আজ রবিবার | ১৮ মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ১৯ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ১০:৫৭

চাপের মুখে না’গঞ্জ বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। একের পর এক পুলিশি বাধা সত্ত্বেও রাজপথে মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তারা। গত কয়েকবছর ধরে হাতেগোনা কয়েকজন নিয়ে সভা ও মিছিল করলেও ধীরে ধীরে নেতাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতর মাথাব্যথা না থাকলেও রাজনীতিতে আশার আলো দেখছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। সারাবছর দলীয় কর্মসূচির অপেক্ষায় থাকা নেতারা কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়েই নেমে পড়েছেন রাজপথে। পুলিশি বাধা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা উপেক্ষা করেই জোর গলায় ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। আর এ ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মহানগর বিএনপি ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। জানা যায়, ১০ দফা দাবি আদায়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আর সে কারণে বেশ সরগরম হবার চেষ্টায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মী। তবে কেন্দ্র থেকে সহিংস হবার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি কাউকেই। বিএনপি নেতারা জানান, আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর সে কারণেই বিএনপি সক্রিয় হলেও সহিংস আন্দোলনের কোন শংকা প্রশাসনের ভেতর নেই। এছাড়া দীর্ঘদিন পর মিছিল-মিটিংয়ের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা পুনরুজ্জীবিত হচ্ছেন যা নিষ্কিয় বিএনপির জন্য বেশ সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করছেন নেতারা। এদিকে গত কয়েকমাসে বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যেসব নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকেন তার নাম উঠে আসে। বিশেষ করে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রোজেল, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আনোয়ার প্রধান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনি প্রমুখ। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সূত্র বলছে, চলমান কৌশলে বিএনপি এভাবে এগিয়ে যেতে পারলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে দলটি। স্বাভাবিকভাবেই খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও রাজনীতিতে তার ভূমিকা আগের মতো থাকবে না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে  দলটিতে যদি প্রাণ ফিরে আসে তবে দীর্ঘমেয়াদী সুফল ভোগ করবে বিএনপির পরবর্তী প্রজন্ম। পাশাপাশি সক্রিয় নেতাদের দলীয়ভাবে মূল্যায়িত করলে কমিটি বাণিজ্যে নিমজ্জিত নেতাদের কবল থেকে অচিরেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে দলের নেতাকর্মীরা। সূত্রমতে, আর মাত্র দেড় বছর পরেই দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় বিএনপি দেশব্যাপি দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঠিক এ সময়টাতেই জেলা ও মহানগর বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সঠিক মূল্যায়ের সময় এসেছে। বিগত সময়ে টানা  সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারনে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা একাধিক মামলা জড়িয়ে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া হয়। পুলিশের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রকাশ্য রাজনীতি ছেড়ে যখন আত্মগোপনে চলে যায়। তখন বিএনপির অনেকটা নেতৃত্বশূণ্য হয়ে পরে। দিক নিদের্শনার অভাবে দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা নেমে আসে। তখনই বিএনপির হাল ধরনের জেলা ও মহানগর বিএনপির বেশ কিছু সাহসি, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। পুলিশের হয়রানী  কিংবা কোন হামলার তোয়াক্কা না করে বিএনপির রাজনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে কাজ শুরু করেন। টানা তিন মাসের সরকার বিরোধী আন্দোলনে দলের বিচ্ছিন্ন নেতাকর্মীদের নতুন করে সংগঠিত করতে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেন। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়ে দলীয় কর্মকান্ড দলের কার্যালয় থেকে পরিচালনার ঘোষণাও দেয়। এর পর থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসে। দলীয় কার্যালয়কে ঘিরে নেতাকর্মীদের ভীর বাড়তে থাকে। নেতাকর্মীদের উজ্জিবীত করতে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা দলীয় কার্যালয়ে সময় দিতে থাকে। প্রসঙ্গত, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডাকা সারা দিয়ে দলের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরে পুলিশি নির্যাতন, জেল জুলুম, ও একাধিক মামলার আসামী হয়েছে ফেরারী কিংবা জেল হাজতে রয়েছে ওই সমস্ত নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এছাড়া যারা দলের দু:সময়ে দলের পাশে এসে দাড়িয়েছে, দলীয় প্রধানের দিক নিদের্শনা মতো সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরেছে। যারা দলের হাল ধরে নেতাকর্মীদের নতুন করে উজ্জিবীত করার চেষ্টা চালিয়েছে সে সমস্ত নেতাদের সঠিক মূল্যায় করার সময়ের দাবি। অন্যদিকে যারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিতর্কীত ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে সে সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে দলের অধিংকাশ নেতাকর্মী। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে ভুল করলে আমাগীদিনে এর চড়া মূল্য দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা