বিএনপির ত্যাগী নেতারা অবমূল্যায়িত

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ গড়া জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সাবেক নেতারা অমূল্যায়িত পড়ে আছেন। এর ফলে অতীত নেতাদের অগ্রনী ভূমিকা ও আলোচনা সমালোচনা থেকে অনেক দূরে পড়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্মে নেতারা। সাবেক ও বহিস্কৃত নেতারা এখন বিএনপি ছেড়ে অন্যত্র দলে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাও ভালো না। তারেক রহমানও দেশের বাহিরে রয়েছেন। সব দিক মিলে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে এলোমেলো সময় অতিবাহিত করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক নেতারা রয়েছেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, মহানগর বিএনপি সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালাম, বিএনপি হাই কমান্ড প্রধান এম এ মজিদ, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম মজনু, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপির অব্যাহিতপ্রাপ্ত নেতা আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির অব্যাহিতপ্রাপ্ত নেতা হাজী নুরুউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুল ইসলাম মিঠু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রানা মুজিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার খন্দকার সহ অর্ধ শতাধিক রয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আসা পর বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী থেকে আর রাজণীতিতে সক্রিয় হয়নি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম। ২০২২ সালে শেষ দিকে মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাবেক এমপি আবুল কালামের নেতৃত্বে কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে তিনি নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। বিএনপি হাই কমান্ড নেতা ও মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা এম এ মজিদও বয়স্ক কারণে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহআলম। ২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও শাহ আলম প্রার্থীতা প্রত্যাহারে মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় রয়েছেন। প্রবীন নেতা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান। বিএনপি দুঃসময়ে তাকে জেলা বিএনপি রাজনীতি সক্রিয়তা ছিলো প্রশংসিত। মাঝে মাঝে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সাথে দেখা যেত। মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি নিয়ে ঘষামাজা অনেক নেতা এখন হতাশা দিন কাটাচ্ছে। মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম মজনু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, অব্যাহিতপ্রাপ্ত নেতা আতাউর রহমান মুকুল, অব্যাহিতপ্রাপ্ত নেতা হাজী নুরুউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম মিঠু সক্রিয় রাজনীতিতে থাকলেও সাবেক নেতা হিসেবে তারা হতাশ হয়ে রয়েছেন। একই হতাশা রয়েছে দিন কাটছে মহানগর যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। তারা দুইজনই মহানগর যুবদল করতে গিয়ে তাদের প্রতিপক্ষের রাজনীতি কৌশলে হেরে গিয়ে এখনো সাবেক নেতা হয়ে রয়েছেন। এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদ ও জাহিদ হাসান রোজেল। তারা দুইজনই জেলা বিএনপি বর্তমান নেতৃত্বে কাছে হেরে সাবেক নেতা হয়ে মাঠে সক্রিয়তা হওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হওয়ার দেড় বছর পর এখন তৃনমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছে।