
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সমন্নয়হীনতায় কর্মীরা রয়েছে বিপাকে। কোনো কিছুতেই তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। সেই সাথে তাদের মধ্যে নেই কোনো শৃঙ্খলা। প্রায় সব সময়ই বিশৃঙ্খলা আর অনিয়মের মধ্য দিয়েই তাদের কর্মসূচি পালিত হয়। কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সামনেই সাখাওয়াত ও টপু তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে যান। আর এই সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর প্রথম ভুলের কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে একজনের লাশ হতে হয়েছে। একইভাবে তাদের দ্বিতীয় ভুলের কারণে বিএনপি দলীয় একটি আন্দোলন সফল হয়নি। অনেক নেতাকর্মীদের আহত হতে হয়েছে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম টিটুর চোখ হারানোর উপক্রম হয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, গত ২৯ জুলাই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল ১১টা থেকে বিকেল-৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি। সেই সাথে গাবতলী, উত্তরা, নয়াবাজার ইউসুফ মার্কেট ও. শনির আখড়া এলাকায় এই অবস্থান কর্মসূচি হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকাতেও নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান নেয়ার কথা বলা হয়। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে চিটাগাংরোডের আশপাশ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে তাদের বিশাল জমায়েত হয়। জেলার শীর্ষ নেতারাও কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে জড়ো হন। তারা সকলেই কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এরই মধ্যে আাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে চিটাগাংরোড এলাকায় যান। সেই সাথে নিজেদের জাহির করতে গিয়ে অল্প কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়েই মহাসড়কে অবস্থান নিতে যান। কিন্ত তাদের সাথে অল্প কয়েকজন নেতাকর্মী থাকায় পুলিশ সহজেই তাদের দমিয়ে দেন। সাখাওয়াত হোসেন খান তার সাথে কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়েই পুলিশের মোকাবেলা করতে যান। আর আবু ।অর ইউসুফ খান টিপু পুলিশের অ্যাকশন দেখে চাচা আপন প্রান বাচা নীতিতে আগেই দূরে পালিয়ে যান। কিছুক্ষন পর সাখাওয়াত হোসেন খানকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে লড়ে যান। আর এই লড়াই করতে গিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু গুরুতর আহত হয়ে চোখ হারানো উপক্রম হয়েছে।.সেই সাথে আরও অনেকেই আহত হয়েছে। নেতাকর্মীদের মতে, অবস্থান কর্মসূচিতে আাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ভুল সিদ্ধান্তের ফল নেতাকর্মীদের ভূগতে হয়েছে। তাদের সাথে কোনো নেতাকর্মী না নিয়েই অবস্থান নিতে যান। আর এই কম নেতাকর্মী থাকার সুযোগ নেয় পুলিশ। পুলিশ সহজেই তাদের আটকিয়ে দেন এবং পুলিশের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়ে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান নেতাকর্মীরা। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা আর জড়ো হতে পারেনি। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েও ফিরে আসেন। মাঠে না নেমেও বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলার আসামী হতে হয়। আহত হতে হয় অনেকেই। এর আগেও সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে নারায়ণগঞ্জের এক যুবদল কর্মীকে প্রাণ হারাতে হয়েছিলো। জানা যায়, বিএনপির ৮৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ধিকী উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও শোভাযাত্রা তথা শোডাউনের আয়োজন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে গত বছরের ১সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় আলী আহম্মেদ চুনকা সিটি মিলনায়তনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। কিন্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃতে থাকা তৎকালিন এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু কর্মসূচিতে আসেন সামান্য কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে। আর এ বিষয়টি লক্ষ্য করেন পুলিশের সদস্যরা। সেই সাথে তাদেরকে বাধা দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য। এরপরই বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপড় ইট পাটকেল ছুড়ে। বিপরীতে পুলিশও বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য গুলি ছুড়ে। পরে পুলিশের গুলিতে শাওন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হন। আর এই সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে পুরো সময়জুড়েই সাখাওয়াত টিপুর দেখা মিলেনি। তারা নেতাকর্মীদের ফেলে রেখেই নিরাপদ স্থানে সড়ে যান। ওই ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেছিলেন গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে কোনো ঘটনাযই ঘটতো না। কথা ছিলো সকলে মিলে একসাথে হয়ে কর্মসূচি পালন করবো। কিন্তু সাখাওয়াত ও টিপু কয়েকজন লোক নিয়েই পুলিশের মোকাবেলা করতে যায়। তখন আমাদের নেতাকর্মীরা সকলে আসেনি। তার আগেই সাখাওয়াত ও টিপু একাই মাঠে নেমে যান। যার কারণে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং আমাদের একজন যুবদল কর্মী নিহত হয়। এরই মধ্যে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব আাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে এড. মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে আাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বর্তমানে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃতে বিএনপি দলীয় কর্মসূচি পালিত হলেও তারা নেতাকর্মীদের শৃঙখলায় ফেরাতে পারছেন না। কেনো কিছুতেই তাদের সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত নেই। কোন বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান একটি কথা বললে তার বিপরীতে কথা বলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তারা কেউই কারো কথা শুনতে চান না। আর তাদের এই সমন্বয়হীনতার শিকার হতে হয় বিএনিপর নেতাকর্মীদেরকে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯