বিএনপিতে কেউ কাউকে মানছে না

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির চেইন অব কমান্ড ভেঙে পরেছে। কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলছে না। দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে দ্ব›েদ্ব। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে লাগাম ছাড়া ঘোড়ার মতো ছুটছে দলের নেতাকর্মীরা। জেলায় সর্বোত্র চলছে লুটপাট, নৈরাজ্য। এই অস্থিরতা কবে নাগাদ কাটবে তা প্রায় অনিশ্চিত। এলাকার আধিপত্য, পুরনো বিরোধ নতুন করে সামনে নিয়ে এসে দলের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বসতবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এসব কারণে ঘোমট পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো জেলা জুড়ে। নির্বাচন কবে নাগাদ হবে তার কোন নিশ্চিয়তা না থাকলেও মনোনয়ন নিয়েও দ্ব›দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এরমধ্যে আড়াইহাজার কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ এবং সুমনের কর্মী সমর্থকের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দিয়েছে। দুই নেতার মধ্যে যেমন সাপে নেউলে সম্পর্ক, তেমনি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনেও পুরনো বিরোধে জড়িয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন। এ আসনে নিজ দলের প্রতিদ্ব›দ্বী মনে করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরীকে সাংগঠনিক ভাবে ঘায়েল করতে চাচ্ছেন এমন অভিযোগ বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টদের। দলের নেতাদের দ্ব›েদ্ব বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ নিয়ে বিপাকে পরেছে। দীর্ঘদিন পর অন্ধকার ছেড়ে আলোর মুখ দেখতে পাওয়া বিএনপির এ বিরোধ ভালো চোখে নিচ্ছে দলটির তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের শুরুতে বিএনপির মধ্যকার বিরোধ মিটানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। তথ্যমতে, একদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের লুটপাট, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বসতবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকে ভালো ভাবে নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব নোংরামিকে দৃষ্টিকটু আখ্যা দিয়ে বিএনপিকে এসব পরিহারের দাবী উঠছে সর্বোত্র। দলের হাই কমান্ড থেকেও এসব থেকে বিরত থাকার তাগিদ থাকলেও কেউ কাউকে মানছে না। ধারাবাহিক ভাবে চলছে লুটপাট, দখল, হামলার ঘটনা। তবে দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড না মানায় দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পরেছে বলে মনে করছে খোদ বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির এসব অপকর্ম চলমান থাকলে আগামী দিনের জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে নতুন বিরোধের পাশাপাশি পুরনো বিরোধ চাঙা হয়ে উঠছে। আগামী দিনের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি সংসদীয় আসনে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক বলয় গড়ে উঠেছে নির্বাচনকে ঘিরে। আড়াইহাজার আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরোধ তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পরেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ অর্থ সম্পাদক সুমন। তবে বিগত দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে নজরুল ইসলাম আজাদ সম্মুখ সারীতে থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কেড়েছেন। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন সুমন। সরকার বিরোধী আন্দোলনের শুরতে একদিন ফতুল্লা লিংক রোডের ভূইঁগড়ে দেখা গেলেও এরপর থেকে তাকে আর রাজপথে দেখা যায়নি। তবুও সুমন আড়াইহাজন আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আর এ নিয়ে তাঁদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। মনোনয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনেও। নিজের প্রতিপক্ষ মনে করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরীকে রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে। তবে পুরনো বিরোধ সামনে এনে পুরনো ভুল নতুন করে করছেন বিএনপি নেতা গিয়াস এমন দাবী বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টরা।