কমিটির নাম ঘোষণা ছাড়াই মহানগর আ’লীগের আজব ওয়ার্ড সম্মেলন!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে শুরু হয়েছে ওর্য়াড সম্মেলন। গত শুক্রবার হতে ধারাবাহিক ভাবে ৩ দিনে ৬ টি ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সম্মেলন হলেও সফলতার চেয়ে ব্যার্থতার  দায়টাই বেশি বলে মনে করছে রাজনৈতিক বৌদ্ধরা। সম্মেলন ঘিরে পদের জন্য প্রার্থীরা বিশাল বিশাল মিছিলের বহর নিয়ে যোগদান করে এক বুক আশা নিয়ে। আর ফেরত যায় নেতাদের বক্তব্য শোনে। ২৫ ও ২৪নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম ঘোষনা করলেও সম্পাদকসহ ২২ ও ২৩নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কোন ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২২ ও ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ,অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা। নাসিক ২২নং ওর্য়াডস্থ বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৫ জানুয়ারি বিকালে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি আনোয়ার হোসেন বলেন, সম্মেলন ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা দেখা যাচ্ছে। ২টি ওর্য়াডে সভাপতি  ২১ জন ও সম্পাদক পদে ২৩ জন প্রার্থী। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সকলের অধিকার আছে।  তবে যারা প্রার্থী হয়েছে অধিকাংশই বসন্তের কুকিলের মত। রাজপথ থেকে উঠে আসা প্রার্থীর সংখ্যা কমই। দল ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন। পদের রাজনীতি নিয়ে কোন বিভেদের মধ্যে না জড়ানোর আহবান জানান। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ২টি ওর্য়াড থেকে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেন প্রার্থীরা। ২২নং ওর্য়াডে সভাপতি পদে ৮ জন ও ২৩নং ওর্য়াডে সভাপতি পদে ১৩ জন। সাধারণ সম্পাদক পদেও ২ টি ওর্য়াডে ২৩ জন প্রার্থী। পদের  জন্য প্রার্থীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে যোগদান করেন।  এড. খোকন সাহা বলেন, রাজনীতি করা কোন সহজ বিষয় না। রাজনীতি করতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। নিজের লোভ লালসার বসবতি হয়ে রাজনীতি করতে চাইলে তাহলে প্রয়োজন নাই। সকলকে দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি আরো বলেন, খান মাসুদকে দেখেন, ওকে আমি একটি অফার দিলাম। ওই বললো দাদা এই ছেলেগুলোকে দেখে রাখেন দল ও সংগঠনের বিশাল উপকার হবে। একটি নাম বলেছে তা আমি হুমায়ন, রশিদ ভাইসহ অনেককে বলেছি। পরে আবার সরাসরি বলেছি, খান মাসুদ বললো দাদা দলটাকে একটু ত্যাগীদের দ্বারা সংগঠিত করে দিয়ে যান আমরা যাতে ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে পারি। আরে ভাই এটা কেমন, আমি অবাক হলাম, বিস্মিত হলাম পদের জন্য তদবিরের শেষ নেই। সেখানে সরাসরি অফার করার পরও নিজের জন্য কিছু চাইলো না। এমন ত্যাগীদের মূল্যায়ন নিশ্চয়ই দল ও আল্লাহ পুরস্কৃত করবে। সূত্র মতে, দল সংগঠিত করতে গিয়ে শুরুতেই হোচট খাচ্ছেন নেতারা। একই পদে একাধিক প্রার্থী থাকার কারনে শুধু ১টি ওর্য়াডের সভাপতির নাম ঘোষনা করেই শেষ। ১৩ জানুয়ারি  চরম হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওতাধীন ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২টি ওর্য়াডের মধ্যে শুধু ১ টি ওর্য়াডের সভাপতির নাম ঘোষনা করেন। একই পথে হাঠতে বাধ্য হয়েছে ১৪ জানুয়ারির সম্মেলনে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে মহানগর ২টি ওর্য়াডের সম্মেলন হলেও সফলভাবে শেষ করতে পারেনি। ২৪ ও ২৫নং ওর্য়াডে সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী থাকায় সফল করতে পারেনি। ২৪নং ওর্য়াড সভাপতি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় হাজী আব্দুস সামাদকে বিনাপ্রতিদ্ধীতায় সভাপতি ঘোষণা করা হয়। ১৪ জানুযারী বিকেলে ঢাকেশ্বরী স্কুল এন্ড কলেজ এর খেলার মাঠে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিকী সম্মেলনের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরল ইসলাম চৌধুরী, জি এম আরমান। অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এডভোকেট আল-আমীন মোল্লা বিশাল মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগদান করেন। মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড.খোকন সাহা বলেছেন,আমাদের রাজনীতিতে কোন ওয়ারিশ নাই। আমি বিশ্বাস করি তৃনমুল আ’লীগ নেতা কর্মীরাই আমাদের ওয়ারিস। আজকে একটা পত্রিকায় দেখলাম আনোয়ার-খোকন সাহা নাকি টাকা খেয়ে কমিটি ঘোষনা করেছে। যে অপবাদ আমরা কখনো নেই নাই। লজ্জাজনক বিষয়। আমি সেই পত্রিকার সাংবাদিকদেও উদ্দেশ্যে বলতে চাই অপেক্ষা করুন আর যদি আপনারা এমন নিউজ প্রকাশ করেন আপনাদেও বিরোদ্ধে আমরা ডিজিটাল আইনে মামলা করব। টাকা দিবে আর নিউজ করবেন। আপনারা জানেন না আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহার রাজনীতির ক্যারিয়ার এমন না। একজায়গা থেকে টাকা খেয়ে কালিমা দিবেন শিক্ষা দিয়ে দিব কিন্তু। নারায়ণগঞ্জের দুই চারটা পত্রিকা বিশেষ জায়গা থেকে টাকা খেয়ে পত্রিকা চালায়। মানুষকে ব্লাকমেইলিং করে। আপনারা ওই সমস্ত পত্রিকাগুলো প্রত্যাহার করবেন। আজকে আপনাদের মাফ করে দিলাম। ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করলে আপনাদেও বিরোদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করব। আমি পত্রিকার সম্পাদকদের উদ্দেশ্যে বলছি টাকা খান কিন্তু বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করুন। বন্দরে ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজনিতীতে আমার আর খোকন সাহার কোন  লোভ লালসা ছিল না। আমার মা, আমার বোন ও আমার ভাই আমার ছেলে সন্তানরা কোন দিন রাজনিতীতে আসবে না। এইটি আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলে দিতে চাই। কারন উত্তরাধীকার হিসেবে রাজনিতীতে আগমন আমার পর আমার ছেলে, ছেলের পর নাতি ও নাতির পর  পুতি এই যে রাজনিতী প্রক্রিয়া এ প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত না। আমরা সেটা হতে পারি নাই। আমরা যারা রাজনিতী করি তৃনমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে। আমি যাদের নিয়ে রাজনিতী করি যাদের নিয়ে মিছিল করি, যাদের নিয়ে মিটিং করি যাদের নিয়ে আমি আন্দলন সংগ্রাম করি তারাই হলো আমার রাজনিতী ওয়ারিশ। তারা বাঁচলে আমিও বাঁচব। তারা হেরে গেলে আমিও হেরে যাব। এই হলো আমার ভাষনা এই হলো আমার কামনা।একই পথে দ্বিতীয় দিনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে, কমিটি ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়াকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন রাজনৈতিক বৌদ্ধরা। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে মহানগর ২টি ওর্য়াডের সম্মেলন হলেও সফলভাবে শেষ করতে পারেনি। ২৪ ও ২৫নং ওর্য়াডে সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী থাকায় সফল করতে পারেনি।  ২৪ নং ওর্য়াড সভাপতি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় হাজী আব্দুস সামাদকে বিনাপ্রতিদ্ধীতায় সভাপতি ঘোষণা করা হয়।