দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্য চায় আ’লীগ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগস্ট মাসকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ এক হতে পারেনি। তারা আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। দলের সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পুরো জেলাজুড়ে কর্মসূচি পালন করছেন। আলাদা আলাদাভাবে পালিত এসব কর্মসূচিতে এবার দলে ঐক্যের বার্তা দিতে পারেনি কেউ তবে সকলেই কোন্দলকে তুলে ধরে ঐক্য ফেরাতে অনুরোধ করেছেন। ১৫ আগস্টের নানা কর্মসূচিতে দলটির শীর্ষ নেতারা এমন বক্তব্য রাখেন। জানা যায়, বন্দরে শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবহেলিত এবং একদল নেতাকর্মী সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। এ অভিযোগে নানা বক্তব্যের সূত্র ধরে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। তিনি জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, তাদের তো ভোট নেই নেত্রী দয়া করে মনোনয়ন দেন। আমাদের ভোটে তারা জয়ী হন। সভায় দলের কোন্দল নিয়েও বক্তব্য রাখেন কয়েকজন নেতা। তবে সে ব্যাপারে কোন কিছু প্রকাশ্যে বলেননি হাই। জেলা আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে একটি বড় কর্মসূচি এবার পালন করতে পারেনি। একেক কর্মসূচিতে একেক শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। একই অবস্থা মহানগর আওয়ামী লীগেও। সেখানে সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা একত্রিত হয়ে কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। জানা যায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দু’জনই আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রতিটি কর্মসূচি দলের নানা কোন্দল ও নেতাদের প্রভাব তুলে ধরে কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এতে দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এদিকে দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানও শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেন, জেলা মহানগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে বলতে চাই, সামনে সময় খুব ভালো নয়। আমার কারণে যদি দল ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রয়োজনে আমাকে দল থেকে বের করে দিন। সবাই প্রস্তুতি নেন। এলাকায় এলাকায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যে কোন্দল আছে তার নিরসন করুন। দলকে সুশৃঙ্খল করুন। তিনি বলেন, বেঁচে যাওয়ার অপরাধে শেখ হাসিনাকে একুশবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কোথায় ছিল মানবাধিকার, বিচারপতিরা। আজ লজ্জা লাগছে। আমার মনে হয় নারায়ণগঞ্জে রাজনীতির চেয়ে অপরাজনীতি বেশি হচ্ছে। কিছু লোক বড় বড় পদ হাতিয়ে নিয়েছে। সবাই মিলে দল করুন। আজ সবাই মিলে দল করলে হয়ত নেত্রীকে বলতে পারতাম পঁচাত্তরের মত কিছু হলে আমরা কিছু করতে পারব। এদিকে নেতাদের এহেন মন্তব্যে দলের মধ্যে নেতায় নেতায় যে দ্বন্দ্ব এখন অনেক বেড়েছে সেটি প্রকাশ্যে এসেছে। এসব বার্তা পেয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দাবি তুলেছেন, দল বাঁচাতে এখন সবাইকে একসাথে বসে ঐক্যবদ্ধ হতে আহবান জানান। তা না হলে সামনের কঠিন সময়ে আওয়ামীলীগকে এর খেসারত দিতে হবে বলে মনে করেন অনেকে।