কঠোর কর্মসূচি নিয়ে নামছে বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচনের ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এছাড়া ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের দাবি ও এই ১ দফা দাবির সাথে সংযুক্ত করেছে দলটির হাইকমান্ড। ইতিমধ্যে দীর্ঘ দেড় বছর দফায় দফায় লাগাতার আন্দোলন সংগ্রাম করে ও এই সরকার থেকে একটি ও দাবি আদায় করতে পারেনি। এমনকি বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে আবেদ করলে ও তা ও নাচক করে আইনমন্ত্রী যার কারণে দলটির নেতার্মীরা মনে করছে এই সরকারের দিকে আর তাকিয়ে থাকার সময় নেই যথাযথ কঠোর থেকে কঠোর র্কর্মসূচির ডাক দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করাতে হবে। এছাড়া ও আজকে চট্টগ্রামের অভিমুখে রোডমার্চ হবে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের রোডমার্চ। রোডমার্চ শেষে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। আর এই কর্মসূচি হতে পারে হরতাল ও অবরোধের মতো ভিন্ন কর্মসূচি আসতে পারে যাকে ঘিরে সরকার পতনের আন্দোলন আরো কঠোর হবে আর এই সরকারকে বাধ্য করানো হবে পদত্যাগের জন্য। এছাড়া ও নেতকার্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজকের রোডমার্চ অত্যন্ত গুরুত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আমরা যে লড়াই শুরু করেছি তা ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই নয়। এই লড়াই হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, আমাদের যে অস্তিত আমরা যারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যারা শহীদ জিয়াউর রহমান আদর্শ ধারণ ও লালণ করে এই অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার লড়াই। ভবিষৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশে টিকিয়ে রাখার লড়াই। এদিকে সকলের ফোকাস এখন আজকের রোর্ড মার্চ কর্মসূচির দিকে এর মাধ্যই পর পরই আগামীর কাঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি তৈরি হবে বলে মনে করছে দলটির তৃণমূল। আর এছাড়া এদের দাবি হলো একটাই কঠোর আন্দোলন হলে ও আন্দোলন হবে জনগণের পক্ষে আর শান্তিপূর্ন যাতে এতে দেশের সাধারন জনগণের কোন প্রকারের ভিগ্ন না ঘটে। এ বিষয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইঁয়া দিপু বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি বর্তমানে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামের সাথে তাল মিলিয়ে হাটঁছে আর সামনে যদি দল মনে করে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি প্রয়োজন সেই লক্ষে আন্দোলনের কর্মসূচি ও রূপ রেখা তৈরি হবে যার মাধ্যমে এই সরকারকে পতদ্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। আর বর্তমানে আমরা ১ দফা দাবির উপরেই আন্দোলন করছি সামনে আরো কঠোর আন্দোলনের আকাঙ্খা রয়েছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, বর্তমানে আমরা এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়ে আমরা রাজপথে কাজ করে যাচ্ছি এর মাঝে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালোদা জিয়ার মুক্তির দাবি কিন্তু আমাদের ১ দফা দাবির সাথে যুক্ত হয়েছে। আর বর্তমানে আমরা এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি আর এই স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা যদি দেশের মানুষের ভাষা না বুঝে তাহলে আরো কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচির আন্দোলনের ঘোষনা দিবে আমাদের স্থায়ী কমিটি আর সেই কর্মসূচিগুলো হবে হরতাল ও অবরোধের মতো। আর সামনে আমাদের বিজয় হবেই এটা থেকে আমাদের আর কেউ আজগুবি কথা বলে পিছপা করতে পারবে না। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বর্তমানে দেশে কোন গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটর অধিকার নেই, এই সরকারের অধীনে দেশ পরিচালনা হওয়ায় দেশের জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে উঠেছে। দেশে বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিসহ বিশাল চরম অবস্থা বিরাজমান রয়েছে যেটা থেকে দেশকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দেশে সকল জনগণকে একত্রিত করে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে আমরা ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিয়ে আন্দোলন করে আসছি আর আমাদের ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে দেশে জনগণ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা একটি বক্তব্যে বললেন যে বিএনপির সভনেত্রীর ৮০ বছর হয়ে গেছে এখন তার মরার সময় এখানে কান্নাকাটি করার কি আছে। একটা দলের সভানেত্রী কিভাবে এই ধরনের বক্তব্যে দিতে পারে আর কোন অবস্থায় পরলে এমন বক্তব্যে মুখ দিয়ে আসে তা সকলের জানা আছে। এছাড়া ও এই সরকার তাদের সকল নেতকার্মীদের মনোবল ঠিক ও চাঙ্গা রাখতে কৌশল করে নানা ব্যক্তব্যে দিয়ে আসছেন কিন্তু এতে এখন কোন লাভ হবে না কারণ আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী এখন দেশে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন চায়। আগামী কাল বিএনপির রোর্ড মার্চ কর্মসূচি সেখান থেকে আগামী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আর আমরা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ ও আন্দোলনকে ঘিরে উৎফুল্ল যার কারণে সামনে আমাদের যতগুলো কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ডাক আসবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা ঝাঁপিয়ে পরতে প্রস্তুত। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা জেলা বিএনপি দলীয় কর্মসূচি মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর বর্তমানে জেলা বিএনপি কিন্তু বিগত দিন থেকে আরো শক্তিশালী যার কারণে নারায়ণগঞ্জ জেল বিএনপির সাথে কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জের হাজারো জনগণ কাজ করে যাচ্ছে। আর বর্তমানে আমাদের ১ দফা এক দাবি এই সরকারের পদত্যাগ যা নিয়ে আমরা বর্তমানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর বর্তমানে এই সরকার কিন্তু ভীত হয়ে পরেছে যার কারণে সে কখন কি বলছে তা তারা নিজে ও যানে না। আমরা আমাদের এই দাবি আদায় করার লক্ষে যে কোন প্রকারের আন্দোলন করবো আর যদি এই সরকার না মানে তাহলে স্থায়ী কমিটির ঘোষনা মোতাবেক আমরা আরো কঠোর আন্দোলন নিয়ে রাজপথে থাকবো। আমাদের একটাই বাক্য তা হলো এই সরকারকে পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, সরকার যদি বিরোধী দলের দাবিগুলো না মেনে নেয় তাহলে আমাদের কেন্দ্র থেকে আমাদের আরো কঠোর আন্দোলন দিবে আ এটা তৃণমূলের দাবি সামনে কঠিন থেকে কঠিন আন্দোলন দিতে হবে বলে হাইকমান্ডের কাছে তৃণমূল দাবি জানিয়েছে। আর এই স্বৈরাচারি সরকারকে তীব্রতর আন্দোলনের মাধ্যমে পতন করানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। আর এটা সকলেই যানেন যে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হয় আমরা সেটাই করবো। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য ১৯৯১-১৯৯৬ সালে আমাদের থেকে বেশি আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। আর ২০০১ সালে লৈঙ্গা-বৈঠা দিয়ে মানুষ ও মেরে ফেলেছে। আর বিএনপি সামনে কঠোর আন্দোলন করবে আর আমাদের সকল আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ যাতে জনগণের কোন প্রকারের ক্ষতি না হয়।