আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:০৮

না’গঞ্জের মাঠে নেই বিদ্রোহীরা!

ডান্ডিবার্তা | ০৪ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সরকার পতনের ১০ দফা দাবির পর এবার ১ দফা দাবি নিয়ে দফায় দফায় আন্দোলনের তৎপরতা বৃদ্ধি করছে দেশের সবচাইতে বড় বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। রাজধানীর লাগোয়া জেলা নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় ঢাকার মতোই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ও বর্তমানে অনেকটাই উত্তপ্ত। ইতিমধ্যে দফায় দফায় আন্দোলণ সংগ্রামে পুলিশের বাধা ও নানা হামলা-মামলা উপেক্ষা করে চোখের পড়ার মতো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি। ইতিমধ্যে গত মাসে প্রায় ৭টি কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গত মাসে প্রথম ঢাকা সমাবেশ পালন করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি পরবর্তীতে সেখান থেকে জেলা ও মহানগর কেন্দ্রীক পদযাত্রা ঘোষণা করা হয় সেই পদযাত্রায় কাচপুরে লাখো নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। তার পাশাপাশি খানপুর থেকে মন্ডলপাড় পুল পর্যন্ত চমক দেখিয়ে মহানগর বিএনপি। এর পরবর্তীতে শোক সভা ও ব্যাপকভাবে পালন করে জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ। বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ, মহাসমাবেশ, পরবর্তীতে অবস্থান কর্মসূচি পালনে সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের হামলার শিকার ও গ্রেফতার হয়েছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সর্বশেষ গত ৩১ জুলাই মহানগর প্রেস ক্লাবের সামনে ও জেলা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে। এই সকল কর্মসূচিতে হামলা-মামলার শিকার ও আহত হয়ে ও সকল নেতাকর্মী পালন করলেও মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের শুধু ঢাকায় প্রথম সমাবেশ ও ঢাকায় মহাসমাবেশ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে কোন দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। শুধু এই শেষ নয় মহানগর বিএনপির কমিটি আশার পর যারা বিদ্রোহ করেছিলেন তারা কয়েকদিন মহানগর বিএনপির আলাদা ব্যানারে কর্মসূচি পালন করলে ও হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে পরেন। আর বর্তমানে ১৫ জন বিদ্রোহীদের মধ্যে থেকে ২ জন মহানগর বিএনপির মূল কমিটির সাথে এসে পরেছেন। তার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে মুকুল বলয়ের বেহাল দশা তারা তাদের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে না আনতে পেরে নিজেরাই রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বিগত কয়েকদিন জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির খানের লোকবল নিয়ে নানা মিছিলে অংশ গ্রহণ করতেন এই মুকুল বলয়ে নেতৃবৃন্দ। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তারা ও মহানগর বিএনপির মূল কমিটির সাথে একত্র হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। যার কারণে বলা চলে এবার মুকুল বলয় নারায়ণগঞ্জে নেতাকর্মী সংকটে ভুগছেন। বিদ্রোহীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, ঢাকার দলীয় প্রোগ্রাম ছাড়া তারা নারায়ণগঞ্জে কোন দলীয় প্রোগ্রাম পালন করবে না। তা ছাড়া তাদের বর্তমানে কোন কমিটি নেই তাহলে কি কারণে তারা দলীয় আন্দোলন পালন করবে এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। সেখানে আহ্বায়ক করা হয় এড. সাখাওয়াত ও সদস্য সচিব করা আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে যার কারণে কমিটি থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী বেড়িয়ে তারা বিদ্রোহীদের খাতায় নাম লেখায়। আর মূল কমিটির সাথে পাল্টা পাল্টা সকল কিছু করা শুরু করে যেমন, কর্মসূচি, কমিটি, বক্তব্য ইত্যাদি। কিন্তু এমন করতে করতে হঠাৎ হারিয়ে গেছে বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দরা। জানা গেছে, কমিটি গঠনের পর ১০ দফা দাবি আদায়ে ১০/১২টির মতো কর্মসূচিতে নানা ইস্যু দেখিয়ে উপস্থিত ছিলেন না বিদ্রোহীরা। যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ার পর। আবার দলীয় কয়েকটি কমসূচি পালন করে তারা। সর্বশেষ ১ দফা দাবির ডাক দেওয়ার পর থেকে আবাওে হারিয়ে যাওয়া শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। গত মাসে এ দফা আন্দোলনের প্রথমে ঢাকায় সমাবেশে পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, পরবর্তীতে জেলা কেন্দ্রীক পদযাত্রা, পরবর্তীতে শোক সভা, তারুণ্যের বিভাগীয় সমাবেশ, মহা-সমাবেশে, অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ এই ৭টি দলীয় আন্দোলন থেকে শুধু ঢাকার প্রথম সমাবেশ ও সর্বশেষ ঢাকার মহা-সমাবেশে এই বিদ্রোহী গ্রুপ অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তারপর শহরে সেই গত বছরের ১ সেপ্টেম্বরের মতো করে গত শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ বাংলা মোড়ে দলের কেন্দ্র ঘোষিত ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচী পালনের জন্য উপস্থিত হলে বিএনপি নেতাদের মূল সড়কে উঠতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে বিএনপি নেতারা ইটপাটকেল ছুড়লে গুলি করে পুলিশ। এতে প্রায় শত শত নেতাকর্মী আহত সহ কয়েকজন গুরত্বর ভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এমনকি মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়েছেন। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন গত রবিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল হক বাদী হয়ে ২৩ বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা-হামলার একটির মধ্যে ও এই বিদ্রোহী গ্রুপের কাউকেই দেখা যায়নি। যা নিয়ে বর্তমানে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। সকলের দাবি বর্তমানে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যের প্রয়োজন এই সময় অঐক্যেও মাঝে বন্দি পরে আছেন মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীরা। বর্তমানে দলের দূঃসময়ে তারা মুখ ফিরিয়ে বসে আছেন যা দল ও সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিদ্রোহী নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমাদের কমিটি নেই তাহলে কেন আমরা দলীয় আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করবো। আমরা শুধু ঢাকায় যে বিভাগীয় প্রোগ্রাম হয় সেগুলোতে যাই তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জে কোন কর্মসূচি পালন করি না। আর বর্তমানে আমাদের পরিবারের কিছু লোক অসুস্থ তা নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা