না’গঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগে নাটকিয়তা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন মোড় নিতে পারে নতুন কমিটিতে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে চমক থাকলেও জেলায় নাটকীয় মোড় আসছে বলে শোনা গেছে। ২০২২ সাল ১৬ জানুয়ারিতে নাসিক নির্বাচন চলকালীন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরও দেড় বছর পর চলতি বছরের ৩১ জুলাই সম্মেলন করা হয়। এতে নবীন প্রবীণ প্রার্থী হলেও দুই মাসের কাছাকাছি সময়েও কমিটি ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্মেলনের পর থেকে ওমুককে তুমককে নিয়ে কমিটি আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। এদিকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি পদে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের দুই নেতা নাম চারিদিক ঘুরপাক খাচ্ছে। তাদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম দীর্ঘদিন ধরে জেলা সভাপতি পদে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। অপরদিক প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সাথে ছবি তুলে আলোচনায় আসেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছগির আহম্মেদ। ছগিরকে সবসময় সমর্থন দিয়ে গেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। এদিকে আবার আলোচনায় উঠে এসেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি পদ ছগির না মাসুম পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের সাথে উঠাবসা রয়েছে মাসুমের। অন্যদিকে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হয়ে ছগির রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে। এদিকে মাসুম ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সোনারগাঁয়ের মত শক্ত অবস্থান রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে রয়েছে তার। অন্যদিক সোনারগাঁয়ের মাটিতে নতুন ছগির আহম্মেদ। জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে মাসুম রয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক, অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ছগির আহম্মেদ। এতে বুঝা যায়, মাঠ পর্যায়ে ছগির থেকে মাসুমের চাহিদা বেশি। মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালাম ছিলেন সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে দলকে শক্তিশালী করার জন্য যোগ্য ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা নির্বাচিত করা হবে। এখানে কারো প্রভাব কাজে লাগবে না। দলকে যে নেতা সামনে কঠিনভাবে গোছাতে পারবে তাদের দিয়ে জেলা ও মহানগর শাখা কমিটি গঠন করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ফতুল্লার সাবেক ছাত্র নেতা শরিফুল হক। তার সাথে জোরালো প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামির হোসেন রনি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনা রয়েছেন নবীন নেতা তাহের উদ্দিন সানি ও সাবেক নেতা দুলাল প্রধান।