আজ রবিবার | ১৮ মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ১৯ জিলকদ ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৬:৫৯

গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে যে নাশকতা মামলাগুলো দেয়া হয়েছিল সেগুলো আবার ও জেগে উঠেছে। যার ফলে একজন নেতা জামিনে বের হয়ে বাহির হয়ে আসলে ও আরেকজনকে গ্রেফতার করে কারগারে পাঠাচ্ছে এ সরকারের প্রশাসন। তবে এ ধরনের কোন বাধা বা মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে কোন লাভ হবে না বর্তমান সরকারের। এই দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের। গত ১২ জানুয়ারী  এক নাশকতা মামলায় মহানগর বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর জামিন আবেদনকে নামঞ্জুর করে ৫জন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের এ ধরনের কার্মকান্ডে নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া তারা আরো বলছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন কখনই এ সরকারের অধীনে দেওয়া হবে না। আর এ সরকারের সকল নৈরাজ্য ভেঙ্গে বিএনপিই এগিয়ে যাবে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিদায় বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির বিভাগীয় গণ-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেই সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে প্রতিদিনই দায়ের করা হচ্ছিল নানা গায়েবী মামলা। এই সমাবেশকে ঘিরে শহরের সাতটি থানায় বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ ছাড়া আবার নাশকতা মামলার ঘটনায় বিএনপির নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার আতঙ্ক তৈরী করে রেখেছিল। তার মাঝে ১০ তারিখের পূর্বে দলের মহাসচিবসহ প্রায় ৪৫০ জন নেতাকর্মী নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। এ ধরনের সকল বাধা পেরিয়ে ব্যাপকভাবে সমাবেশ সফল করতে পেরেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নানা চড়াই উত্তড়াই অতিক্রম করে চলে এলো নতুন বছর এখন নয়া কৌশলে মাঠে ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি। অপর দিকে চলতি বছর চূড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামের বছর আর এই বছরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর সব মিলিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে চলতি বছর। কিন্ত এখন ও তাদের নাশকতার মামলার অবসান ঘটেনি। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সরকার আবারও মামলা ও গ্রেফতার করে তাদের চাপের মুখে ফেলতে চাচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের। নিয়মিত দেশের নানা জেলা থেকে গ্রেফতার হচ্ছে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী। নারায়ণগঞ্জ ও তার বাহিরে না। এই জেলায় ও প্রায় প্রায় পুরনো নানা নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হচ্ছে কেউ কেউ। ১২ জানুয়ারী ও ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়ায় মশাল মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণে দায়েরকৃত মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জগলুল হোসেনের আদালতে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক ১৪ জন থেকে ৭জনে জামিন  মঞ্জুর করেন এবং বাকী ৫ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তারা হলেন,  নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, বিএনপি নেতা হারুন, পিচ্চি মাসুম, গলাকাটা জাকির এভাবেই দলের শক্তিকে হরণ করার মিশন নিয়েই কাজ করছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি এভাবে সকল বাধা দিয়ে ও আমাদের দামানো যাবে না। আমরা মাঠে সক্রিয় আছি আর সরকার পতনের আগমুহুত্ব পর্যন্ত আমরা রাজপথে সকল আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবে। আর যদি এই সরকারি পুলিশ প্রশাসন মূল নেতাদের গ্রেফতার করে তাহলে দলের কর্মীরা দলকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই তাদের দাবি যত বাধা তত শক্তিবৃদ্ধি হবে বিএনপির নেতাকর্মীদের। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন বলেন, নিয়মিত আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নানা সরকারি মামলায় জেলে ঢুকছে জেল থেকে বেড় হচ্ছে। বর্তমানে দলকে দেশ নায়ক তারেক রহমান সাজিয়ে দিয়েছেন যার কারণে আমাদের নেতৃত্ব শূর্ণ হবে না ইনশাআল্লাহ। আর একজন গ্রেফতার হলে যে আরেকজন দাড়াতে পারে এমন ৪টি দাপ আমাদের তৈরি করা আছে। যার কারণে আমাদের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে তারা কোনভাবে ঠেকাতে পারবে না। আপনারা দেখেছেন ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের দলের উধ্বতম নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরে ও কিন্তু আমরা আরেকজনের নেতৃত্বে আবার ও আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছি। আর এ ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের নেতাকর্মীরা আরো সোচ্চার হবে আরো শক্তিশালী হবে। আর আমরা জানি ঘর থেকে বেড় হলেই আমরা গুলি খেতে পারি গ্রেফতার হতে পারি কিন্তু সব কিছু জেনে শুনেই আমরা চলাফেরা করি। আর এখন কোন আতঙ্ক বিএনপির মধ্যে বিরাজ করছে না। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম বলেন, আমরা সকল পথে পথে বাধার সম্মূখিন হচ্ছি। আর তার পরে ও আমরা রাজপথে নানা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। আর গতকাল ও আমাদের মহানগর বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ্। আমি তাদের এ ধরনের নৈরাজ্যর প্রতি তীব্র নিন্দ্রা জানাই। আর কোন বাধা দিয়ে বিএনপিকে বিগত দিনে ও দামানো যায়নি আজকে ও যাবে না। আর সকল বাধাদেই বিএনপির নেতাকর্মী আরো উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন বলেন, আমরা হাইকোট থেকে যে মামলা ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে এসেছিলাম। গতকাল সেই মামলার জামিন আবেদনে আমরা ১৩ জন জামিন চাইলে ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করে ও ৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারগারে প্রেরন করে। এভাবে সরকার যে দমনপীরন শুরু করছে আর এ সরকার আদালতের উপরে বন্ধুক রেখে আমাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আর আদালতের এই ধরনের আচরনে আমি তীব্র নিন্দ্রা জানাই। আর আমাদের নির্যাতনের আসল কারণ হলো আমরা বিএনপি করি। আর এখন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করবো কিন্তু এখনই বিভিন্ন ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পুলিশের হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। আর সরকার দলীয় পুলিশ কোন নেতাকর্মীর নামে কোন মামলা না থাকলে ও তারা অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেফতারি হয়রানি করছে। আমি মনে করি এই সরকারের শেষ তার রক্ষা হবে না। আর এই বছরেই এ সরকারের পতন হবে। মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, বর্তমান সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। যার কারণে তারা কি করবে বুঝতে পারছে না। গতকাল আমরা আমাদের ৩০ নভেম্বরের একটি নাশকতা মামলায় আমরা মহানগর বিএনপির ১৪ জন নেতা জামিন আবেদনে আসি কিন্তু তখনই তারা আমাদের বাকি সকলের জামিন মঞ্জুর করে ৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তাদের এ ধরনের কর্মকান্ডের আমি তীব্র নিন্দ্রা জানাই। আর বলতে চাই বিএনপিকে এ ধরনের গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে। আর আমাদের দলের যদি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়ে যায় তাহলে দলের কর্মীরা নেতৃত্ব দিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রাম সফল করবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা