আজ শনিবার | ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ৩০ মহর্‌রম ১৪৪৭ | রাত ১০:৩০
শিরোনাম:
একই আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যে বার্তা বিএনপির    ♦     ক্লিন ইমেজধারীরা ধানের শীষ পাচ্ছেন    ♦     মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে হতাহতদের স্মরণে মহিলা পরিষদের মৌন মিছিল    ♦     শ্রমিকলীগ ক্যাডার ডাকাত জাকির বিএনপি নেতাদের আশ্রয়ে    ♦     ভারতে মঞ্জুনাথের মন্দিরে গণকবরের অভিযোগে রাজ্য জোড়ে তোলপাড়    ♦     এস আইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগ    ♦     মাকসুদ মুছাপুরে ৩২টা বাড়িতে আগুন দেয়ার এত সাহস কোথায় পায়    ♦     বন্দরে বিএনপি’র সদস্যপদ নবায়ণ কার্যক্রমে নজরুলের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে যোগদান    ♦     রাজনৈতিক সংকটের জন্য খায়রুল হক দায়ী    ♦     গণসংহতি’র উদ্যোগে ৫৪ শহীদের নামে বৃক্ষরোপণ    ♦    

সোনারগাঁয়ে শক্তিশালী হচ্ছে জাতীয়পার্টি

ডান্ডিবার্তা | ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:১১ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিএনপির নৈরাজ্যকে ঠেকানোর পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সাথে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ এবার মননোনয়ন বাছাই কার্যক্রম করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে সোনারগাঁ আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ দাবী জানিয়ে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাবী হয়ত এবার পুরণ হতে যাচ্ছে। এদিকে জানা যায়, সোনারগাঁ আসনটি ২০০৮ সনে আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। তখন এই আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরীক দল জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি নির্বাচিত হন। কেননা তখন ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা ছিল। তাই তখন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সহজে জয় পেয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১৮ সনের একাদশ নির্বাচনেও একই ভাবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে হয়। যদিও ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকেন। পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। অপরদিকে ২০১৮ সনের নির্বাচনে সোনারগাঁ আসনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নান জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারাও মানুষের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনের চিত্র পুরাই ভিন্ন । কেননা গত দুই বারের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির শরীক থাকলেও আগামী নির্বাচনে আর তা হচ্ছে না। কেননা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির শরীক নেই। আর এনিয়ে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অনেকটা চিন্তায় থাকলেও তারা এবার আগে থেকে মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। দলীয় সূত্রমতে জানা যায়, সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগে থেকে মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। সেই সাথে তিনি দলীয় ভাবে সোনারগাঁ এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করছে বলে জানান। তাছাড়া মানুষের সাথেও সংযোগ থেমে নেই। এই রমজান মাসে কখনো ইফতার সামগ্রী নিয়ে আবার কখনো চায়ের দোকানে গিয়ে মানুষের সাথে বনে খোস গল্প করে যাচ্ছেন তিনি। আবার ইফতার বানিয়ে কর্মীদের সাথে ইফতার করার মাধ্যমে সকলের মনজয় করে নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির এই নেতা। আর এজন্য রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করছেন সোনারগাঁ আসনে তিনি এবার আগে থেকেই মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। তবে তার দাবী তিনি সারা বছর মানুষের কল্যানে কাজ করা মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমি সারা বছর সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকি। সেই হিসেবে মানুষের সাথে আমার প্রতি নিয়ত যোগাযোগ এবং কথা হয়। আর এতে করে আমার সারা বছর নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যায়। আর আগামীতে মানুষ চাইলে আমি আবারও তাদের সেবক হয়ে কাজ করে যাবো। সেই প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এদিকে সোনারগাঁ আসনকে পুনরুদ্ধার করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এবার নৌকার দাবী জানিয়ে জোর সরে মাঠে নেমেছেন। এর এই নৌকা মনোনয়ন নিয়ে এখানে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থী সমর্থকদের মাঝে গ্রুপিং তৈরী হয়ে আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যের নির্দেশ দিলেও তাদের মাঝে সেই ঐক্য নেই বলে জানান খোদ তাদের দলীয় নেতা কর্মীরা। এছাড়া সোনারগাঁ আসনে বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান আন্দোলনের মাধ্যমে এবারও মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। যদিও বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ভিতরে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। কেননা আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত রেখেছে স্থানীয় দায়িত্ব রত নেতারা। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন আগামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এবার আগে থেকেই নির্বাচনের প্রচারনায় রয়েছে। এই দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তার মাঝে গ্রুপিংয়ের প্রতিযোগিতায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। কে কাকে পিছনে ফেলে নৌকা ছিনিয়ে আনবে। কিন্তু সব কিছুর পরে নৌকা দিবে আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা