আজ রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১ সফর ১৪৪৭ | রাত ৯:১৮

শ্রমিকলীগের নামে হচ্ছে চাঁদাবাজি!

ডান্ডিবার্তা | ০৩ মে, ২০২৩ | ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডসহ আশপাশ এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী একটি চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্র। থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন মিয়ার নাম ভাঙিয়ে শ্রমিকলীগ নামধারী সঙ্গবদ্ধ চক্রটি মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে মাসে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, নাসিক ২নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ সভাপতি কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাইনবোর্ড, মৌচাক, সাহেবপাড়া, মিতালী মার্কেট এলাকায় চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই ও এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের অভিযোগ চক্রটির বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনের জন্য কামরুল ইসলাম সাইনবোর্ড মিতালী মার্কেট ও মৌচাক এলাকায় দুইটি অফিস খোলে বসেছেন। নিরীহ লোকদের ধরে এনে অফিসে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন চালিয়ে অর্থ আদায় করার বহু অভিযোগ রয়েছে এবাহিনীর বিরুদ্ধে। কামরুল ইসলামের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন, শাকিল ওরফে ভাগিনা শাকিল, রাসেল, মানির, রোকন, লিটন, বাছেদ, সেলিম, আসলাম ও সোহাগসহ ৩০ থেকে ৪০ জন। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন মিয়ার শেল্টারে কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্রমিকলীগ নামধারী চক্রটি সাইনবোর্ড সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক ৩ হাজার করে মাসে ৯০ হাজার, মহাসড়কের উত্তর পাশে বিভিন্ন পরিবহন টিকিট কাউন্টার থেকে ৫ হাজার করে মাসে দেড় লাখ, অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে বসা সাহেবপাড়া বাজার থেকে মাসে দেড় লাখ, ৬ হাজার টাকা করে প্রো-অ্যাকটিব হাসপাতালের ৫ টি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে ৩০ হাজার, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পার্কিং করে রাখা প্রতিটি গাড়ি থেকে মাসে দেড় হাজার টাকা করে প্রায় ৮০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এছাড়াও মিতালী মার্কেট, সাহেবপাড়া আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ও মৌচাক এলাকায় একাধিক মাদক স্পট নিয়ন্ত্রন করে লাখ লাখ টাকা মাসোহারা পাচ্ছে চক্রটি। এচক্রের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল মোহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে শ্রমিকলীগ নেতা কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন, আমরা সরকার দলীয় লোক। চাঁদাবাজি আমরা করবনাত রোহিঙ্গারা করবে। দল চালাতে হলে খরচ লাগে। আমরা বাইততে আইন্না দল চালামোনা। তাই চাঁদা আদায় করে দল চালাচ্ছি। জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন মিয়া প্রথমে কামরুল ইসলামকে চিনেনা বল্লেও পরে স্বীকার করেন কামরুল ইসলাম ২ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি। তবে আমার জানা মতে কামরুল ইসলাম বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবসা করে। চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, কারা চাঁদাবাজি করে আমার জানা নেই। তদন্ত করে সত্যতা পেলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা