আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:১৮
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

হাফিজের শেল্টারে অপরাধীরা!

ডান্ডিবার্তা | ১৪ জুলাই, ২০২৪ | ১২:০৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের মদনপুরে অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাফিজুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অপরাধীরা যেন নির্বিঘেœ অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াতে সুযোগ পাচ্ছে। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। মদনপুর বাস্ট্যান্ডে ফুটপাত দখল করে হকারদের নৈরাজ্য তেমনই সিএনজি ও অটো স্ট্যান্ডেও নৈরাজ্য চলছে। সব সময় মদনপুর বাস স্ট্যান্ডের মোড়টি হকার ও অটো ও সিএনজির দখলে থাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। আর এসকল ফুটপাত ও স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত মাসেহারা পাচ্ছেন। মদনপুর স্ট্যান্ডে বন্দর সড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে প্রায় ২ শতাধিক দোকান রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ হাফিজ দোকান প্রতি ছোট হলে ১শ’ আর বড় হলে ২শ’ টাকা করে পাচ্ছেন। শুধু তাই নয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাচ্ছেন নিয়মিত মাসোহারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফাঁড়ির পাশের জনৈক ব্যক্তি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ইনচার্জ হাফিজের সখ্যতা রয়েছে। তিনি রামুর স্ত্রী ইয়াবা ব্যবসায়ী হাফেজার কাছ থেকে ৫০ হাজার, কানা মতিনের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী সুমনের কাছ থেকে ৭০ হাজার, ফেনসিডিল ব্যবসায়ী রনি মেম্বারের কাছ থেকে ৪০ হাজার ফুলহরের গাঁজা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যপারে সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে জানতে চাইলে একাধিক চালক জানান পুলিশকে টাকা না দিয়ে সড়কে গাড়ি চালানো যায় না। নয়তো আমাদের না অযুহাতে হয়রানি করে। আর পুলিশের সাথে এ বিষয়ে সমঝোতা করেন পরিবহন নেতা আমির হোসেন। যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আসমানী বাস ও হিমালয় বাস। এছাড়া মদনপুরের সিএনজি অটো স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন এই আমির হোসেন। আমির হোসেন এক ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জকে মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে হয় তার পরিবহন চাঁদাবাজি ঠিক রাখতে। প্রতিদিন সিএনজি ও অটো থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা চাঁদা পাচ্ছেন আমির হোসেন। এ টাকা থেকে পুলিশ ম্যানেজ, দুর্ঘটনা ম্যানেজ ও প্রতিরাতে পুলিশকে টহল দেয়ার জন্য গাড়ি দিয়ে এর খরচ যোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া এটাকা থেকে কতিপয় রাজচনৈতিক নেতারাও পাচ্ছেন কমিশন। এলাকাবাসী জানান, মদনপুরে পুলিশ ম্যানেজ করে সব ধরনের অপরাধ করা সম্ভব। ধমগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ হাফিজের মসোহারার টাকা থেকে বঞ্চিত তার ফাঁড়ির কনস্টেবলরা। এনিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও তা প্রকাশ করতে পারে না। চাকুরিতে সমস্যা হওয়ার ভয়ে। এমন অভিযোগ অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। ইনচার্জ হাফিজের মসোহারার আরো একটি খাতের সন্ধান পাওয়া যায় তা হলো মদনপুরে হোটেল রেস্তোরা গুলিতে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য টাকা টাকা দিতে হচ্ছে। সূত্র বলেন, মনে হচ্ছে অবৈধ গ্যাসের বিল তিনি নিয়ে ব্যবহারকারীদের বৈধতা দিচ্ছেন। এসব ব্যপারে ধামগড় ফাঁড়ির ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাদের ফুটপাতে বসতে দেইনা তারাই শত্রতা করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেন। কারণ সড়ক হলো সড়ক ও জনগদের তারা উচ্ছেদ অভিযান চালালে আমরা সহায়তা করব। বিগত সময়ও করেছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা