সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ শাসনগাঁও এলাকাবাসী

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লা থানা উওর নরসিংপুর এর চিহ্নিত ভুমিদস্যু বিভিন্ন অপকর্মের হোতা সুৃমন ও মিশনপাড়া নিবাসী শাহিনের নেতৃত্বে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভুমিদস্যু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ইয়াবা, ফেন্সিডিল সহ ও বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রেতা সজিব ও ইমরান বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, শহরে মিশনপাড়া এলাকার কাশেম চৌধুরীর পুত্র আখতারুজ্জামান শাহিন ও কাশিপুর ইউনিয়ন উত্তর নরসিংপুর এলাকার গিয়াসউদ্দিন এর বড় পুত্র মোঃ সুমন এর শেল্টারে থেকে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে ফতুল্লা থানার শাঁসনগাঁও এলাকার মৃত হারুন উর রশিদ এর পুত্র মোঃ সজিব, নবীনগর এলাকার কবিরের পুত্র ইমরান ও কালা জাহাঙ্গীর, শাসনগাঁও এলাকার মজিবরের পুত্র মোঃ তাজুল ইসলাম নান্নু, শাসনগাঁও এলাকার হারুন উর রশিদ এর পুত্র মোঃ রাজিব। আর সজীব ও ইমরানের বিরুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। বিশেষ সুত্রমতে জানা যায়, প্রভাবশালী ভাই ও বিশেষ একটা বাড়ীর নাম ভাঙ্গিয়ে, সুমন ও শাহিনের সেল্টারে থেকে উল্লেখিত শাসনগাঁও এলাকায় নারী ও বিভিন্ন মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপকর্ম অকপটে করে যাচ্ছে। এরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এর মালামাল নামানোর কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের নিকট হতে প্রতারণা মুলক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া এই ভুমিদস্যু চক্রটি প্রতারনা মুলক বিভিন্ন জাল দলিল করে অন্যের জমি লিখে নিয়ে ও সরকারি খাস জমি দখল করে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এভাবে সাধারণ মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন মাদকের স্পষ্ট বসিয়ে মাদক সেবন করা সহ নানাবিধ অপকর্মে হরহামেশাই চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী তাদের ভয়ে কিছু বলতে পারেনা। কেউ প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্র সহ নানাবিদ ছুরি, চাকু দেখিয়ে জিম্মি করে রাখে। তাই এলাকাবাসী নিরবে অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে কারন উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা স্হানীয়। মুসলিম নগর এলাকার মৃত আলী আকবর বেপারীর ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন এর নিকট গার্মেন্টস এর ওয়েষ্টেজ মালামাল দেওয়ার নাম করে প্রতারণা মুলক ৩০ ত্রিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সুমন শাহিনের সেল্টারে থাকা সজিব, ইমরান, কালা জাহাঙ্গীর তাজুল ইসলাম নান্নু ও রাজিব গংরা। এ ব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতে মামলা দায়ের করেন। উল্লেখিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি নারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিশেষ শাস্তিযোগ্য আইনের আওতায় আনা হোক ও এলাকাবাসী এই নিদারুন নির্মম অত্যাচার থেকে রেহায় দেয়া হোক এটাই এলাকাবাসীর কাম্য। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক উল্লেখিত সন্ত্রাসী ও তাদের শেল্টার দাতা গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।