আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৪:৩৪

ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২জনের সাক্ষ্য প্রদান

ডান্ডিবার্তা | ০৯ আগস্ট, ২০২৩ | ১২:২৯ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় একাদশ কার্যদিবসে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষী প্রদানকারীরা হলেন- সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার জাকির হোসেন ও সোনারগাঁয়ের সাংবাদিক নূর নবী জনি। মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, রয়েল রিসোর্টকে কেন্দ্র করে যে মামলাটি জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁ থানায় দায়ের করেছিলেন সেই মামলাটি মিথ্যা। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের চাপে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন ঝর্ণা। সেটা গত ৬ জুন বাদীর ছেলে আব্দুর রহমানের দেওয়া সাক্ষীতে প্রমাণ হয়ে গেছে। আব্দুর রহমান বলেছেন, ঢাকা ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে ১৮-২০ দিন তাদের ডেকেছিল; পুলিশ কেন তাদের ডাকবে। আর যখন আব্দুর রহমান সাক্ষী দিয়েছেন সেই সাক্ষ্য যখন মামুনুল হকের পক্ষে গিয়েছে- তাতে বোঝা যায় তিনি সত্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এত ঝড়ঝাপটায়ও মামুনুল হক ও ঝর্ণার বিয়ে ছাড়াছাড়ি হয়নি। তারা বৈধ স্বামী-স্ত্রী। তিনি আরও বলেন, একাদশ দিবসে ২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তাদের দেওয়া সাক্ষীতে প্রমাণিত হয় মামুনুল হক নির্দোষ। এ মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ (রকিব) চৌধুরী বলেন, রয়েল রিসোর্টের কর্মকর্তা কর্মচারী, স্থানীয় সাংবাদিক, পুলিশ, জনগণ, মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা ও আজকের দুজন সাক্ষীসহ এ পর্যন্ত ২৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তারা সবাই সাক্ষীতে বলেছেন মামুনুল হক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঝর্ণাকে ধর্ষণ করেছেন। আশা করি বাদী ন্যায়বিচার পাবেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে ৫০১ নাম্বার রুমে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল ও তার কথিত স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ। এরপর রয়েল রিসোর্ট কা-ের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। তখন একই বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা আদালতে সাক্ষ্য দেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা