আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭ | দুপুর ১২:১১

গোদনাইলে পদ্মাডিপোতে তেল চোর সিন্ডিকেট বেপরোয়া

ডান্ডিবার্তা | ০৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদানাইল পদ্মা ডিপোতে চোরাই তেলের ব্যবসা যেন কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেই হাসিনা আমলা থেকে আজ অব্দি যেন একই রূপে চলছে চোরাই তেলের ব্যবসা। এখানে চোরাই তেল পাচারে সক্রিয় রয়েছে একাধিক চক্র বা সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে চেকার ফারুক এবং রাজীবের সিন্ডিকেট উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ রয়েছে, এ দুটি চক্র বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে বীরদর্পে চোরাই তেলের ব্যবসা করে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়, জব্দ করে চোরাই তেল। এতে দু একদিন চুরি বন্ধ থাকলেও আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। চলতে থাকে তেল চুরি। সূত্র মতে, চেকার ফারুক এবং রাজীবের নেতৃত্বে গোদনাইল ডিপোতে তেল চুরির অনেকটা মহোৎসব চলছে। তাদেরকে যেন কোনভাবেই রুখা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছে, ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজীবগংরা আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে বেশ কিছুদিন চোরাই তেলের কারবার বন্ধ থাকে। এরপর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার অভিযোগে রাজীবের বিরুদ্ধে একাধীক মামলাও হয়। কিন্তু তবুও কোন এক রহস্যজনক কারণে তিনি বর্তমানে নিজ এলাকাতে বহাল থেকে পূর্বের রূপে আবারও চোরাই তেলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। সূত্রটি আরও জানান, চেকার ফারুক ও রাজীবের তেল চোর সিন্ডিকেটে বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তারা হলেন, তাদের মধ্যে ডিপোর কর্মকর্তা রবিসহ রয়েছে মন্ডল, আর চেকার ফাহাদের ভাই আনোয়ার হোসেন। ডিপোর কর্মকর্তা রবি অকটেন, মন্ডল জেটএওয়ান বিমানের তেল আর চেকার ফাহাদের ভাই আনোয়ার ডিজেল তেল নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের যোগসাজসে ৯ হাজার লিটার চালানে ডিপো থেকে তেল বের হয় সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৮ হাজার লিটার পর্যন্ত, এমনও দাবি করে সূত্রটি। এভাবে দিনের আলোতেই পাচার হয়ে যাচ্ছে ডিপোর হাজার হাজার লিটার তেল। স্থানীয়রা বলছে, সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের মামা শ^শুর জালালের হাত ধরেই আওয়ামী লীগের দোসর এবাদুল্লা ওরফে এবা’র ছেলে রাজীব চোরাই তেল সিন্ডিকেটে প্রবেশ করে। রাজীব এক সময় ট্যাঙ্কলড়ির ড্রাইভার ছিলো। সেই সুবাদে তার এ রাস্তা আগের থেকে চেনাজানা ছিলো। ফলে শামীম ওসমানের মামা শ^শুর জালালের সেল্টারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পদ্মা ডিপোর পুরো চোরাই তেল সিন্ডিকেট নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন তিনি। আওয়ামী লীগ আমলে তারা চোরাই তেলের ব্যবসা করে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কিন্তু সেই সরকারের পতন হলেও তারা রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। বর্তমানে তারা সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন ও জেলা বিএনপির আহŸায়ক মামুন মাহমুদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছেন এবং প্রভাবখাটিয়ে চোরাই তেলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধীক মামলা থাকা সত্বেও তারা যেন প্রশাসনকে এক প্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকায় বহাল থেকে চোরাই তেলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমরা জানিনা, কিভাবে তারা এলাকায় থাকছেন এবং এখনও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে ঠিক কি রহস্য রয়েছে আমরা জানিনা। তবে যে রহস্যই থাকুক না কেন, আমরা স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে এভাবে তেল চুরি বরদাস্ত করতে পারি না। তাই আমরা এসমস্ত তেল চোরদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা এ জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১১ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা চাই, প্রশাসন যেন দ্রæত এসমস্ত তেল চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে হাজার হাজার লিটার তেল চুরি হওয়া থেকে ডিপোটিকে রক্ষা করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা