
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকায় ১৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের পর নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দলটি। আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করার কথা জানানো হয়েছে নেতাকর্মীদের। এই সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ধারাবাহিকতা শুরু হবে বলে জানিয়ে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নানান কারণেই তারিখ এবং সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে আন্দোলন কেন্দ্রিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গত বুধবার সমাবেশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকানেও আলোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর সমাবেশের ঘোষণা দেয়ায় আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ বেশি। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপি শেষবার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারাদেশে হতাহতের শিকার হয়েছিল। সেই কারণেই এই তারিখের সমাবেশটি অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করছে। সমাবেশ থেকে নিয়ে আসা বার্তা ও আন্দোলন পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয় দলের নেতাদের কাছে। মহানগর ও জেলা বিএনপির উভয় পর্যায়ের নেতারাই নাম প্রকাশ না করে নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে। নাম গোপন রাখার বিষয়ে জানান, আওয়ামী লীগ সরকার এক এক করে খোঁজ রাখছে কারা কারা আন্দোলনে সক্রিয় হতে পারে। কাদের নেতৃত্ব অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে আন্দোলন সংগ্রামে। সেই কারণে আন্দোলনের পূর্বেই টার্গেট হতে চান না তারা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, ‘আন্দোলনের বিকল্প নেই। যতই দিন যাচ্ছে ততই আওয়ামী লীগের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। অনেকে দেশ ছেড়ে পালানো শুরু করে দিয়েছে। যার অন্যতম প্রমাণ বন্দরের সাবেক কাউন্সিলর দুলাল প্রধান। এমন আরও অনেকে পালাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সুতরাং এই অবস্থায় আন্দোলনে যেতেই হবে। ২৮ তারিখ থেকে কঠোর কর্মসূচি আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।’ বিদ্রোহী বলয়ের এক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, ‘আন্দোলন করতে হবে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের। আমরা যখন ছাত্রদল বা যুবদল করেছি তখন আন্দোলন করেছি। এখন আমাদের বয়স যাদের ৫০ বছরের বেশি। তারা নিশ্চয়ই অবরোধের মত কর্মসূচি পালনে সক্ষম নয়। সর্বোচ্চ রাস্তায় নেমে এসে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে। মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে ছাত্র ও যুবদলকে। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো। সুতরাং আমাদের চাইতে তাদেরই বেশি প্রস্তুতি নেয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে সকল আন্দোলন ছাত্রদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে এবং বিজয় অর্জিত হয়েছে। যেমনটা সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এগুলো তারই প্রমাণ। সুতরাং ছাত্রদল ও যুবদলকে অনেক বেশি অগ্রণী ভূমিকায় থাকতে হবে।’ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই আমরা সেটা টের পাই। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া পরিবহন শ্রমিক, রিকশা চালক, হকাররা আন্দোলনে একাগ্রতা প্রকাশ করে। আমাদের মিছিল দেখলে চিৎকার করে সরকারের পতন চায়। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সরকার যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দুর্বলতা ভাবে তাহলে তাদের ভুলের মাশুল দেবে। এটা একেবারেই স্পষ্ট।’
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯