আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:৫৫

ডিজিটাল হতে পারেনি না’গঞ্জ আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আওয়ামীলীগ সরকার দেশে ডিজিটাল প্রদ্ধতি চালু করলেও নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাসীনরা এখনো ডিজিটাল হতে পারেনি। তারা এখনো এনালগ প্রদ্ধতিতে রয়ে গেছেন বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব নেয়ার পরেই দেশকে ডিজিটালাইজেশনের উপর গুরুত্ব দেন। ভিশন ২০২১ কে কেন্দ্র করে দেশ ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই টার্গেট বেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করে দেশকে ডিজিটাল রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এবার দেশকে আধুনিকায়ন করতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী এই দলটি। ক্রমাগত দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে চলা দলটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই রয়ে গেছে ডিজিটালাইজেশনে নিরুৎসাহিত মনোভাব। যেমনটা দেখা যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারনায়। নারায়ণগঞ্জে গত ১০ বছরে জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামী লীগ কি কি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, কোন কোন কাজে অবদান রেখেছে, কোন নেতা পুরস্কার পেয়েছে এবং সমাজে বড় অবদান রেখেছে। এসব বিষয় একেবারেই প্রচার প্রচারনার বাইরে থেকে গেছে। কেবল গণমাধ্যমে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলোই কেবল ঘুরে ফিরে দেখেছেন পাঠক ও দর্শকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের দলীয় কার্যক্রমের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে থাকে অনলাইনে। এর মধ্যে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব অন্যতম বড় মাধ্যম। এসব মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে নিজেদের ব্যাপ্তি মেলে ধরা এবং তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে যাবার সুযোগ থাকে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নারায়ণগঞ্জ শাখা যেন ঠিক উল্টো। এখনও নিজেদের অনলাইন দুনিয়াতে মেলে ধরতে পারেননি। কিছু নেতা ব্যক্তিগত ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেও এনালগই থেকে গেছেন অধিকাংশ নেতা। উল্টো প্রচার প্রচারণা বলতে কেবল রাস্তা ঘাটে ব্যানার ফেস্টুনে নিজেদের মুখ দেখানোকেই বুঝেন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার আমাদের লাগবে, সরকারের উন্নয়ন আমাদের প্রচার করতে হবে। আমিও দুর্বল আমাদের প্রচার সেলও দুর্বল। আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন যদি একদিনে একজনকে বুঝাতে পারেন, তাহলে এখানে আর কোন দলের চিহ্ন থাকবে না।’ তার এই কথায় উঠে আসে প্রচার প্রচারনায় দুর্বলতার কথা। সত্যিকার অর্থেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারনা নেই বললেই চলে। নারায়ণগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারনায় অনাগ্রহী পাওয়া যায় অনেককেই। এই তালিকায় আছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, এমপি শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের ফেইসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবে কোন কার্যক্রম নেই। যদিও তাদের নামে একাধিক আইডি ও পেইজ রয়েছে। অন্যদিকে প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে আছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, এমপি সেলিম ওসমান। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ভিপি বাদল, মহানগর সম্পাদক খোকন সাহার একাউন্ট থাকলেও প্রচার প্রচারনায় ততটা সক্রিয় নন তারা। তৃণমূলের মতে, দল এবং ব্যক্তি উভয়ের প্রচার প্রচারনাই বর্তমান সময়ে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বিপরীত দলগুলো অনেক বেশী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়। তারা সার্বক্ষনিক সরকার বিরোধী প্রচারনা চালিয়ে যায়। অন্যদিকে সরকারের পক্ষে নিজ দলের নেতাকর্মীরাই তেমন কোন ভুমিকা রাখে না অনলাইন জগতে। অথচ আইভী, শামীম ওসমানের মত গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তি যদি তাদের পজেটিভ কাজগুলো অনলাইনে তুলে ধরতো তাহলে তাদের কাজ কর্মের প্রচারনা অনেক বেশী বৃদ্ধি পেত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুরো দেশকে ডিজিটালে রুপান্তর করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা এখনও এনালগই থেকে গেছেন। এর ফলে কমছে প্রচার প্রচারনা এবং পজেটিভ বিষয়গুলো মানুষের কাছে পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা