
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সদর-বন্দর আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টির মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজকে আওয়ামী লীগ বললে কালকে জাতীয় পার্টির এমপি তার জবাব খন্ডান। তাদের মাঝে প্রতিনিয়ত আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। এই নিয়ে ত্রিমুখী উত্তেজনা কোনভাবে থামছে না। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা দীর্ঘ দিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকার দাবী জানিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮ সনের নির্বাচনের পর থেকে তাদের এই দাবী জোরালো ভাবে জানানো হয়। ২০২১ সনের নাসিক নির্বাচনে দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে একই দাবী তুলে ধরা হয়। তখন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদের আশ্বাসও দিয়েছেন। তাই আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সেই দাবী জোরালো ভাবে জানিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সদর-বন্দর এবং সোনারগাঁ আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে এই দুটি আসন উদ্ধারের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দাবী জানিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সম্প্রতি সময়ে জাতীয় পার্টির দখলে থাকা আসন গুলোতে একাধিক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে নেমে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান। এছাড়া সোনারগাঁ আসনে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। টানা দুই টার্ম তারা এই দুটি আসন দখল করে রয়েছে। তবে সদর-বন্দর আসন ২০০৮ সনের নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। তখন এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমান এমপি হন। পরে তিন ২০১৪ সনের নির্বাচনের পরে মারা গেলে তার আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত হয়ে সাংসদ সেলিম ওসমান উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। তাই এই দুটি আসন উদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে পরছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গাীর কবির নানক, গত শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের কাঁচপুরের শান্তি সমাবেশে জাতীয় পার্টির এমপিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানে জাতীয় পার্টির এমপিরা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। এটি জাতীয় পার্টির সিট নয়। ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল, গণমানুষের দল। মানুষের জন্য কাজ করে। তবে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার মন্তব্যে পরে নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির এমপিরা অনেকটা কোনঠাসা হয়ে আছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধমহল। কেননা জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্যে উৎফুল্লে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের দাবীতেও তারা কিছুটা আশা পুরণের প্রত্যাশা দেখছে। গতকাল আলীরটেক ফেরি উদ্বোধনে গিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংসদ সেলিম ওসমান বলেন, মানুষ চাইলে আমি নির্বাচন করবো। আপনাদের ভালোবাসা এবং সহযোগিতা পেলে আমি নির্বাচনে নামবো। বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা আবারও আমাদের ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব দেন। আমি হয়তো আর কিছু দিন সংসদ সদস্য আছি। তবে নির্বাচনের আগে আবার আপনাদের নিয়ে আমি বসবো। আমার কাছে সবাই সমান। আওয়ামী লীগ, বিএনপি জাতীয় পার্টি আমার কিছু কেউ আলাদা নয়। সকলেই আমার কাছে সমান। মানুষ যদি ভালোবেসে আবারও আমাকে নির্বাচন করতে বলে তাহলে তাদের জন্য হলেও আমি নির্বাচন করবো। অথচ এর আগে এমপি সেলিম ওসমান বন্দরের এক সভায় গিয়ে বলেছেন, আমার যদিও মান-সম্মান চলে যায় তারপরের আমি আবার নির্বাচন করবো। এমপি হই আর না হই আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। রাজনৈতিক বোদ্ধামহল থেকে প্রশ্ন উঠেন জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান বিভিন্ন এলাকায় মানুষের কাছ নির্বাচন করার অনুমতি চান কেন। এর আগের বার তো এই ভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে তিনি নির্বাচন করবেন কি না এইভাবে মানুষের কাছে থেকে অনুমতি চান নাই। কিন্ত আগামী নির্বাচন করা নিয়ে তার এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেন। একবার বলেন তার মান সম্মান চলে গেলে যাবে তার পরেও নির্বাচন করেবন। আবার বলেন মানুষ চাইলে তিনি নির্বাচন করবেন। আসলে তিনি কবে নির্বাচন করার জন্য সঠিক ঘোষনা দিবেন। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে তিনি নির্বাচনী মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। তাই বলা হচ্ছে তিনি কবে নির্বাচনের ঘোষনা দিবেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ মনে করেন, দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও এখানে দলীয় কোন সাংসদ না থাকায় এখানকার আওয়ামী লীগের কাজকর্ম অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। দলীয় উন্নয়ন কাজগুলো সব জাতীয় পার্টির মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল সেই সুনাম নিতে পারছে না। তাতে করে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তারা। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসন থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তারা। আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভায় সমাবেশের মাধ্যমে জেলার ৫টি আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়ার দাবী জানিয়ে আসছি। আগামী নির্বাচনেও আমাদের এই দাবী জানাই। বিশেষ করে সদর-বন্দর আসনে নৌকার এমপি না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতারা অবহেলিত হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে জাতীয় পার্টির এমপিদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার সাথে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতারাও একমত। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনও বিভিন্ন সভা সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়ার দাবী জানান। এছাড়া একই দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯