আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:১৩

কুতুবপুর আ’লীগে বিরোধ চরমে!

ডান্ডিবার্তা | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লার কুতুবপুরের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর উত্থান বিএনপিতে হলো গত নির্বাচনে তিনি পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়েন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের সঙ্গে দেখা দেয় বিরোধ। তাঁরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। অবশেষে উদঘাটিত হলো সেই রহস্য। সেন্টুর দাবী তিনি প্রয়োজনে রাজনীতি চেয়ারম্যানগিরি ছেড়ে দিবেন কিন্তু যারা মাদক ব্যবসা করে, এলাকাতে অশান্তি ও চাঁদাবাজী করে তাদের সঙ্গে তিনি বসবেন না। একই সময়ে মাইক হাতে নিয়ে শামীম ওসমানও চেয়ারম্যানের পক্ষ অবস্থান নেন। ওই বক্তব্যে সেন্টু কারো নাম উল্লেখ না করলেও এর প্রতিক্রিয়া এসেছে সেখানকার বিতর্কিত নেতা মির হোসেন মিরুর কাছ থেকে যার বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী সহ অসংখ্য মামলা ও অভিযোগ। সমাবেশের পর সেন্টুর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনেরও ঘোষণা দেন মিরু। গত ১২ সেপ্টেম্বর জনসভার সফল করতে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রস্তুতি সভা করা হয়। সেখানে এমপি শামীম ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রস্ততি সভায় বক্তব্য শেষে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টুকে জয় বাংলার স্লোগান দিতে বলেন শামীম ওসমান। তখন সেন্টু চেয়ারম্যান বলেন, আমি কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের সাথে বসবো না এতে যদি আমাকে রাজনীতি ছেড়ে দিতে হয় আমি দিবো। আপনি যদি বলে আমি চেয়ারম্যানিও ছেড়ে দিব। তার পরও কোন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীর সাথে আমি আপস করবো না। কারণ আমার পারিবারিক একটি ঐতিহ্য আছে। আমি মাদক তো দূরের কথা একটি টাকা চাঁদাবাজী করি নাই। কিন্তু যে এক দুইজনের কারণে এলাকার হাজার হাজার মানুষ অশান্তি করবে তাদের সঙ্গে আমি চলতে পারবো না। আমি যখন বিএনপি করি তখন বিএনপির যারা অপরাধ করতো তাদের দৌড়ের উপর রাখতাম। ওই সময়ে শামীম ওসমান মাইক হাতে তুলে নিয়ে বলেন, আমার পরিবারের কেউও যদি মাদক, চাঁদাবাজী করে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি তোমার সঙ্গে আছি। এর দুইদিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রস্ততি সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দীন আহম্মেদ। সেখানে মীরু বলেন, যারা আমার মা বোনকে পিটিয়েছে, আমার ভাই কে শরীরের কোন জায়গা বাদ নাই যে পিটিয়েছেন, তারাই নাকি ভালো আর আমি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হয়ে গেলাম। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেন্টুকে উদ্দেশ্যে করে মীরু বলেন, যখন নৌকার নির্বাচন করেছেন তখন চরমোনাই এর প্রার্থীর মনোনয়ন কে ছিনিয়ে এনেছিল, বাসদের মনোনয়নকে ছিনিয়ে এনেছিল ও তখন আমি ভালো ছিলাম এখন খারাপ হয়ে গেছি। আমাকে মারবেন মারেন আমি মরলে আপনি হবেন এক নাম্বার আসামী। গত ১৬ তারিখ জনসভার পর আপনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করবো। আমাদের সবাইকে অপমান করেছেন কারা আওয়ামী লীগের ভিতরে মাদক ব্যবসায়ী তাকে দেখাতে হবে না হলে আমরা এর জবাব চাইবো শামীম ওসমানের কাছে। তিনি কোন সমাধান না দিলে আমরা আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করবো।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা