ঘোষনার অপেক্ষায় বিএনপির কমিটি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সব চাইতে বড় বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি বর্তমানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও এই এক দফা দাবির সাথে একত্রিত করে সকল দাবি আদায়ের লক্ষে দফায় দফায় দলীয় কর্মসূচি মোতাবেক আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যাকে ঘিরে দলটি বর্তমানে আন্দোলনমুখী অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরন করতে দিবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির রূপ রেখা তৈরি হতে পারে সেই লক্ষে বর্তমানে আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকার সাথে লাগায়ো ও অন্যতম ভূমিকাকৃত জেলা হিসেবে নারায়ণঞ্জ জেলাকে ধার্য করা হয়। সেই পরিপেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে এবার জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা অতন্ত প্রয়োজন। এদিকে জানা গেছে, গত মাসের ৩০ আগস্ট কেন্দ্র থেকে ৫ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের খসড়া তালিকা পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে সেই ধারবাহিকতায় নেতাকর্মীদের একত্রিত করে মিটিংয়ের মাধ্যমে যোগ্য নেতাকর্মীদের মূল মূল পদে রেখে একটি খসড়া কমিটি কেন্দ্রে যথাযথ সময়ে প্রেরন করা হয়েছে। সেই ধারবাহিকতায় জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের খবরে আনন্দের ঢেউ বইছিলো জেলা বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিচালিত হলে ও কেন্দ্র থেকে এখনো কোন প্রকারের নির্দেশ আসেনি। যার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎই সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে চলছে জেলা বিএনপির রাজনীতি। বর্তমানে কমিটিতে স্থান পেতে আগ্রহীরা এখনো কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে যাচ্ছে। এই সময় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এখন আর তাদের হাতে কমিটি নিয়ে সব কেন্দ্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেদিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেদিনই প্রেস করা হবে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এছাড়া ও নেতাকর্মীরা আরো বলছে, যেহেতু নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি সেই নির্বাচনের আগেই সংগঠনটি গতি করার লক্ষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে পদে সুপার ফাইভ সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকে এমন বিভিন্ন পদে বর্তমানে আলোচনায় রয়েছেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমি শিকদার। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূনসহ আরো অনেকেই। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দীর্ঘ ১৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম ফারুক খোকন। এই দুই জনের সাথে তাল মিলিলে সংগঠন আরো শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে আসছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যার মাধ্যমে সামনের আন্দোলন সংগ্রামে জেলা বিএনপি আরো গর্জনের মাধ্যমে রাজপথে থাকবে। এছাড়া ও কমিটিতে বর্তমানে যারা আলোচনায় রয়েছে তাদের স্থান পাওয়ার মাধ্যমে জেলা বিএনপির জৌলুস আরো ফিরে আসবে। এছাড়া ও বিগত দিনের ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র নির্বাচন করায় তৈমূর আলমকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় মনিরুল ইসলাম রবিকে। তখন কমিটিতে সৃষ্টি হয়েছিলো নানা বিতর্ক, কমিটি বাণিজ্যের মতো ও নানা কর্মকান্ড কিন্তু এছাড়া ও পূর্নাঙ্গ কমিটি ও ইউনিট কমিটি গঠনে ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন তারা। সেই ধাররাবাহিকতায় দুই বছরের মাথায় একই বছরের ১৫ নভেম্বর মনিরুল ইসলাম রবি ও মামুন মাহমুদের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তার পর পরই একের পর এক চমকের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সুসংগঠিত করা শুরু হয়। এবার সামনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেলা বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সামনে আন্দোলন সংগ্রামে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাবে জেলা বিএনপি। এদিকে নির্বাচনের আগে কমিটি আসলে নির্বাচনে আরো জৌলুস দেখাবে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। আর এছাড়া ও কেন্দ্র আমাদের থেকে একটি প্রস্তুাবিত কমিটি চেয়ছিলেন আমরা তা তৈরি করে তাদের হাতে দিয়েছি তারা এখন কবে কমিটি দেয় তা আমরা বলতে পারছি না। কারণ এখানে কমিটি গঠনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ও সাবমিট করা লাগবে তার পরেই কমিটি আমাদের হাতে চলে আসবে। আর আমরা ধারনা করছি সামনে যেহেতু নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে এর আগেই কমিটি আসবে বলে আমাদের ধারনা। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন যুগের চিন্তাকে বলেন, কেন্দ্র আমাদের থেকে খসড়া কমিটি চেয়েছিলেন আমরা তা দিয়েছি এখন কেন্দ্র কবে কমিটি তৈরি করে আমাদের হাতে বুঝিয়ে দেয় এটা তাদের বিষয় কিন্তু আমরা আশাবাদী অতিশীগ্রই কমিটি চলে আসবে। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের দিকে বেশি সময় দিচ্ছি এখন কমিটি কবে আসবে তা আমরা জানি না। শুধু খবর পেয়েছি অতি শীগ্রই কমিটি আসবে আর নির্বাচনের আগেই আসবে। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু বলেন, জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটিতে আমরা স্থান চেয়েছি এখন দল যদি আমাদের যোগ্য মনে করে তাহলে আমাদের হাতে কমিটি তুলে দিবে আমরা যথাযথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবো। ইতিমধ্যে আমরা খবর পেয়েছি কেন্দ্রে আমাদের খড়সা কমিটি গিয়েছে তাহলে হয়তো অতি শীগ্রই কেন্দ্র আমাদের একটি সিদ্ধান্ত দিবে।