শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এগোচ্ছে বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট চলামান আন্দোলন সংগ্রামের ধারবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ১ দফা দাবির আন্দোলনের অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগর বিএনপির বৃহত্তম জনসমাবেশ করেছে। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে রয়েছে উৎফুল্ল মনোবল, এছাড়া ও লক্ষাধিক লোক জমায়েত করে জনসমুদ্র সৃষ্টি করা হয়। এখানে প্রত্যেকটি নেতার্মীরা আলাদাভাবে প্লেকার্ড নিয়ে, টুপি ও গেঞ্জি পরে ও সমাবেশে জাঁকজমকপূর্ণতা ভাবে জনসমাবেশে যোগ দেয়। আর বিএনপির বিরোধী দল হিসেবে তাদের নেতাকর্মীদের উপরে কোন কর্মসূচির ঘোষনা আসলেই নানা হামলা মামলা শুরু হয়। এছাড়াও কোন বড় জমায়েত দেখা দিলেই সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। কিন্তু এ সমাবেশে কোন বাধা ধেয়নি। নেতাকর্মীরা বলছে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা চাই তারা যাতে সামনের আন্দোলনে আমাদের সাহায্যে করে। নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী আরো জানা গেছে, জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহম্মেদ টিটু, বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মনিরুজাম্মান কাজী মনির। জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সভাপতি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন এছাড়া ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ অঙ্গসংগঠন এছাড়াও প্রত্যেকটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ সমাবেশস্থলে যোগদেয়। আর সকল নেতাকর্মীরই দাবি তারা জনসমুদ্রের মাধ্যমে কোন বিশৃঙ্খলা না করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। এভাবে যাতে আমরা আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রাম শান্তিপূর্ন ভাবে পালন করতে পারি সেদিকে প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে এটাই আশা করি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের সমাবেশ শন্তিপূর্ণ। এখানে কোন প্রকারের বিশৃঙ্খলা হয়নি। আর যারা এই শন্তিপূর্ণ জনসমাবেশকে অশান্তিতে রূপ দিতে চেয়েছে তাদের মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। আমরা আমাদের সমাবেশটা শন্তিপূর্ণভাবে সফল করতে পেরেছি। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ এখানে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে সমাবেশ সফল করেছে। আর এখানে কোন সাংঘাত হয়নি। কিন্তু যেহেতু বর্তমান সরকারের পেটুয়া বাহিনী ও তাদের নেতাকর্মীরা যদি কোন প্রকারের সাংঘাত সৃষ্টি করতে চাইত আমরা তা প্রতিহত করতাম। আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিগুলি সফল করতে প্রশাসনের সহযোগিতা করবে। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, আমি একটু অসুস্থ আছি যার কারণে সমাবেশ যোগদান করতে পারি নাই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেন. জনসমাবেশকে ঘিরে আমাদের নেতাকর্মী কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আর জনসমাবেশকে ঘিরে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি রেখেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল আশা করছি জাঁকজমকপূর্নভাবে আমাদের সমাবেশ সফল করেছে। রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবেই আমাদের দমাতে পারবে না। আমরা সরকার পতন আন্দোলন চালিয়ে যাব। সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ থানা বলেন, আমরা জনসমাবেশ শন্তিপূর্নভাবে সফল করেছি। সামনের আন্দোলন কোন প্রকার ভাদা ছাড়াই সফল করতে পারব। বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ বলেন, আমাদের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণ করে সফল করেছি। আগামীতেও আমরা শান্তিপূর্ন ভাবে কর্মসূচি সফল করতে পারব।