ধরপাকড়ে বিএনপিকে দমানো যাবেনা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শিবিরে আবারও গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে গত ১ সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার অভিযোগ করেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। বর্তমানে বাকি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অধিকাংশ বিএনপির নেতাকর্মী বাড়িছাড়া রয়েছেন। তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, বিএনপি যেকোনো সমাবেশের ডাক দিলেই এই সরকার আমাদের উপর নির্যাতনের খড়ক বাড়িয়ে দেয়। ঠিক একইভাবে আগামী ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে ঘিরে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এইসব মামলা-গ্রেফতারের ভয় আমরা এখন পাই না। যতই বাধা দিয়ে আমাদের সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করা হোক না কেনো আমরা যেকোনো মূল্যে ঢাকার সমাবেশকে মহাসমাবেশে পরিণত করবো। জেলা বিএনপির সভাপতি এবং ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে একটি গ্রুপের অধিনায়ক ছিলাম। জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করলাম। যে স্বপ্ন নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করলাম সেই স্বপ্নগুলো এই সরকার ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে। বর্তমানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনো রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তারা একটু সুখ শান্তিতে নিরাপদে দেশে থাকতে চায়। কিন্তু দেশের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সারাবিশে^ বৈরী ভাব তৈরি হয়ে যায় তাহলে দেশের উপর প্রভাব পড়লে সবচেয়ে কষ্টে পড়বে এই সাধারণ মানুষরা। আর যাদের অর্থবিত্ত আছে তারা তো কোনো না কোনোভাবে ব্যবস্থা নিবে। সাধারণ মানুষ তো তা পারবে না। এটাই খারাপ লাগে আমার। যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশটা স্বাধীন করলাম আর আমরা রাজনীতিবিদরা কোন জায়গায় দেশটা নিয়ে গেলাম তা ভাবলেই খারাপ লাগে। আজ সকল ক্ষেত্রেই রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষিত লোকদের স্বার্থান্বেষী কাজের কারণে দেশের অবস্থা খারাপ। আমার আফসোস লাগে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রাজনীতিকে কোথায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেলাম। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশাসন দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করছে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরাও এমন করে নাই। যুদ্ধের সময় আমি ছাত্র আন্দোলন করি তখন প্রশাসনের অনেক লোকের সঙ্গে কথা হতো। তখন প্রশাসনের নিকট এমন আচরণ লক্ষ্য করি নাই। আইন প্রণয়নকারী সংস্থা কখনো এমন নিষ্ঠুর আচরণ করে নাই। তখন আইন আদালতে গেলে আইনের বিচার পাওয়া গেছে। এগুলোর উপর তখন কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। বর্তমানের সঙ্গে অনেক পার্থক্য রয়েছে। দেখতে দেখতে দেশটা কি যে হয়ে গেলো তা ভাষায় বলে বুঝাতে পারবো না।