আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৩৯

সদর-বন্দর নিয়ে যত ভাবনা!

ডান্ডিবার্তা | ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর আসনের নির্বাচনে এবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা অনেক আগেই দিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশাসক আনোয়ার হোসেন। এর আগেও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়েও সামান্য ভোটে হেরে ছিলেন। এর অনেক বছর পর সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করলেও জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ নেয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়। পর পর দুইবার জনপ্রতিনিধি হওয়া থেকে ছিটকে পড়েন আনোয়ার হোসেন। এক পর্যায় তিনি তার শিষ্য এমপি শামীম ওসমানের পক্ষ হয়ে ২০১৬ সালে নাসিক দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ঘোষণা দেন। ওই সময় একেএম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আনোয়ার হোসেনের পক্ষে নির্বাচনে শো-ডাউন করেন এমপি শামীম ওসমান। এতেও আবারো নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দেন দলের সভানেত্রী। ওই সময় আনোয়ার হোসেন বার বার জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য বক্তব্যে রেখেছিলেন। আর শামীম ওসমান চেয়েছিলেন ডা. আইভীকে সরিয়ে নাসিক মেয়র চেয়ারে নতুন কেউ আসুক। ২০১৬ সালে নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়া ট্রামকার্ডে ফেল করে আনোয়ার হোসেন হতাশা হয়ে পড়েন। ওই সময়ে কয়েকদিন জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘোষণা করে সরকার। এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে আয়োজন করা হয়। আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনোয়ন দেয়া দিন বাদ জোহর মসজিদের অসুস্থ হয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। এতে তার নেতারা প্রথমে হার্ট সেন্টার পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শয্যাপাশে তখন পাশে ছিলেন এমপি শামীম ওসমান ও এমপি সেলিম ওসমান। ওই রাতেই টিভিতে ব্রেকিং নিউজ ও অনলাইনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ওই রাতেই শয্যা অবস্থায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ফোনে আনোয়ার হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনোনীত করার ঘোষণা দেন। আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হওয়ায় আনোয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। এতে আনোয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জের এমপি ও মেয়র সহ সকল নেতৃবৃন্দ কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাড়ে ৫ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৬ মাস প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ার হোসেন। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তার শিষ্য এমপি সেলিম ওসমান, এমপি শামীম ওসমান ও জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান চন্দন শীল দুনীতির অভিযোগ তুলেছেন। আনোয়ার হোসেন তাদের অভিযোগ জানান, সদর-বন্দর আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী চাওয়া ও নিজেকে প্রার্থীতা ইচ্ছা প্রকাশে কিছু বিরোধীতা করছে। আমাকে বা যে কাউকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেয়া হোক, এটা নেত্রী কাছে দাবি থাকবে। এবার আনোয়ার হোসেন সদর-বন্দর আসনে দলের মনোয়ন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি আনোয়ার হোসেনকে চাচা সম্বোধন করে বলেছেন, আমারও এমপি চাওয়া উচিত। কিন্তু এখানে আনোয়ার চাচা আপনি তো এমপি প্রার্থী চেয়েছেন। মেয়র থেকে এমপিরা ভালো আছেন। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে বার বার রাজনীতিতে ট্রামকার্ড হয়ে যাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। জনগণের ভোটে না হলেও তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের সকল জনপ্রতিনিধিদের ভোটে। এবারো সদর-বন্দর আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিতে যাচ্ছেন নাসিক মেয়র ডা. আইভী। অপরদিকে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন বর্তমান জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান। তাকে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এমপি শামীম ওসমান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল। এমন অভিযোগ দক্ষিণ পন্থি নেতাদের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা