আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৪৭

সমাবেশের জন্য প্রস্তুত ছাত্রদল-যুবদল

ডান্ডিবার্তা | ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকায় ১৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের পর নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দলটি। আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করার কথা জানানো হয়েছে নেতাকর্মীদের। এই সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ধারাবাহিকতা শুরু হবে বলে জানিয়ে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নানান কারণেই তারিখ এবং সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে আন্দোলন কেন্দ্রিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গত বুধবার সমাবেশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকানেও আলোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর সমাবেশের ঘোষণা দেয়ায় আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ বেশি। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিএনপি শেষবার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচিতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারাদেশে হতাহতের শিকার হয়েছিল। সেই কারণেই এই তারিখের সমাবেশটি অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করছে। সমাবেশ থেকে নিয়ে আসা বার্তা ও আন্দোলন পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয় দলের নেতাদের কাছে। মহানগর ও জেলা বিএনপির উভয় পর্যায়ের নেতারাই নাম প্রকাশ না করে নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে। নাম গোপন রাখার বিষয়ে জানান, আওয়ামী লীগ সরকার এক এক করে খোঁজ রাখছে কারা কারা আন্দোলনে সক্রিয় হতে পারে। কাদের নেতৃত্ব অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে আন্দোলন সংগ্রামে। সেই কারণে আন্দোলনের পূর্বেই টার্গেট হতে চান না তারা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, ‘আন্দোলনের বিকল্প নেই। যতই দিন যাচ্ছে ততই আওয়ামী লীগের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। অনেকে দেশ ছেড়ে পালানো শুরু করে দিয়েছে। যার অন্যতম প্রমাণ বন্দরের সাবেক কাউন্সিলর দুলাল প্রধান। এমন আরও অনেকে পালাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সুতরাং এই অবস্থায় আন্দোলনে যেতেই হবে। ২৮ তারিখ থেকে কঠোর কর্মসূচি আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।’ বিদ্রোহী বলয়ের এক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, ‘আন্দোলন করতে হবে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের। আমরা যখন ছাত্রদল বা যুবদল করেছি তখন আন্দোলন করেছি। এখন আমাদের বয়স যাদের ৫০ বছরের বেশি। তারা নিশ্চয়ই অবরোধের মত কর্মসূচি পালনে সক্ষম নয়। সর্বোচ্চ রাস্তায় নেমে এসে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে। মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে ছাত্র ও যুবদলকে। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো। সুতরাং আমাদের চাইতে তাদেরই বেশি প্রস্তুতি নেয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে সকল আন্দোলন ছাত্রদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে এবং বিজয় অর্জিত হয়েছে। যেমনটা সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এগুলো তারই প্রমাণ। সুতরাং ছাত্রদল ও যুবদলকে অনেক বেশি অগ্রণী ভূমিকায় থাকতে হবে।’ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই আমরা সেটা টের পাই। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া পরিবহন শ্রমিক, রিকশা চালক, হকাররা আন্দোলনে একাগ্রতা প্রকাশ করে। আমাদের মিছিল দেখলে চিৎকার করে সরকারের পতন চায়। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সরকার যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দুর্বলতা ভাবে তাহলে তাদের ভুলের মাশুল দেবে। এটা একেবারেই স্পষ্ট।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা