আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৩৬
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

বন্দরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা | ২৩ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে আনোয়ার মডেল ও এম এইচ স্কুলের পরিচাক আমির হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে। তার লালসার হাত থেকে রক্ষা পেতে একাধিক শিক্ষিকা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে চলে গেছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন হোটেল রিসোর্টে গিয়ে অশ্লীলতার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালমালোচনা চলছে। প্রায় ৮ মাসপূর্বে প্রতিষ্ঠা হয় আনোয়ার মডেল স্কুল। শুরু থেকেই শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় একঝাক তরুনী শিক্ষিকা। পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী, কথিত যুবলীগ নেতা, তথা পুলিশের ক্যাশিয়ার খ্যাত ও নারীলোভী আমির হোসেন সাগর। এক মাস না পেরুতেই আড়ালে শুরু হয় সাগরের পুরনো ব্যাবসা। ফলে এসব নোংরামি দেখে একাধিক শিক্ষিকা চাকরি ছেড়ে চলে যান। নাম না প্রকাশের শর্তে এক শিক্ষিকা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমোয়ার মডেল স্কুল উদ্বোধন করার কয়দিন পরে আমির হোসেন সাগর স্কুলের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। কয়েকদিনের মধ্যেই পরিচালক সাগরের নোংরামি প্রকাশ পায়। অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তার লালসার দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে একমাস পরে স্কুল থেকে অব্যহতি নিয়ে চলে আসেন ওই শিক্ষিকা। তিনি এসব মুখোশধারী ভদ্রবেশীদের বিচার দাবী করেন। জানা গেছে ১৫ বছর যাবত, শহরের রেলওয়ে মার্কেটে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাবসা করে আসছেন আমির হোসেন সাগর। অন্যান্য পলিথিন ব্যাবসায়ীদের থেকে মাসোহারা তুলে ৭ খুনের ঘটনার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলামের কাছে পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে সখ্যতা গড়ে তোলেন বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ফলেফলে আরও বেপরোয়া হয়ে দেদারসে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাবসা করে রাতারাতি বনে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। বর্তমানে জালকুড়ি ও মদনপুরে তার দুইটি নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা রয়েছে। একইসাথে উঠতি বয়সী তরুণীদের নিয়ে সাইরা গার্ডেন, সোনারগাঁ রিসোর্ট, মেঘনা ভিলেজ সহ বিভিন্ন হোটেলে শুরু হয় তার নিয়মিত আমোদ ফুর্তি। এমনকি মোটা অংকের অর্থ ও মুল্যবান উপহারের বিনিময়ে নিজের চাচাতো শ্যালিকা সহ আনোয়ার মডেল স্কুলের শিক্ষিকা নিয়ে একাধিকবার সাইরা গার্ডেনে একান্ত সময় কাটিয়েছে ওই সাগর। গত বছর ক্ষমতার দাপটে কদমরসুল কলেজের সাবেক পরিচালনা পরিষদের সদস্য সোহেল মিয়ার উপস্থিতিতে জোরপূর্বক এম এইচ মডেল স্কুলের পরিচালক পদে নিযুক্ত হয় সাগর। কিন্তু সেখানেও একইভাবে শিক্ষিকাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে সে। যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর অসামাজিক কার্যকলাপ করার কারণে সাগরের বিরুদ্ধে সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলের কাছে নালিশ করা হয়। এ ব্যাপারে আমির হোসেন সাগরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা