আজ রবিবার | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:৩০

ফতুল্লায় আইন-শৃংখলার অবনতি!

ডান্ডিবার্তা | ০৪ মে, ২০২৩ | ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা মডেল থানায় গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৯২টি মামলা হয়েছে। আর বিভিন্ন মামলায় ৯৫ জনকে গ্রেফতার এবং প্রায় সাড়ে ৫৩ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মাদক অধ্যুষিত ফতুল্লা মডেল থানায় এত কম পরিমানে মাদক উদ্ধার এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন থানাধীন এলাকায় বসবাসকারীরা। ফতুল্লা মডেল থানা সুত্রে জানা যায়, এপ্রিল মাসের ৩০ দিনে থানা পুলিশ সাড়ে ৬৩ গ্রাম হেরোইন, ৩৯৩ পিস ইয়াবা,৪ কেজি ৩শ গ্রাম গাজাঁ এবং ৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। অপরদিকে থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ২৩ বোতল ফেন্সিডিল এবং ২৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং কাউন্টার টেরিজম ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। থানায় গত এক মাসে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাদক মামলায় ৩৬ জন, র‌্যাব,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও এবিপিএন সদস্যরা আরো ১৩জনকে আটক করে। এছাড়াও জিআর ওয়ারেন্টে ৫৯ জন এবং সিআর ওয়ারেন্টে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এপ্রিল মাসে ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় আলোচিত হত্যাকান্ডটি ঘটে দেওভোগ বাশমুলি এলাকাতে। সেখানে কাশিপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মো.আফজাল প্রধানকে হাতে-পায়ের রগ কেটে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর আঘাত করে হত্যা করে একই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রায় দুইডজন মামলার আসামী রাজু প্রধানসহ সঙ্গীয়রা। এঘটনায় নিহতের স্বজনরা প্রধান আসামী রাজু প্রধানের বাবা রিয়াজ প্রধান ও ছোটভাই পায়েল প্রধানকে পুলিশে সোপর্দ করে এবং র‌্যাব-১১ কাউসার মুন্সিকে আটক করেছে। এছাড়া থানা পুলিশ এ মামলার এজাহারনামীয় কোন আসামীকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় বসবাসকারী অনেক বাসিন্দা বলেন, পুরো থাকা এলাকাটি এখন মাদক ও বিভিন্ন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে রুপান্তরিত হয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করলেও পুলিশের ভুমিকা যেন রহস্যজনক আবার হত্যাকোন্ডের মত ঘটনা ঘটলে থানায় একটি মামলা নেয়া ছাড়া আর কোন কিছুই করছেনা পুলিশ। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কিশোরগ্যাং-মাদক-সন্ত্রাস এর মত বিভিন্ন অপরাধ ঘটলেও পুলিশের নিরব ভুমিকায় ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবকসহ আপমর জনগনকে। তারা আরও বলেন, যেখানে হাত বাড়ালেই মাদকের ছড়াছড়ি সেখানে যৎসামান্য মাদক উদ্ধার যেন আমাদের মুখে হাসি ফুটানোর খোরাকের মতই। আবুল নামে মাসদাইরের এক বাসিন্দা বলেন, এক সময়ে ফতুল্লা মডেল থানায় প্রতি মাসে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হতো। সেখানে গিয়ে আমাদের এলাকার সমস্যাগুলো পুলিশের সামনে উপস্থাপন করা হলে পরবর্তীতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতো। এখন আর ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়না তাই এলাকাতে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। থানায় গিয়ে অভিযোগ করকে সাহস পাইনা। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনমতে দিন-যাপন করছি। মাসদাইর গভঃ স্কুলের পাশের এক বাসিন্দা বলেন, থানা এলাকার আইন-শৃংখলা আগের মত নেই। আমরা যেখানে বসবাস করছি এখানে সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ। স্কুলের সামনেই রয়েছে একটি কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয়। এটা কবে নাগাদ খোলা হয়েছিলো তা বলতে পারছিনা। তবে পুলিশী টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাগুলোর পুনরায় চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এগুলো দ্রুত চালু না করা হলে আগামীতে ফতুল্লা এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় বসবাসকারীদের দাবী, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের আরো কঠোর ভুমিকা পালন করা উচিত। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মাদক-সন্ত্রাস-ইভটিজিংসহ নানাবিধ অপরাধ রোধে থানার অফিসার ইনচার্জসহ জেলা পুলিশ সুপারের সদস্য হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা