শীতলক্ষ্যায় ভাসছে বাবুলের ধানের শীষের ব্যানার

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ ঢেকে গেছে আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলের ধানের শীষে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর-বন্দর আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশি ও প্রাইম গ্রæপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি বাবুলের প্রচারণায় বন্দরে আলোচনা তোড়পাড় সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা মাঝিরা ধানের শীষ প্রতীক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত বাবুলের বড় বড় ব্যানারে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নৌকার মাঝি জানিয়েছেন, দীর্ঘ বছর পর নৌকা ঢেকে গেছে প্রার্থী বাবুলের ধানের শীষে। গত সোমবার ভোর থেকে শহর-বন্দর প্রধান সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে নৌকাগুলো ছাউনীতে বাবুলের নির্বাচনী প্রচারণা দেখা মিলে। নদী এপার থেকে ওপারে নৌকা চলাচলের কারণে তারেক রহমান ও প্রাইম বাবুলের ছবি ভেসে উঠেছে। ছাউনীতে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ধানের শীষের প্রতীক ও নির্বাচনের ভোট বাক্স সম্বলিত বড় ব্যানারে হাস্যজ্জল প্রার্থী প্রাইম বাবুল ছবি দেখা গেছে। নৌকার কয়েক যাত্রীরা জানান, শীতলক্ষ্যা নদীতে এই সেন্ট্রাল ঘাটে তারেক রহমানের ছবি ও ধানের শীষের প্রতীক দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ জানাই মনোনয়ন প্রত্যাশি শিল্পপতি বাবুলকে, তিনি সকালকে সুন্দর করে তুলেছেন। ঘনিয়ে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী মাস নভেম্বরে যে কোনো দিন ঘোষণা হবে নির্বাচনী তফসিল। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই শুরু হবে বিএনপি মনোনয়ন ফরম বিক্রি। এর আগে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ করছেন শহর-বন্দর আসনের প্রার্থীরা। এদের মধ্যে আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল দলের অভ্যন্তরীণ চ্যানেলে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তেমনি শহর-বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন টানিয়ে নিজ নিজ মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। এদিকে শিল্পপতি বাবুল নির্বাচনী ঘোষনা পর থেকে শহর-বন্দর এলাকায় বিএনপি ভোটের হিসাব বেড়েছে বলে জানিয়েছে তৃনমূল। ইতোমধ্যে দলের হাই কমান্ড ও মহানগর বিএনপি তৃনমূলের সবুজ সংকেতে মাঠে নেমেছেন প্রাইম বাবুল। নারায়ণগঞ্জ শহর-বন্দর সড়কের পাশের দেয়াল ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোস্টার, ব্যানার টানিয়ে প্রচারণা করতে দেখা গেছে বাবুলের। একই সাথে মশক নিধন কর্মসূচী, শারদীয় দূর্গোৎসবে পূজা মন্ডপের জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান, নিজ ভবনকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ, মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি সমর্থনে শিল্পপতি বাবুল প্রার্থীতায় এগিয়ে রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটি ও জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ককে এক মঞ্চে বসিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন প্রার্থী বাবুল। নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া মৃত আব্দুর রশিদ আহমেদের ছেলে আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল। ১৯৭৭ সালে জাগদল সক্রিয় সদস্য হয়ে খাল খনন কর্মসূচী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠনকালে দলের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৮-১৯৮২ সালে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইদুর রহমান বাচ্চা নেতৃত্বে সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৮২-১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন সহ নানান আন্দোলন সংগ্রামে দেখা গেছে। ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সংযুক্ত হয়ে অব্যাহত রয়েছেন। যার কারণে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিএনপির সদস্য ও দাতা হবার কারণে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ ও তাদের পেটোয়া বাহিনী দ্বারা জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতে জেলা ও মহানগর বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। তার কারণে বাবুলের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগের ফ্যাসিষ্ট গুন্ডাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও গুলি বর্ষণ করা হয়। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটির তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন বাবুল। মহামারী করোনা সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি ও প্রায় দশ হাজার মানুষের মাঝে ওষুধ বিতরণ করেছেন আবুল জাফর বাবুল। এছাড়াও পুলিশের হামলায় পঙ্গুত্ববরণকারীকে চিকিৎসা ও পরিবারকে পূণবার্সন, জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনের আহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসা প্রদান, প্রতি ঈদে শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ, মিশনপাড়া পঞ্চায়েত থেকে দুস্থ পরিবারের সন্তানদের নিজস্ব তহবিলে পড়াশুনা খরচ বহণ ও নিজস্ব ক্লিনিকে প্রতি মাসে দশ জন রোগীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া সহ বিগত ভয়াবহ বন্যকালীন সময়ে প্রাইম গ্রæপ থেকে সহয়তা করা হয়েছে।