সীমার প্রতারণায় সর্বশান্ত একাধিক যুবক

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সীমা আক্তার সুন্দর চেহারার ফাঁদে ফেলে বেশ কয়েকজন যুবককে সর্বশান্ত করেছে এবং হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল অংকের অর্থ এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সীমা ময়মনসিংহের মোহনগঞ্জ থানার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রজ্জব আলীর মেয়ে। তথ্যমতে ভূক্তভোগীরা জানান, মোটা অংকের কাবিন দিয়ে বরিশালের ১ যুবককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ২ বছর সংসার করে তার থেকে বিচ্ছেদ করার জন্য মামলা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে সোনারগাঁয়ের মুছারচর এলাকার আরেক যুবককে ফাঁদে ফেলে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের ৩ মাস পরেই তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং সেখান থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। নারায়ণগঞ্জের পাগলার চিতাশাল এলাকার এক ট্রাক ড্রাইভারকে বিবাহ করে সেখান থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বন্দরের পান্নু নামে এক ব্যক্তিকে প্রতারণা করে বিয়ে করে বিয়ের ১০ মাসের মধ্যেই সে ব্যক্তির বাসায় ব্যবহার করা প্রায় ৪ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র বিক্রয় করে সীমা সম্পূর্ণ টাকাটা আত্মসাৎ করে। ব্ল্যাকমেইল করে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন দিয়ে বিয়ে করে এবং বর্তমানে তার সংসার করবেনা এমন ফন্দি এটে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে এবং ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য সীমা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান ভূক্তভোগী। পূর্বে স্থানীয় গ্রাম্য সালিশীর মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা করলেও সে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিরিহ পান্নুকে হেনস্থা করে যাচ্ছে। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পান্নু বর্তমানে সর্বশান্ত হবার উপক্রম হয়েছে। এ ধরণের প্রতারক নারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।