আজ রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ২:৩৩

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেনের পরিবারের নিয়ন্ত্রনে শিমরাইলের পরিবহণ চাঁদাবাজি!

ডান্ডিবার্তা | ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:১৭ অপরাহ্ণ

ডিান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে বিভিন্ন পরিবহন থেকে বেপরোয়া চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে আলোচিত সাত খুনের ফাসিঁর দন্ডপ্রাপ্ত ঘাতক নুর হোসেনের পরিবার প্রতিমাসে চাদাঁবাজ সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। নুর হোসেন ক্ষমতা থাকা অবস্থায় যেভাবে শিমরাইল মোড়ের সব পরিবহন সেক্টরের চাদাঁবাজি নিয়ন্ত্রন করতো তার দেখানো সে পথেই চলছে তার পরিবারের চাদাঁবাজি। বর্তমানে শিমরাইল মোড়ের চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ভাই কাউন্সিলর নুরুদ্দিন, ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ভাতিজা সোহেলসহ একাধিক মামলার আসামী ডাকাত আবুল, ইয়াসিন, টেম্পু আতিক, রুবেল, রাসেল, শামীম ও সুমন বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে। এসব চাদাঁবাজরা দুর পাল্লারর পরিবহনসহ স্থানীয় নাফ পরিবহন, শিমরাইল পরিবহন, লেগুনা, সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটো থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। পুরো সিন্ডিকেট চলছে হোসেন পরিবারের নিয়ন্ত্রনে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিমরাইলে ফিটনেস ও রুট পারমিট ছাড়াই চলছে দেড়শতাধিক যাত্রীবাহী নাফ ও শিমরাইল পরিবহনের বাস। এসব বাস মালিকরা চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি। শিমরাইল পরিবহন ও নাফ এক্সপ্রেস নামক দু’টি কোম্পানি এসব বাস থেকে মাসে অন্তত ৪৫ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড় থেকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ও মেঘনা পর্যন্ত দেড়শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলছে শিমরাইল পরিবহন ও নাফ এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ব্যানারে। প্রতিষ্ঠান দু’টি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে রেজিস্ট্রেশন নিলেও বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) ও আরটিসি (জেলা প্রশাসক) অনুমোদন নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। সড়কে স্ট্যান্ড বানিয়ে নির্বিগ্নে চলছে বাসগুলো। গাড়ি প্রতি কোম্পানির নামে দৈনিক চাঁদা নিচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। পরিসংখ্যান মতে দেড়শতাধিক গাড়ি থেকে মাসে চাঁদার পরিমান দাঁড়ায় ৪৫ লক্ষাধিক টাকা। চাঁদার একটি অংশ স্থানীয় প্রভাবশালী ও হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, নাফ কোম্পানির নামে চলছে অর্ধশতাধিক বাস। যার অধিকাংশই রুট পারমিট নেই। ঢাকার মাহমুজুর রহমান নামে একজন কোম্পানির এমডি। দেখভাল ও চাঁদা আদায় করেন সুমন। শিমরাইল পরিবহনের এমডি আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের আপন ভাতিজা সোহেল। পরিচালনা করেন রাসেল ও চাঁদা তুলেন ম্যানেজার কামরুল। ওই কোম্মপানির নামে চলছে শতাধিক বাস। সোহেল নিজেও আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ছিল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করে র‌্যাব ও থানা পুলিশ। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিরাইলে চলাচলরত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পরিবহন থেকে ২০০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত ডাকাত দিনার বন্ধু ডাকাত সর্দার আবুল ও তার বাহিনীরা। তার শেল্টারদাতা হিসেবে রয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর নুর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল বাদল ও সরকারি দলের নেতারা। শিমরাইল চিটাগাংরোড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচলকারী লেগুনা থেকে নুর হোসেনের ভাই নাসিক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুদ্দিন মিয়ার শেল্টারে ১০০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে সুদ ব্যাবসায়ী চাদঁবাজ বহুরুপী আতিক ওরফে টেম্পু আতিক। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্ফোরক, পুলিশের উপর হামলাসহ একাধিক মামলা নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল বাদলের শেল্টারে চিটাগাংরোড খানকা মসজিদের সামনে থেকে চলাচলরত ব্যাটারী চালিত অটো থেকে ৫০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে শামীম ওরফে ফেন্সী শামীম। এ টাকার একটা অংশ স্থানীয় কাউন্সিলর পায় বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানায়, নুর হোসেন কারাগারে থাকলেও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পুরো চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রন রয়েছে তার পরিবারের হাতেই। প্রশাসন যদি এসব চাদাঁবাজদের আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন না করে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা