আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭ | দুপুর ১২:১০

আসামীর পরিবারের কাছে থানার রাইটারের ২০ হাজার টাকা দাবী!

ডান্ডিবার্তা | ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত সোমবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লিংকরোডের জেলা পরিষদের সামনে মৌমিতা পরিবহনের ধাক্কায় নিহত ও আহতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা মডেল থানায় দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা মৌমিতা বাসের চালক রুবেল এবং হেলপার নাঈম শেখকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করলে তারা উভয়েই থানা হেফাজতে রয়েছেন। এদিকে ছেলের এ বিপদের কথা শুনে সকাল থেকেই সাভার হেমায়েতপুর থেকে ফতুল্লা মডেল থানা অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন নাঈমের মা এবং বোন জান্নাতি ও ভাগ্নি। থানার পাশে থাকা কম্পিউটারের দোকানগুলো থেকেই থানায় সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষগুলো আসেন এবং মামলা সংক্রান্ত কাজগুলো সেখানে থাকা কম্পিউটারের দোকানেই সম্পন্ন করে পুলিশ সদস্যরা। জান্নাতির ভাই মৌমিতা বাসের হেলপার নাঈমকে পুলিশী রিমান্ড থেকে বাচাঁতে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন শহিদ কম্পিউটারের মালিক মো.শহিদ ওরফে রাইটার। পরবর্তীতে ১০ হাজার টাকা হলেও দিতে বলেন নতুবা তার ভাইকে ১০ দিনের রিমান্ডে আনা হবে বলে ভীতি দেখান রাইটার শহিদ। সাংবাদিকদের কাছে ভুক্তভোগী জান্নাতি বলেন, এ ঘটনা শুনে সকাল থেকেই আমরা থানায় বসে আছি। রিমান্ড কাটানোর কথা বলে পাশে থাকা কম্পিউটারের দোকানের সেই বয়স্ক সুন্দর দাড়ি আছে লোকটি আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে বলেন। পরে আবার বলেন, অন্তত ১০ হাজার টাকা দাও নতুবা ১০ দিনের পুলিশী রিমান্ডে আনা হবে। আমি তাকে বলেছি বাড়িতে আমার আত্মীয়-স্বজনরা রয়েছে তাদের সাথে কথা বলে আমি আপনাকে জানাচ্ছি। সে আরও বলেন, আমার ভাই সামান্য একটু গাড়ি চালিয়েছিলো। কিন্তু পরে চালক নিজেই গাড়ি চালিয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটান। এখানে তো আমার ভাইয়ের কোন দোষ নাই সে তো বাসের হেলপার। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, থানার পাশে থাকা যতগুলো কম্পিউটার কম্পোজের দোকান রয়েছে তার মধ্যে রাইটার শহিদ একজন অসাধারন লোক। জিডি কিংবা অভিযোগ লিখতে গিয়ে মাঝে মধ্যে সেবা প্রার্থীদেরকে গলাকাটার অবস্থা করেন। এছাড়াও থানায় কোন অভিযোগ করতে আসা সাধারন মানুষের কাছ থেকে পুলিশের ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্যও অগ্রিম টাকা নিয়ে যান। এমনও শত শত অভিযোগ রয়েছে এ রাইটার শহিদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মামলার চার্জসীট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশের অগোচরে আসামীর নাম বাদ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে এ রাইটার শহিদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে থানা পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পান তিনি। এ বিষয়ে শহিদ কম্পিউটার এন্ড কম্পোজ সেন্টারের কর্নধার মো.শহিদ বলেন, ঐ মহিলাটি সকাল হতেই থানার সামনে ঘুরাফেরা করছিল। কারন থানার ভেতরে তো অনেক দালাল চলাচল করে থাকে। আমি ঐ মহিলাকে বলেছি আপনাদের লোককে জামিন করাতে হলে ভাল আইনজীবির মাধ্যমে করাতে হবে। এতে ২০ হাজার টাকা লাগতে পারে। তাদের সাথে জামিনের কথা হয়েছে কোন রিমান্ডের কথা বলা হয়নি।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা