আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭ | বিকাল ৪:১৮

মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার সেফ এক্সিটের সুযোগ নেই

ডান্ডিবার্তা | ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান–পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ওখানে আছেন। তাঁরা যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। যাঁরা এ ধরনের চিন্তা করেন, তাঁদের জন্য বলতে হয় মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তে যান, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের ধরবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলার সমন্বয় সভা শেষে সারজিস আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সারজিস আলম অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় লীগ নামে একটি দলকে নিবন্ধন দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ দলটির অস্তিত্ব বলতে টয়লেটের পাশে একটি ছোট ঘর ছাড়া কিছুই নেই। তিনি বলেন, যেকোনো দলকে নিবন্ধন দিতে হলে আগের মানদÐ অনুসরণ করলে চলবে না, সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই করতে হবে। যদি এটি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কোনো প্রচেষ্টা হয়, জনগণ ও এনসিপি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের ভালো মানুষেরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি তা কখনোই মেনে নেবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘শাপলা প্রতীকে আইনগত কোনো বাধা নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে অথবা কারও চাপে পড়ে এমনটা করছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রেখে কাজ করবে বলে আশা করি।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সা¤প্রতিক এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি বলেছেন, যেই ভাইকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন, তাঁকে আর দেখতে পারবেন না। তাঁর যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি, সেই ঘর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলোয় আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না। বিএনপির অনেক নেতা–কর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এগুলো আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময় যেন আশ্রয়–প্রশ্রয় দেওয়া না হয়, আমরা সেটাও দেখতে চাই। সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহŸায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা