আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৪৬

আলোর মুখ দেখছে যুবলীগ

ডান্ডিবার্তা | ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম অঙ্গসংগঠন আওয়ামী যুবলীগ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যা যুবলীগ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন হিসেবে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকা- কিংবা দলীয় কর্মসূচীতে এই সংগঠনটির ভূমিকা অপরিসীম। অথচ দীর্ঘদিন কোন সম্মেলন না হওয়ায় এবং কমিটির একাধিক পদ খালি থাকায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনটি প্রায় দেড় যুগ যাবত মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। যার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এর বিভিন্ন ইউনিট কমিটির কার্যক্রম। বিষয়টি নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও এর সমাধানে এত দিন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে কমিটিতে থাকা যুবকেরাও বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়েছেন। পক্ষ-বিপক্ষ, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদাসীনতাই এই সংগঠনটির বেহাল দশার মূল কারণ বলে মনে করেন যুবলীগের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থকদের। তবে দেরিতে হলেও সংগঠনটিকে পুনরায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেওয়ায় আবারও উজ্জীবিত হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তরুন প্রজন্ম। আশার আলো দেখছেন নতুন কমিটিতে আসতে ইচ্ছুক নেতা কর্মীগণ। কমিটির উপরের সারিতে থাকার জন্য প্রত্যেকেই তাদের সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন মাধ্যমে লবিং করে যাচ্ছে বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে কমিটি দুটোকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের পক্ষ হতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুব লীগের পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। সেই অনুযায়ী পদ প্রত্যাশীরা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে নারায়ণগঞ্জ যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা কমিটিতে নতুন মুখ দেখা গেলেও মহানগর কমিটিতে পুরোনো সেই মুখই থাকার সম্ভাবনা বলেই মনে করেন সংগঠনের বিভিন্ন সূত্র। এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও সাফায়েত আলম সানি জেলা যুবলীগের দায়িত্বে আসতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে মহানগর কমিটিতে শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু ও আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলকেই দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলনে আলহাজ্ব আব্দুল কাদিরকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল (ভিপি বাদল) কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১০ সালে পুনরায় তাদের একই পদে নির্বাচিত করা হয় বলে জানা যায়। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে সভাপতি আব্দুল কাদির জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তারপরও কাগজ-কলমে জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে এই আব্দুল কাদির এবং ভিপি বাদলই আছেন। অর্থাৎ জেলা যুবলীগের এই দুই শীর্ষ নেতা জেলা আওয়ামী লীগে পদায়ন হলেও তারা যুবলীগের শীর্ষ পদ থেকে অব্যাহতি নেননি। অথচ এর মধ্যে তাদের উদ্যোগে যুবলীগের কোন কর্মকসূচিও পালন করতে দেখা যায়নি। অনেকটা ‘কাজীর গরু খাতায় আছে গোয়ালে নেই’ অবস্থা। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও কান্ডারীবিহীন এই কমিটির আওতাভুক্ত থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিগুলোর সাংগঠনিক অবস্থাও নড়বড়ে। অন্যদিকে সেই শুরু থেকেই তাদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল না। এমনকি ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত একটি স্থানীয় নির্বাচনে একই পদে নির্বাচন করে দুইজনই পরাজিত হন। অন্যদিকে মহানগর যুবলীগেরও সেই একই হাল। একই বছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের কমিটির অনুমোদন করা হয় বলে জানা গেছে। সেই কমিটিই বর্তমানে মহানগর যুবলীগ নামে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কমিটিতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ওসমান পরিবারের খুব বিশ্বস্ত লোক হিসেবে পরিচিত শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয় ওসমান বিরোধী হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর ছোট ভাই আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলকে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। শহর কমিটিগুলোকে মহানগর কমিটিতে রূপান্তর করা হয়। গত বছর অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের নতুন কমিটি গঠনের দাবি আরও জোরালো হয়। এমনকি স্থানীয় কেন্দ্র থেকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নিদের্শনাও দেওয়া হয়। তাই সম্প্রতি নতুন করে কেন্দ্র থেকে এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এই কমিটিতে আসতে চাওয়া নেতাকর্মীসহ এর অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে প্রাণচঞ্চলতা ফিরে এসেছে। নিষ্ক্রিয় ও অস্তিত্ব সংকটে থাকা এই কমিটিকে পুনরুদ্ধারের ঘোষণায় এরই মধ্যে কর্মব্যস্ততা দেখাতে শুরু করেছে দলীয় পদে আসতে চাওয়া প্রার্থীরা। এদের মধ্যে যারা বেশি আলোচনায় আছেন তারা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও সাফায়াত আলম সানি, মহানগরের বর্তমান সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইঁয়া সাজনু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ মহসীন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন জুয়েল, আজতম উল্লাহ, জুলহাস সহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম। হয়তো খুব শীঘ্রই নতুন আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা হতে পারে বলে আশাবাদী তারা। তবে যারা আওয়ামী লীগের প্রকৃত কর্মী ও সমর্থক, দলের প্রতি অনুগত, সৎ ও ত্যাগী তারাই যেন এই কমিটিতে মূল্যায়িত হন এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল খুবই আশাবাদী বলে দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে। একই সাথে নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার মাধ্যমে এই সংগঠনটি আবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন তারা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা