আজ রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:০৯

সেলিম ওসমানের পথেই সাখাওয়াত-আশা

ডান্ডিবার্তা | ২৭ জুলাই, ২০২৫ | ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনো ঘোষণা হয়নি কিন্তু ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সচেতন মহল সাংবাদিকদেরকে জানান, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর-বন্দর আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ মাকসুদ হোসেন ইস্যুতে সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের পথেই হাটছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউছার আশা। সচেতন মহল আরো উল্লেখ করেন যে, গত বছরের ৮ মে অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাকসুদ হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। কিন্তু তাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে তৎকালীন এমপি সেলিম ওসমান নানা ধরণের হুমকি ধমকি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এবং অংগ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এম এ রশিদের পক্ষে কাজ করার জন্য বাধ্য করেন সেলিম ওসমান। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে সেলিম ওসমান বিভিন্ন সভা সমাবেশ আয়োজন করে এম এ রশিদের পক্ষে ভোট চান ও অপর প্রার্থী মাকসুদ হোসেনকে নিয়ে মানহানীকর ও কুরূচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া অব্যাহত রাখেন। কিন্তু মাকসুদ হোসেন ভীত হননি এবং শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থেকে লড়াই করার ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণা ভোটারদের মনে সাহসের সঞ্চার হয় এবং উক্ত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মাকসুদ হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। মাকসুদ হোসেনকে বিপর্যস্ত করতে এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সড়াতে ৫ আগস্টে পালিয়ে যাবার দিন পর্যন্ত নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন সেলিম ওসমান। সচেতন মহল সাংবাদিকদের বলেন, ‘১১ জুলাই বন্দরের সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপির একটি অনুষ্ঠানে মাকসুদ হোসেনকে উদ্দেশ্য করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাকসুদকে আমরা কোনো ভাবেই এই বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিতে পারি না’। তাছাড়া ২৫ জুলাই শুক্রবার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে বিএনপির অপর এক অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউছার আশা মাকসুদ হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে তার বক্তব্যে বলেন, ‘হঠাৎ উপজেলা নির্বাচনে এমপি সাহেব তাকে রাজাকারের ছেলে বলায় এখন জামায়াতের মত আচরন শুরু করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে তিনি জামায়াত হয়ে গেছে। ইলেকশন করার দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছে’। এসকল রাজনৈতিক বক্তব্যকে ঘিরে সচেতন ভোটাররা সাংবাদিকদেরকে জানান, ‘নির্বাচন আসলে নানান রকমের বক্তব্য উঠে আসে। একজন আরেকজনকে ঘায়েল করতে অনেক কৌশল অবলম্বন করে, এগুলো তারই অংশ। মাকসুদ হোসেন একজন ভালো ও দানশীল ব্যক্তি। মুছাপুর ইউনিয়নের ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অনেক উন্নয়ন করেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেশ অভিজ্ঞ ও যোগ্য। তাছাড়া ব্যক্তিগত অর্থায়ণে রাস্তাঘাট, ব্রীজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন, অসহায়দেরকে চিকিৎসা সহায়তা ও ঘর নির্মাণ করে দেয়া সহ অসংখ্য ও অগণিত উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা মাকসুদ হোসেনের পাশে ছিলাম, তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছি। এবার যদি তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি প্রার্থী হন, তাহলে তাকে আবারো ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ’।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা