
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর ১৩ মাস পার হলেও এখনো প্রকৃত আওয়ামী লীগের দোসররা ধরা ছোয়ার বাইরে আছেন, এমনকি অনেকের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা থাকার পরেও অনেকে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন, নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন ও বিভিন্ন অনুুষ্ঠানে দিব্যি অংশ নিচ্ছেন। সূত্র মতে, বন্দর থানার মধ্যে সবচেয়ে বেশী মামলা বাণিজ্য হচ্ছে মুছাপুর ইউনিয়নে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সচেতন ব্যক্তি সাংবাদিকদেরকে জানান, ৫ আগস্টের পর মুছাপুর ইউনিয়ন শান্ত থাকলেও এখন আর শান্ত নেই। কিছু বিএনপি নেতা পুলিশের সাথে মিলে মিশে এই মামলা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্রকৃত আওয়ামী দোসররা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন কিন্তু গ্রেফতার হচ্ছেন নিরিহ সাধারণ জনগণ। মামলা ও গ্রেফতারি আতংক এড়াতে অনেকেই এলাকার বাইরে চলে গিয়ে পলাতক জীবন বরণ করে নিয়েছেন, অনেকে আবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নিজ বাড়ির পরিবর্তে অন্যত্র অবস্থান করছেন। সচেতন মহল আরো জানান, ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সবজায়গায় আসামী ও আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেফতার হলেও মুছাপুরে তার ব্যতিক্রম। এখানে সিনিয়র কোন আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী দোসর গ্রেফতার হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে তাদেরকে এই ছাড় দেয়া হচ্ছে এবং এলাকায় থাকা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের কর্মী যারা দলের নাম ব্যবহার করে কোন সুবিধা নেয়নি, তাদেরকেই বেশী হয়রানী করা হচ্ছে। মামলা বাণিজ্য করা একটি চক্র কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করে মামলার ভয় দেখায় ও অর্থ দাবী করে। চাহিদামতো টাকা না দিতে পারলে ও পূর্ব থেকে যার সাথে বিরোধ রয়েছে তাকে কৌশলে কোন মামলায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে অথবা কম্পিউটার দোকান থেকে আওয়ামী লীগের প্যাড বানিয়ে সেখানে একটি কমিটি বানিয়ে একজন ব্যক্তির নাম একটি পদে বসিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা সাজিয়ে সে তালিকা দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিচ্ছে। কাদির ডিলারের ছেলে মনির হোসেনকে আহবায়ক বানিয়ে ২০০৩ সালে মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়, ২২ বছরেও সে পূর্নাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি, অথচ মুছাপুরের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুব আলমকে মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আখ্যা দিয়ে কিছুদিন আগে পুলিশ গ্রেফতার করে, এমনকি এই মাহাবুব আলম ৫ আগস্টের আগে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের লেগুনা পোড়া মামলায় আসামী হয়েছিলেন। একজন ব্যক্তি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বিধায় বিগত সরকার তাকে মামলার আসামী করেছে, আবার একই ব্যক্তিকে ছাত্র আন্দোলনে মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সচেতন মহল জানান, গত শনিবার মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আখ্যা দিয়ে মোক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে ছিলেন, গত ২ মাস আগে দেশে এসেছেন। নিরিহ মানুষকে এভাবেই মুছাপুরে হয়রানী করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান নিরিহ মানুষ এবং এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মুছাপুরের সচেতন মহল।
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জে আইনের শাসন কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ না হওয়ার ফলে শহরে চলাচল সাধারণ নগরবাসীর জন্য এক বিড়ম্ভনা। শহরে ব্যটারি চালিত ইজিবাইক দিন দিন বাড়ছে। ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় পথচারিরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেন না। বন্ধন ও উৎসব বাসগুলি চেম্বার রোডের পুরোটাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দখল করে রাখে। রাত ৮টার পর থেকে শহীদ […]
মোবায়েদুর রহমান ক্ষমতার করিডোর থেকে যেসব পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো শুনে মনে হচ্ছে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটি শেষ পর্যন্ত হয়তো কেটে যাবে। ঐকমত্য কমিশনের কার্যকালের সর্বশেষ মেয়াদ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু জুলাই সনদ বাস্তবায়ন শেষ মুহূর্তে আটকে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো দেশে এমন […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯