বন্দরে অবৈধ বাজার বসিয়ে চাঁদাবাজি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের একরামপুরে সিটি করপোরেশনের কদম রসুল কার্যালয়ের সামনে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ কাঁচা বাজার বসিয়ে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। দুই ভাগে অবৈধ বাজার থেকে টোলের নামে চাঁদা নেয়া হয়। সিটি করপোরেশনের কর্মচারী রকি চাঁদা আদায় করেন। অপর দিকে কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় আরসিম জামে মসজিদের নামে চাঁদা তোলেন বলে দোকানীরা জানান। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ অবৈধ বাজার বসছে। এ বাজারটি রাস্তা দখল ফুটপাত দখল করে রাখে এ জন্য এ সড়কটি দিয়ে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারে না। এ সড়কটি ওয়ান বাই ওয়ান। সড়কের পূর্বপাশ অবৈধ বাজারে দখল থাকায় গত বছর সড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের ফলে অটো চাপায় এক মিমু নিহত হয়। তখন উত্তেজিত জনতা অটোবাইকটি জ্বালিয়ে দেয় এবং চালক রতনকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দেয়। তারপর ১ মাস অবৈধ বাজার বন্ধ থাকলেও পুনরায় বাজার চালু হয়েছে। তখন আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় এ বাজার চলে আসছে। আর তাদের মনোনীত সিটি করপোরেশনর কর্মচারী রকি চাঁদা আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন প্রায় দেড় শত দোকান থেকে ৫০ থেকে ১শ’ টাকা করে চাাঁদা তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনর কদম রসুল অঞ্চলের সচিব জাকিয়া জানান, রাস্তার উপর বাজার বসা অবৈধ। আমরা কয়েক দফা এ অবৈধ বাজার উচ্ছেদ করেছি। আর সিটি করপোরেশন রাস্তায় বসা বাজার থেকে টোল আদায় করে না। সিটি করপোরেশনের কেহ করলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে আরসিম জামে মসজিদের সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি শুনেছি রাস্তার উপর বাজার থেকে কিছু টাকা মসজিদের জন্য দেয়া হয় তবে কত টাকা দেয়া হয় তা আমার জানা নেই। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এ অবৈধ বাজার থেকে যে চাঁদা মসজিদের নামে উঠানো হয় তার ৩ ভাগের এক ভাগও মসজিদকে দেয়া হয় না। এতে করে মসজিদের বদনাম হচ্ছে। আমরা স্থানীয় মুসল্লীরা এ অবৈধ বাজারের টাকা মসজিদে চাই না। এ অবৈধ বাজার বন্ধ করা উচিৎ। আর এ বাজারের কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে পারেনা সেই সাথে পরিবেশও দুষণ হচ্ছে। এ থেকে আমরা প্রতিকার চাই।