আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭ | বিকাল ৩:২৮

তারেক জোয়ারে তলিয়ে যাবে জামায়াত

ডান্ডিবার্তা | ১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শীঘ্রই তারেক রহমান দেশে আসছেন। ভোটের সময় জনগণের পাশে থাকবেন। স¤প্রতি এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের বাকি চার মাসেরও কম সময়। তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে ডিসেম্বরে। তবে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দেশে আসার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানাতে পারেনি দলটি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের বড় দল বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দুজনই সরাসরি জনসম্মুখের রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একাই রাজনীতির মাঠ গরম রেখেছে। দেশের তিনশ’ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করে জনসংযোগ, দলীয় কর্মসূচি দিয়ে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ধরে দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রী সংস্থা, মহিলা জামায়াতসহ পেশাজীবীদের অনেকেই প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। পাঁচ আগস্টের পর থেকে দলটির সবাই রাজনীতিতে বড় আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশেজ্ঞরা মনে করছেন। রাজনীতিতে চোখ রাখা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার মাঠ শুন্যতায় একাই ভোটের মাঠে খেলে যাচ্ছে দলটি। আর বিএনপি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারায়, জামায়াতের সক্রিয়তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে দলটির নেতাকর্মীদের। স¤প্রতি ডাকসু -জাকসুসহ ছাত্রসংগঠনগুলোর নির্বাচনেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। আর ভূমিধস বিজয় লাভ করে শিবির সমর্থিত প্যানেল। ভোটের মাঠে জামায়াতের খেলায় এবং জয়ের স্রোতধারায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছে। তারেক রহমানের দেশে আসা কিংবা খালেদা জিয়ার ভোটের মাঠে প্রচার ব্যাতীত দলীয় নেতাকর্মীরা প্রাণশক্তি পাবে না বলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তবে তারেক রহমান দেশে ফিরলে জামায়াত ঢেউ ভেঙে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তখন তারেক জোয়ারে তলিয়ে যাবে জামায়াত। ফেব্রæয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের রোডম্যাপ দিয়েছে ড. ইউনূস সরকার। এখন থেকেই পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার, চায়ের দোকান রাজনৈতিক পাড়ায় শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ নিয়ে নানা সমীকরণ। চলছে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের কপালে রয়েছে এখনো কিছুটা চিন্তার ভাঁজ। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায় নতুন নেতৃত্বে জট লেগেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে অনেক সতর্কতার সঙ্গে হিসাব কষতে হচ্ছে। চব্বিশ পরবর্তী যেমন তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে আবার সিনিয়র রাজনীতিবিদেরও অসন্তোষ রাখতে চাচ্ছে না দলটি। বিগত ১৭ বছরে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও, ছাত্রদল, যুবদলের বড় একটা এবার ভোটের মাঠে লড়তে চাচ্ছেন। প্রতিটি আসনে প্রায় ৫ থেকে ১০ জনের অধিক প্রার্থী রয়েছে। এমন কিছু আসন রয়েছে তরুণদের অগ্রাধিকার দিলে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরা বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন। আবার যারা মাঠে ছিলেন তারা বিবেচিত না হয়ে যদি ব্যবসায়ী বা ভিন্ন কোনো ইঙ্গিতে কাউকে প্রার্থী করা হয় সে ক্ষেত্রেও দলের ত্যাগী নেতারা কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। এমন বহুমুখী চাপের মধ্যে সময় পার করছে দলটি। এ ক্ষেত্রে সুবিধাজনক সময়ে রয়েছে জামায়াত। ভোটের প্রায় এক বছর পূর্বেই প্রতিটি আসনে চুড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে তারা। ভোটের আগেই কোমর বেঁধেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপি পাড়াতেও এখন ভোটযুদ্ধ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা