আজ শনিবার | ১৬ আগস্ট ২০২৫ | ১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২১ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৮

মহানগর বিএনপিতে ভুল নেতৃত্ব!

ডান্ডিবার্তা | ০৩ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গত ২৯ জুলাই ছিল সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় পুুলিশের কয়েকজন সদস্য থেকে শুরু করে আহত হোন বিএনপির ২২ নেতাকর্মী। তবে মহানগর বিএনপির ভুলের কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এদিন জেলা ও মহানগর বিএনপির একত্রে কর্মসূচি পালন করার কথা থাকলেও অধিকাংশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না ঘটনাস্থলে। তা নাহলে এমন খেসারত দিতে হতো না বিএনপিকে। জানা যায়, ওইদিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মাত্র শতাধিক নেতাকর্মী হীরাঝিল আবাসিক এলাকা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। এসময় পুলিশ-ডিবি সদস্যরা তাদের বাধা দিলে তুমুল বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। এসময় সাখাওয়াতসহ বিএনপির ৫ নেতাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে হীরাঝিল এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। গিয়াস উদ্দিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্যান্য জায়গার পরিস্থিতি বুঝে সবাই দুপুর ১২টার দিকে একসঙ্গে মহাসড়কের দিকে অগ্রসর হবেন। কিন্তু ওইদিন মহানগর বিএনপি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু চেয়েছিলেন আগে মহাসড়কে অবস্থান নিবেন। পরে জেলা বিএনপি আসবেন। এসময় মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যা কম থাকায় তারা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নিকট থেকে কিছু নেতাকর্মী এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামকে নিয়ে মহাসড়কের দিকে এগোতে থাকেন।অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিনসহ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে অন্যান্য ইউনিটের নেতাকর্মীরা এলাকাতেই অবস্থান করছিলেন। এসময়ই মহানগর বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ও ডিবি পুলিশ পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর পরবর্তীতে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মহাসড়কে নামা সম্ভব হয়নি। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, অন্যান্য কর্মসূচির মতো এই কর্মসূচিতেও পরিকল্পনামাফিক সব নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে পালন করলে পরিস্থিতি এমন হতো না। কারণ জেলা বিএনপির প্রচুর সংখ্যক নেতাকর্মী রয়েছে। তারা একবার মহাসড়কে অবস্থান করতে পারলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন আচরণ করা সম্ভব হতো না। বরং তারা ঢাকার মতো চমক সৃষ্টি করতে পারতো। এর আগেও জেলা বিএনপি এভাবে কর্মসূচি পালন করে বাজিমাত সৃষ্টি করেছিল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা