
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আলোচিত আব্দুল হালিমকে (৩০) জবাই করে হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনার মামলার মৃত্যুদন্ড পলাতক আসামী সোহাগকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক পর পুলিশের জালে ধরা পড়লো সোহাগ। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার খিলগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার একটি টিম সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ পানির ট্যাংকী সাউপাড়া এলাকার শাহজাহানের পুত্র। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, কয়লা ব্যবসার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার আফসার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিমের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিল বন্ধু ইকবাল। দীর্ঘদিন ওই ব্যবসার লাভ কিংবা মূল টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো টালবাহনা করছিল। এসব কারণেই তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়। সেই বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় টাকা দেয়ার কথা বলে আব্দুল হালিমকে ফতুল্লার শাসনগাওস্থ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ইকবাল। সেখানে ইকবালের ছাদে হালিমকে প্রথমে ইকবাল হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে অচেতন করে। তারপর ইকবালের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হালিমকে ধারালো দেশি অস্ত্র দিয়ে কেটে পাঁচ টকুরো করে লাশ গুম করে ফেলে। ঘটনার পরদিন হালিমের ছোট ভাই শামীম উদ্দিন বাদী হয়ে ইকবালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রথমে সাদেকুর রহমান গ্রেপ্তার হলে তাঁর দেওয়া তথ্যে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় আবদুল হালিমের বস্তাবন্দি অবস্থায় হাত-পা বিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর্যায়ক্রমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং আদালতের তথ্য সূত্র দিয়ে তিনি জানান, ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার ওয়ার্কশপ মালিক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। রায়ের পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিল। আর মৃত্যুদন্ড পলাতক আসামী সোহাগকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিছুর রহমান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে একই সঙ্গে আরো সাত বছর করে সশ্রম কারাদ- ও সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ- করা হয়। অর্থদ-ের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরো ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে। দ-প্রাপ্তরা হলো ফতুল্লার শাসনগাও এলাকার মৃত ফুলচানের পুত্র ইকবাল হোসেন (৩৫), পশ্চিম দেওভোগ সাউপাড়া এলাকার শাহজাহানের পুত্র সোহাগ (৪০), সুনামগঞ্জের মৃত ইছাক মোল্লার পুত্র সাদেকুর রহমান (৩৮) ও শরিয়তপুরের মৃত হারুন কাজীর ছেলে বাবু কাজী (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় বসবাস করতো। হত্যার অভিযোগে চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করতে রায়ের আদেশে বলা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্তরা পলাতক ছিল। এ মামলায় তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো আবুল হোসেন, মেহেদী ও মোক্তার হোসেন। রায় ঘোষণার সময় খালাসপ্রাপ্ত তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিল।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯