহিদামতো টাকা না দিতে পারলে ও পূর্ব থেকে যার সাথে বিরোধ রয়েছে তাকে কৌশলে কোন মামলায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে অথবা কম্পিউটার দোকান থেকে আওয়ামী লীগের প্যাড বানিয়ে সেখানে একটি কমিটি বানিয়ে একজন ব্যক্তির নাম একটি পদে বসিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা সাজিয়ে সে তালিকা দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিচ্ছে। কাদির ডিলারের ছেলে মনির হোসেনকে আহবায়ক বানিয়ে ২০০৩ সালে মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়, ২২ বছরেও সে পূর্নাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি, অথচ মুছাপুরের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুব আলমকে মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আখ্যা দিয়ে কিছুদিন আগে পুলিশ গ্রেফতার করে, এমনকি এই মাহাবুব আলম ৫ আগস্টের আগে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের লেগুনা পোড়া মামলায় আসামী হয়েছিলেন। একজন ব্যক্তি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বিধায় বিগত সরকার তাকে মামলার আসামী করেছে, আবার একই ব্যক্তিকে ছাত্র আন্দোলনে মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সচেতন মহল জানান, গত শনিবার মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আখ্যা দিয়ে মোক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে ছিলেন, গত ২ মাস আগে দেশে এসেছেন। নিরিহ মানুষকে এভাবেই মুছাপুরে হয়রানী করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান নিরিহ মানুষ এবং এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুছাপুরের সচেতন মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা