
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সম্মেলনের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ হতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল ইতিমধ্যেই পৃথক পৃথক ভাবে ৭৫ সদস্যের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া এনসিসি মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী আলাদা ভাবে আরও একটি তালিকা কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নিজস্ব বলয় সৃষ্টিতে নেতা-নেত্রীদের মধ্যে চরম এক প্রতিযোগিতা চলছে। তবে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর ‘গ্রীন সিগনাল’ পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। খুব শীগ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হতে পারে, এমনটাই আভাস মিলছে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। এখন সবাই তাকিয়ে আছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। এদিকে, আসন্ন নির্বাচন, দলীয় কোন্দল ও বিভিন্ন কমিটি গঠনসহ নানান বিষয় নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর নারায়য়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। যাতে জেলার আওয়ামী লীগ দলীয় জনপ্রতিনিধিদেরও উপস্থিত থাকবেন। বর্ধিত সভায় দলটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। নেতাকর্মীদের মতে, সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার কোন্দল ও প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা অনুযায়ী নেতৃবৃন্দদের অবস্থান পরিস্কার হতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন। যার রিপোর্ট সোজা পৌছে যাবে দলীয় সভানেত্রীর হাতে। আর সেই অনুযায়ী আসতে পারে কমিটি। তৃণমূলেল নেতাকর্মীদের দাবী, ‘ওয়ান ম্যান শো’ নেতা হিসেবে পরিচিতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা উচিত হবে না। যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, দলে যাদের ত্যাগ আছে; এমন নেতৃবৃন্দদের দ্বারা কমিটি গঠন হলে উজ্জিবিত হবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচনেও রাখতে পারবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা। কেননা বিগত কমিটিতে এমন অনেক নেতৃবৃন্দ ছিলেন যারা ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসলেও নেই তাদের কোন কর্মী-সমর্থক। শীর্ষ পর্যায়ের কোন এক নেতা কিনবা জনপ্রতিনিধির সাথে থাকায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে স্টেজের মধ্যে বরাদ্দ পেতেন চেয়ার। জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশর এক পর্যায়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কমিটি গুলো দেয়ার অনুরোধ জানান, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এরই প্রেক্ষিতে মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে কমিটি গুলো দ্রুত দেয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন কমিটি হওয়া তো খুব দরকার। আমাদের নেতৃবৃন্দরা এর জন্য অধিক আগ্রহে বসে আছেন। এই বিষয়ে আমাদের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হবে। এরপর দেখা যাক কবে কমিটি দেয়া হয়।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেন, ‘মির্জা আজম সাহেব আমাদের বলেছেন, খুব তারা তারি কমিটি ঘোষণা করার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কবে কমিটি দেয়া হবে সেটা তো আর বলতে পারি না তবে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বলেছেন যত তারা তারি সম্ভব কমিটি দিবেন।’ দলীয় সুত্রমতে, দীর্ঘ ২৫ বছর পর গত বছরের ২৩শে অক্টোবর ওসমানী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সেদিন সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আগামী তিন বছরের জন্য ২য় বারের মতো আবদুল হাইকে সভাপতি ও আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ও নানাবিধ সমস্যার কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পৃথক পৃথকভাবে ৭৫ সদস্যের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন। ওদিকে পৃথকভাবে দুটি কমিটি জমা হওয়ায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। আবার প্রস্তাবিত কমিটিতে যে সকল নেতাদের নাম বাদ পড়েছে বা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তারা দৌড়ঝাঁপ করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে। তবে দৌড়ঝাঁপ যারাই করুক বিতর্কিতদের যেন কমিটিতে ঠাঁই দেয়া না হয়, এমন দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের। দলীয় সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর। অধ্যাপিকা নাজমা রহমান সভাপতি ও এমপি শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এরপর ২০০২ সালের ২৭ মার্চ সদর-বন্দর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরামকে আহ্বায়ক করে কেন্দ্র থেকে ৬১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করে দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবরের সিটি নির্বাচনের পর আহ্বায়ক এস এম আকরাম আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মফিজুল ইসলামকে। ২০১৪ সালের ১১ ফেরুয়ারিতে মফিজুল ইসলাম মারা যান। এরপর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের তাৎকালীন প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে সভাপতি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর ১৩ মাস পর ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯