আমরা খেলতে প্রস্তুত: শামীম ওসমান
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখানেও ষড়যন্ত্র হয় খেলা হয়। যারা খেলছেন এতদিন চুপ ছিলাম। ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। সামাল দিয়ে চলেন। রাজপথ দখল করবেন করেন। আমরা বসে আছি তোমাদের সাথে খেলার জন্য। রাজাকারের সন্তানদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের খেলা হবে। সে খেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই জিতবে। গতকাল রোববার বিকেলে তল্লায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফ উল্লা বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম, শওকত আলী ও ফতুল্লা ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মিছির আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এহসানুল হক নিপু, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আব্দুল কাদির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অলিউল্লাহ, যুগ্ম সস্পদক শরিফুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান সহ নেতৃবৃন্দ। বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, কেন তাদের চায়ের দাওয়াত দেন। যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদের আপনি চায়ের দাওয়াত দিতে পারেন না। কি ঠেকা পড়েছে আমাদের যে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমাদের ঠেকা পড়েনি গণতন্ত্র চর্চা করার। যারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় তাদের কেন চায়ের দাওয়ার দিচ্ছেন। আপনি এখন বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বলেন, আজ একুশে আগষ্ট। আজ থেকে একুশ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছিল। ১৬ জুন ২০০১ সালে বোমা মারা হয়েছিল। নিজের কাছে অপরাধবোধ হয়, মাফ করতে পারি না। অপরাধ করেছিলান স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম নিয়ে। অপরাধ করেছিলাম কারণ সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখেছিলাম। বেশীকিছু করিনি, শুধু বলেছিলাম এ নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটি যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম যেখানে ভাষা আন্দোলন শুরু সেখানে বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রবেশ নিষেধ। এই অপরাধে আওয়ামী লীগ অফিসে আরডিএক্স দিয়ে হামলা করা হল। আমাদের হাত পা বিকল হয়ে গেল। আমাদের অপরাধ কি। আমাদের ২০জন মানুষ যে মরল তারা কি মানুষ না। তখন আমার জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালে নেয়ার পর আমি জানতাম না কয়জন মারা গেছে। জ্ঞান ফেরার পরে শুধু একটা কথাই বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমি বলিনি আমাকে বাঁচাও কষ্ট হচ্ছে। আমি বলেছি শেখ হাসিনকে বাঁচান। কারণ আমি উপলব্দি করেছিলাম আমি মারা গেলে কিছু হবে না তবে শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। এই বোমা হামলার দায়ও আমাদের দেয়া হল। আমাদের অত্যাচার করা হল। তিনি আরও বলেন, আমরা তো ক্ষমতায় আছি। কাউকে তো মারলাম না ধরলাম না। কারণ শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি সব হারিয়ে ধৈর্য ধরেছি। তোমরাও ধৈর্য ধরো। আমি জাতির পিতার কন্যার উদ্দ্যেশ্যে বলছি ধৈর্যের সীমা আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার কন্যাকে বেঁচে যাওয়ার অপরাধে ২১বার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। “আজ বাংলাদেশে মানবাধিকারের কথা শুনি। কোথায় ছিল সেদিন মানবাধিকার। জাতিসংঘ থেকে মানবাধিকার শেখাতে আসছেন। রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে দিয়েছে সেখানে তো মানবাধিকার দেখালেন না। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা আর পনেরো বিশ বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মত দেশ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের তো সোনার শরীর পুড়িয়ে বিদেশে কাজ করার কথা না। তারা আমাদের মত যারা কিশোর ছিল তাদের স্বপ্নকে হত্যা করেছিল। তারপরেও তারা শান্তি হয়নি। শামীম ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মারার পর আমাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা বাচ্চাদের স্বপ্ন। আজ আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপির ফখরুল সাহেব হাসতে হাসতে বললেন সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হয়ে যাবে। এতে তো আপনার খুশি হওয়ার কথা না। দুঃখ কষ্ট পাওয়ার কথা।